ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়ার শপথ

প্রকাশিত: ০৪:৩৪, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়ার শপথ

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ স্বাধীনতাবিরোধীদের চিরতরে প্রত্যাখ্যান ও দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নেয়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে সারাদেশে পালিত হয়েছে বিজয় দিবস। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে তোপধ্বনি, শহীদ মিনার ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবকসহ নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালন করা হয় মহান বিজয় দিবস। -খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের। চট্টগ্রাম স্বাধীনতার চেতনায় একটি অসাম্প্রদায়িক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে রবিবার চট্টগ্রামে পালিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস। নির্বাচন সন্নিকটে হওয়ায় এবারের বিজয় দিবসের আমেজ ছিল আলাদা। বিজয়ের আনন্দ ও ভোটের প্রচার একাকার হয়ে যায়। ভোর থেকে দিনভর ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। নগরী ও জেলার বিভিন্ন স্থানে ছিল অসংখ্য আয়োজন। এ সকল অনুষ্ঠান থেকে প্রার্থীরা নিজ দলের পক্ষে জনগণের রায় প্রত্যাশা করেন। রবিবার ভোরে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সবার আগে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। এরপর একে একে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, সিএমপি কমিশনার মোঃ মাহবুবর রহমান, জেলা প্রশাসক মোঃ ইলিয়াস হোসেন। এরপর ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে থাকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন। চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া) আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান নওফেল কর্মী সমর্থকদের নিয়ে শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা জানানো হয় আওয়ামী লীগ, জাতীয়তাবাদী দল, কমিউনিস্ট পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, জাতীয় পার্টি, বাসদ, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন, আওয়ামী যুবলীগ, ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন, যুব ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র মৈত্রী, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সদস্য, প্রজন্ম একাত্তর, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, চারণ, ছাত্র ফেডারেশন, খেলাঘরসহ বিভিন্ন প্রগতিশীল সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে। বরিশাল ভোর ছয়টা ৩০ মিনিটে দিবসটি উপলক্ষে নগরীর পুলিশ লাইন্সে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসের কর্মসূচী শুরু হয়। পরে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দেয়া পুষ্পমাল্যর মধ্যদিয়ে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। পরে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার, মন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস এমপি, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, ডিআইজি, জেলা প্রশাসক, সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মুক্তিযোদ্ধা বেদীতে ফুলের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। দিবসটি উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১০টায় দলীয় কার্যালয় থেকে র‌্যালি বের করে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ। সিরাজগঞ্জ দিবসটি উপলক্ষে সিরাজগঞ্জ একে শহীদ শামসুদ্দীন স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন আয়োজিত শিশু কিশোর সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্কাউটস, রোভার স্কাউটস গার্লস গাইডসহ ছাত্র-ছাত্রীদের সম্মিলিত কুচকাওয়াজ ও শারীরিক কসরত অনুষ্ঠিত হয়েছে। কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দীকা ও পুলিশ সুপার টুটুল চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক ডাঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি। পরে বিজয় র‌্যালি বের করা হয়। কুড়িগ্রাম দিনের প্রথম প্রহরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচী শুরু হয়। এরপর কলেজ মোড়স্থ স্বাধীনতার বিজয়স্তম্ভে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি জাফর আলী, পুলিশ সুপার মেহেদুল করিম, সিভিল সার্জন ডাঃ এসএম আমিনুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম টুকু, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি এ্যাড. আহসান হাবীব নীলু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে জেলা স্টেডিয়াম মাঠে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলার ২০ মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। পরে বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের কুচকাওয়াজ ও শারীরিক কসরত প্রদর্শন করা হয়। দুপুরে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার বর্গের সংবর্ধনা দেয়া হয় জেলা সার্কিট হাউসে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের স্বপ্ন কুড়ি অডিটরিয়ামে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শিশুদের চিত্রাঙ্কন, সঙ্গীত ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় স্বাধীনতার বিজয় স্তম্ভে মুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীনতা ও সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে ডিজিটাল প্রযুক্তির শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বগুড়া স্বাধীনতাবিরোধীদের চিরতরে প্রত্যাখ্যান ও দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নেয়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে মর্যাদার সঙ্গে বগুড়ায় বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনি, শহীদ মিনার ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক এবং সব সরকারী-বেসরকারী ভবন, বাসভবন, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে দিবসের সূচনা হয়। সকালে শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে শিশুকিশোর সমাবেশ, কুচকাওয়াজ ডিসপ্লের পর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হয় জিলা স্কুল অডিটোরিয়ামে। শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বাস্থ্য, জাতির অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে মসজিদ ও অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। ঝালকাঠি রবিবার সকাল সাড়ে ৮টায় ঝালকাঠির শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক হামিদুল হক আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় তার সঙ্গে পুলিশ সুপার জোবায়েদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ আনসারসহ বিভিন্ন বাহিনী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্কাউট, রোভার স্কাউট ও ছাত্রছাত্রীরা কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও অনন্য কর্মসূচীর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। যশোর মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে শুরু হয়েছে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ। যশোর পুরাতন বাসটার্মিনাল এলাকার বিজয়স্তম্ভে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল। যশোর পরিবহন সংস্থা শ্রমিক সমিতির পরিচালনায় এবং যশোর পৌরসভার ব্যবস্থাপনায় বিজয়স্তম্ভে জেলা প্রশাসকের পর ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা অর্পণ করেন পুলিশ সুপার মঈনুল হক ও যশোর জিলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল। পর্যায়ক্রমে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের যশোর জেলা ইউনিট কমান্ড, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড, যশোর জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠন। গোপালগঞ্জ রাত ১২টা ১ সেকেন্ডে টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিজয় দিবসের নানা কর্মসূচী। জাতির পিতার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান ও পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান খান। এরপর জেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও শেখ সাহেরা খাতুন মেডিক্যাল কলেজসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয় জাতির পিতা ও জাতির সূর্য-সন্তানদের। সাতক্ষীরা সাতক্ষীরায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হয়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সব সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন সহ সকাল সোয়া ৮টায় সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে মুক্তিযোদ্ধাদের রুহের মাগফিরাত কামনায় মোনাজাত করা হয়। পরে পুলিশ, বিএনসিসিসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের সমন্বয়ে কুচকাওয়াজ ও শরীর প্রদর্শনী এবং রক্তদান কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান, পৌরদিঘীতে হাঁসধরা প্রতিযোগিতাসহ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচীর আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য রিফাত আমিন, জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল, পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি প্রমুখ। ফেনী মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রবিবার সকালে ফেনী শহরের শহীদ স্মৃতিস্তম্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করে সব শ্রেণী পেশার মানুষ। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওয়াদুল কাদের, সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, সংরক্ষিত মহিলা এমপি জাহান আরা বেগম সুরমা, বিএনপির সাবেক এমপি জয়নাল আবদীন ভিপি জয়নাল, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা প্রসাশন, পুলিশ প্রসাশন, ফেনী প্রেস ক্লাব, ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটি, স্বাস্থ্য বিভাগ, আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করে জেলা প্রশাসন। চুয়াডাঙ্গা চুয়াডাঙ্গায় শহীদ হাসান চত্বরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিনের কর্মসূচী শুরু হয়। এদিন সকাল সাড়ে ৬টায় স্থানীয় শহীদ স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। এ সময় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা পরিষদ, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা ও জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন পুষ্পমাল্য অর্পণ করে। চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস, পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ সামসুল আবেদীন খোকন, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দারসহ সরকারী কর্মকর্তা ও মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন। কিশোরগঞ্জ কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল সরকারী কলেজ চত্বরে নির্মিত স্মৃতিসৌধে রবিবার সকালে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যদিয়ে মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচী শুরু হয়। পরে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্টেডিয়ামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী ও বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানসমূহের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সালাম গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী ও পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ। পরে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী ও বিজয় র‌্যালি শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদানসহ হাসপাতাল, এতিমখানা ও কারাগারে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। বিকেলে স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন বনাম মুক্তিযোদ্ধা একাদশ এবং কিশোরগঞ্জ পৌরসভা বনাম সুধীজন প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দিবসের আলোচনা সভা এবং জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী এবং জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গাইবান্ধা গাইবান্ধায় বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৮টায় স্থানীয় স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক সেবাস্টিন রেমা। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা কুচকাওয়াজ ও শারীরিক কসরত প্রদর্শন করে। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্যে ছিল মুক্তিযুদ্ধের বিজয়স্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ, শিশুদের চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা, মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা সভা, স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন ও পৌরসভা একাদশের মধ্যে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা, স্থানীয় আসাদুজ্জামান বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে মহিলাদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন ইত্যাদি। ঝিনাইদহ ঝিনাইদহে জেলা কেন্দ্রীয় স্মৃতি সৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। প্রথমে জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ, পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সিভিল সার্জন অফিস, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামজিক সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এছাড়া দিনব্যাপী আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচী পালিত হয়। নেত্রকোনা সকালে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা পরিষদ, পৌরসভা, সদর উপজেলা পরিষদ, আওয়ামী লীগসহ সব সহযোগী সংগঠন, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, সিপিবি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, উদীচীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং প্রতিষ্ঠান স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। সকাল আটটায় সাতপাই স্টেডিয়াম মাঠে অনুষ্ঠিত হয় কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে। এতে অভিভাদন গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম। বেলা সাড়ে ১১টায় স্থানীয় পাবলিক হলে অনুষ্ঠিত হয় মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা এবং আলোচনা সভা। এছাড়াও দিনের বিভিন্ন সময়ে মসজিদ ও মন্দিরে প্রার্থনা/মোনাজাত, প্রীতি ফুটবল ম্যাচ, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, চিত্রাঙ্কন, রচনা প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। পাবনা সকালে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ দূর্জয় পাবনা জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দীন ও পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে শহীদ স্মরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। এরপর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা আওয়ামী লীগ, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ, পাবনা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা প্রেসক্লাব, পাবনা রিপোর্টার্স ইউনিটি, পাবনা সংবাদপত্র পরিষদ, উদীচী শিল্পগোষ্ঠী, গণশিল্পী সংস্থা, পাবনা মেডিক্যাল কলেজসহ বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠান শহীদ স্মরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে সকাল সাড়ে আটটায় শহীদ আমিনউদ্দীন স্টেডিয়ামের জেলা প্রশাসক জাতীয় পতাকা উত্তোলন সালাম গ্রহণ ও শিশুকিশোরদের শরীর চর্চা ও ডিসপ্লে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। নীলফামারী রাজাকার ও জঙ্গীমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার শপথ নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে নীলফামারীতে ৪৮তম মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনায় শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে স্বাধীনতা স্মৃতি অম্লান স্তম্বে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন রাষ্ট্রের পক্ষে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এরপর পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেন, জেলা কমান্ডার ফজলুল হকের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, পৌরসভা মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও তাদের সব অঙ্গসংগঠন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, সনাক, প্রেসক্লাব, মিডিয়া হাউস, সরকারী কলেজসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন শহীদদের স্মরণে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। শেরপুর সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে তোপধ্বনি ও শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচী শুরু হয়। নকলায় স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী। জেলা শহরে স্থানীয় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে প্রথমেই শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিক। এরপর শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব, পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরশাদ হোসেন খান, পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল পিপিসহ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আইনজীবী সমিতি, প্রেসক্লাব, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। লক্ষ্মীপুর বিজয় চত্বরে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন, বেসরকারী বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল, জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল, পুলিশ সুপার আ স ম মাহাতাব উদ্দিন, ঢাবি শিক্ষক সমিতি সভাপতি প্রফেসর ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, পৌর মেয়র এম এ তাহের, মুক্তিযোদ্ধা জেলা ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার জয়নাল আবেদিন, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার মাহবুবুর রহমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগ সভাপতি একেএম সালাউদ্দিন টিপু, সরকারী কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মাইনউদ্দিন পাঠান প্রমুখ। এ ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সরকারী-বেসরকারী বিভন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, কর্মচারী, বিভিন্ন পেশাজীবী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বিজয় চত্বর শহীদ স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পটুয়াখালী দিবসটির প্রথম প্রহরে স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও ব্যক্তি পর্যায়ে দিয়ে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে আবুল কাশেম স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ ও মার্চপাস্টের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী। এছাড়া প্রশাসন ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রবিবার দিবসের প্রথম প্রহরে স্থানীয় ফারুকী পার্কে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচীর শুরু করে জেলা প্রশাসন। এরপর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান, পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খান। জেলা আওয়ামী লীগ বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন স্মৃতি সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। খুলনায় প্রশাসন, আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, খুলনা প্রেসক্লাব, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পৃথক উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে রবিবার প্রত্যুষে মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে নগরীর গল্লামারী শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং সরকারী, আধাসরকারী, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারী ভবন ও প্রতিষ্ঠানসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল সাড়ে আটটায় খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া। পরে সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন বাহিনী/প্রতিষ্ঠানের বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান ও শরীরচর্চা প্রদর্শনী হয়। বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সন্তানদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া। নাটোর দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে নাটোরে মহান বিজয় দিবস পালিত হচ্ছে। রবিবার প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসটির সূচনা হয়। নাটোর শহরের মাদ্রাসা মোড়ে শহীদ স্মৃতিসৌধে সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহরিয়াজ, পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল্ মামুন নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী জলিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সদস্যবৃন্দ। রাজশাহী রাজশাহী মহানগরীর ভুবনমোহন পার্ক শহীদ মিনার ও রাজশাহী কলেজ শহীদ মিনারে মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক দল, সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের (আরইউজে) পক্ষে সংগঠনটির সভাপতি কাজী শাহেদ এবং সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হকের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা। রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের শহীদ মিনারে ভোর ৬টায় প্রথমেই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভাগীয় কমিশনার নূর-উর রহমান। এরপর জেলা প্রশাসক এসএম আব্দুল কাদের, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক এম. খুরশীদ হোসেন, রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার, জেলার পুলিশ সুপার মোঃ শহিদুল্লাহ পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকারও। এছাড়া সকাল ১০টায় মহাজোটের উদ্যোগে নগরীতে বিশাল বিজয় র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে র‌্যালিটি শুরু হয়। এরপর নগরীর প্রাণকেন্দ্র সাহেববাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে শেষ। র‌্যালিতে নেতৃত্বে দেনস আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন এবং রাজশাহী-২ (সদর) ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। মুন্সীগঞ্জ রবিবার প্রত্যুষে শহীদদের নাম খচিত স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলিসহ গভীর রাত অবধি নানা আয়োজনে মুখরিত হয়ে ওঠে জেলা শহর মুন্সীগঞ্জ। এর পরই মুন্সীগঞ্জ স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ হয়। এতে সালাম গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম। পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রাদান করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ মোঃ মহিউদ্দিন। বিকেলে নানা লোকজ ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনাসহ নানা কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। এছাড়া বিজয় দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ মমতাজ বেগমসহ, জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। নওগাঁ সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শহরের মুক্তির মোড়ে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিস্তম্ভে পু®পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপারের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) (সদ্য পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মুহাম্মদ রাশিদুল হক, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আফজাল হোসেন, জেলা পরিষদ, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ রওশন আরা খানম, সিভিল সার্জন ডাঃ মোমিনুল হক, নওগাঁ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ আব্দুল বারী, নওগাঁ চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি, জেলা প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সকাল ৯টায় নওগাঁ স্টেডিয়ামে স্বেচ্ছায় রক্তদান, কুচকাওয়াজ, সালাম গ্রহণ, ডিসপ্লে প্রদর্শন করা হয়। মাগুরা রবিবার মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগ শহরে বর্ণাঢ্য বিজয় র‌্যালি করেছে। দুপুরে শহরের নোমানী ময়দান থেকে র‌্যালি বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় সেখানে এসে শেষ হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন এ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শেখর, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তানজেল হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুন্ডু, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রুস্তম আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুন্সি রেজাউল হক, আবু নাসির বাবলু প্রমুখ। রাঙ্গামাটি রাঙ্গামাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন মহিলা সংসদ জে এফ আর চিনু। এর পর জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ, পুলিশ সুপার আলমগীর কবির, মুক্তি যোদ্ধা সংসদ, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. অধ্যাপক