অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আগামী বছরের জুনের মধ্যে বারাকা পাওয়ারের দুটি বিদ্যুত কেন্দ্র বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফাহিম আহমদ চৌধুরী। এর মধ্যে বারাকা শিকলবাহা পাওয়ার ২০১৯ সালের প্রথম প্রান্তিকে আর কর্ণফুলী পাওয়ার দ্বিতীয় প্রান্তিকের মধ্যে উৎপাদনে আসবে। বারাকা পাওয়ারের ১১তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) শেয়ারহোল্ডারদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন।
গত ১৩ ডিসেম্বর সিলেটের খানস প্যালেস কনভেনশন হলে বারাকা পাওয়ারের এজিএম অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বারাকা পাওয়ার লিমিটেডের চেয়ারম্যান গোলাম রাব্বানী চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোঃ আহসানুল কবীর ও আবদুল বারী, পরিচালক নানু কাজী মোহাম্মদ মিয়া, স্বতন্ত্র পরিচালক ড. মোঃ জাকির হোসেন ও হেলাল আহমেদ চৌধুরী এবং কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী।
বারাকা পাওয়ারের চেয়ারম্যান গোলাম রাব্বানী চৌধুরী এজিএমে শেয়ারহোল্ডারদের উদ্দেশে বলেন, বারাকা গ্রুপ নিরবচ্ছিন্নভাবে জাতীয় গ্রিডে ১০১ মেগাওয়াট বিদ্যুত সরবরাহ করার মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। কোম্পানির ব্যবসায়িক সাফল্য, সুনাম ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নতুন নতুন ব্যবসায় বিনিয়োগ করছে। গত বছর বারাকা গ্রুপ বাংলাদেশ বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) কাছ থেকে চট্টগ্রামের পটিয়ায় কর্ণফুলী পাওয়ার লিমিটেড ও বারাকা শিকলবাহা পাওয়ার লিমিটেড নামে দুটি ফার্নেস তেলভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের অনুমোদন পেয়েছে। বিদ্যুত কেন্দ্র দুটির মোট উৎপাদনক্ষমতা ২১৫ মেগাওয়াট। বারাকা গ্রুপের আরেক প্রতিষ্ঠান বারাকা ফ্যাশনস লিমিটেডের উৎপাদন পূর্ণমাত্রায় চলছে, যা সামনের বছরগুলোয় গ্রুপের আয় বাড়াতে সহায়ক হবে বলেও জানান তিনি। বারাকা পাওয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফাহিম আহমদ চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, গেল অর্থবছরে কোম্পানির মুনাফা ৩৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। এ সময় শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৭৫ পয়সা, আর শেয়ার প্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৮০ পয়সা। কোম্পানির নতুন দুই বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। এর মধ্যে বারাকা শিকলবাহা পাওয়ার ২০১৯ সালের প্রথম প্রান্তিকে আর কর্ণফুলী পাওয়ার দ্বিতীয় প্রান্তিকের মধ্যে উৎপাদনে চলে আসবে। বারাকা পাওয়ারের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেড এরই মধ্যে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) আবেদন করেছে। আইপিও আবেদনের পরে কোম্পানির রোড শো অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং যথাসময়ে এর আইপিও অনুমোদন পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। উল্লেখ্য, এজিএমে ২০১৭-১৮ হিসাব বছরের জন্য প্রস্তাবিত ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশসহ অন্যান্য এজেন্ডা শেয়ারহোল্ডাররা অনুমোদন করেন।
শীর্ষ সংবাদ: