ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শাহবাগে ‘বিজয় মঞ্চ’ উদ্বোধন, চলবে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত

প্রকাশিত: ০৩:৪০, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮

শাহবাগে ‘বিজয় মঞ্চ’ উদ্বোধন, চলবে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত

অনলাইন রিপোর্টার ॥ ‘আমার ভোট আমি দেবো, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে দেবো' এই স্লোগানে রাজধানীর শাহবাগে সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘বিজয় মঞ্চ’ এর উদ্বোধন করা হয়েছে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশব্যাপী প্রচারণার অংশ হিসেবে রবিবার- ১৬ ডিসেম্বর বিকালে এ মঞ্চের উদ্বোধন করেন ১৪ দলের মুখপাত্র ও আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিম। এ সময় তিনি বলেন, সারাদেশে প্রতিটি উপজেলায় বিজয় মঞ্চ চলবে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর বিজয়ের দিন বিজয়ের আনন্দ করা হবে প্রতিটি মঞ্চে। প্রতিদিন বিকাল চারটা থেকে মঞ্চ চলবে। দেশের সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবীসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকজনকে অনুরোধ জানাচ্ছি মঞ্চে থাকবেন। মঞ্চে প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, 'বিজয় মঞ্চে স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ভোটের জন্য জনগণকে আহ্বান জানানো হবে। এই নির্বাচন সত্তরের নির্বাচনের মতো গুরুত্বপুর্ণ উল্লেখ করে নাসিম বলেন, এই নির্বাচনে বাঙালির বিজয় হবে। ১৪ দলের নেতাকর্মীরা প্রার্থীদের পক্ষে নৌকায় ভোট চাইবেন। নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের সমালোচনা করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘মনে রাখবেন একাত্তরেও স্বাধীনতাবিরোধী ছিল। বাঙালির মধ্যে মীর জাফরের জন্ম হয়, এটা ইতিহাসের কথা। এই বিজয়ের মাসে নতুন মীর জাফরের জন্ম হয়েছে। বলতে লজ্জা লাগে ড. কামাল হোসেন আওয়ামী লীগের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। সেই ড. কামাল আর বীর মুক্তিযোদ্ধা কাদের সিদ্দিকী ধানের শীষের পক্ষে গেছেন। এদের পরাজিত করতে হবে।’ ড. কামাল সাংবাদিকদের উর্দু ভাষায় ধমক দিয়েছেন বলেও এ সময় উল্লেখ করেন তিনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকার থাকবে। সেই সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। তারা (বিএনপি) বলেছিল তারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকারে নির্বাচনে আসবে না। তারা নির্বাচনে আসতে বাধ্য হয়েছে। সেমিফাইনালে আমাদের জয় হয়েছে। সামনে ফাইনাল খেলা। এই খেলায় আমাদের জয়লাভ করতে হবে। আমরা জয়লাভ করবো ইনশাআল্লাহ।’ ১৪ দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, নিজ নিজ এলাকায় মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভোট চাইবেন। মানুষের মন জয় করে ভোট নিতে হবে, জোর করে নয়।’ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস, সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ, সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী। আলোচনা অনুষ্ঠান শুরুর আগে মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনে শহীদসহ দেশের অবদানে সব শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এক মিনিট নীরবতা পালন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। সন্ধ্যায় আলোচনা শেষে মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
×