প্রদানেন্দু চাকমা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন। এর পর আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ জেলার বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল ও বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আবদুর রউফের সমাধিতে অনুরূপ সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ নগরীর চাষাঢ়ায় বিজয়স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণসহ নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। রবিবার ভোরে জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়ার নেতৃত্ব বিভিন্নস্তরের প্রশাসনের লোকজন চাষাঢ়ায় বিজয়স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সকালে নগীর ২নং রেলগেট এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাইসহ নেতৃবৃন্দরা। এছাড়া বিজয়স্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদসহ নেতৃবৃন্দ। পরে একে একে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সকালে ফতুল্লার ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয়। লালমনিরহাট সকালে জেলা শহরের শেখ কামাল স্টেডিয়ামে শিশু, কিশোর ও ছাত্রছাত্রীদের শরীরচর্চা ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ। বেলা সাড়ে ১১ টায় জেলায় স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী, সাংস্কৃতিক কর্মী ও মুক্তিযোদ্ধা বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করে। জয়পুরহাট জয়পুরহাট শহীদ ডাঃ আবুল কাশেম ময়দান কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জয়পুরহাট পৌরসভা, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, কমিউনিস্ট পার্টি, বাসদ, জাসদ, প্রেসক্লাব, অগ্রণী ব্যাংক অফিসার্স ইউনিয়ন ও কর্মচারী ইউনিয়ন, সোনালী ব্যাংক কর্মচারী ইউনিয়ন, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ বিভিন্ন সংগঠন পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধার্ঘ জানায়। দুপুরে জয়পুরহাট পৌর কমিউনিটি সেন্টারে পৌরসভার উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শহরে বিজয় র‌্যালি বের করা হয়। সন্ধ্যায় শহীদ ডাঃ আবুল কাশেম ময়দানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। একইভাবে ক্ষেতলালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বিজয় দিবসের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। গাজীপুর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গাজীপুরে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচীর আয়োজন করে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে একত্রিশবার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচীর সূচনা করা হয়। পরে জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর জেলা শহরের ভাওয়াল রাজবাড়ি মাঠসংলগ্ন শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ওয়াই এম বেলালুর রহমান ও গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাসেল শেখ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পর্যায়ক্রমে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন, গাজীপুর প্রেসক্লাব, গাজীপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এছাড়াও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর সরকারী মহিলা কলেজ, কাজী আজিম উদ্দিন কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনাসভা ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ঠাকুগাঁও রবিবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শহরে টাঙ্গন নদীর তীরে শহীদ স্মৃতিসৌধ অপরাজেয় ’৭১’র পাদদেশে ৩১বার তোপধ্বনির পর পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে দিবসের সূচনা করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন। এরপর সেখানে একে একে পুষ্পার্ঘ্য দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম, পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান এবং সকল সরকারী-বেসরকারী সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনৈতিক দলের নেতৃবর্গ, উদীচী ও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্র্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ। কুমিল্লা টাউন হলের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জেলা প্রশাসক মোঃ আবুল ফজল মীর, পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, সিভিল সার্জন মুজিবুর রহমান, হাইওয়ে কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ রুহুল আমিন, আদর্শ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম টুটুল, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোফাজ্জল হায়দার, কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার নাশির আহমেদসহ স্থানীয় বিভিন্ন প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সিটি কর্পোরেশন, কেন্দ্রীয় কারাগার, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল, পুলিশ লাইন্সের চেতনায় ’৭১, আলেখারচর যুদ্ধ জয় ভাস্কর্য ও কুমিল্লা সেনানিবাসে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। জামালপুর রবিবার জেলার সর্বত্র মহান বিজয় দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। এভারেস্ট পর্বতমালা বিজয়ী প্রথম নারী নিশাত মজুমদারের নেতৃতে ১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ পদযাত্রারও আয়োজন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে সকাল সাতটায় বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর, পুলিশ সুপার মোঃ দেলোয়ার হোসেন, জামালপুর পৌরসভার মেয়র মির্জা সাখাওয়াতুল আলম মনি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইনজীবী মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ, আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী প্রকৌশলী মোঃ মোজাফফর হোসেন, বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী শাহ মোঃ ওয়ারেছ আলী মামুনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন জামালপুর শহরের দয়াময়ী এলাকায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এদিকে ফটিকছড়ি, ভৈরব, কালকিনি, দাউদকান্দি, গফরগাঁও, কেরানীগঞ্জ, আমতলী, ঈশ্বরদী, জাবি, রাবি ও বেলকুচিতে অনুরূপ কর্মসূচী পালন করা হয়।
×