ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে রাজপথ- সর্বত্র ছিল দেশপ্রেমিক তরুণ-তরুণী ও শিশু-কিশোরের উপস্থিতি

অঙ্গীকার মুক্তিযুদ্ধে ॥ বিজয় দিবসে তরুণ প্রজন্মের বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস

প্রকাশিত: ০৫:২৮, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮

অঙ্গীকার মুক্তিযুদ্ধে ॥ বিজয় দিবসে তরুণ প্রজন্মের বাঁধভাঙ্গা  উচ্ছ্বাস

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ গুমোট আবহাওয়া। যেন মন খারাপ করে আছে প্রকৃতি। ক্রমে বেলা বাড়লেও মেলেনি সূর্যের আলো। রবিবার প্রকৃতির মন খারাপ থাকলেও বাঙালীর মনে ছিল বিজয়ের আনন্দ। বাংলাদেশে এ দিন সব ফুল ফুটেছিল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধায়। চারদিকে বিজয়োৎসব। লাল-সবুজের বিজয় নিশান আর ফুল হাতে জনস্রোত সর্বত্র। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তির গণজাগরণ আর স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে নতুন প্রজন্মের তীব্র ঘৃণা ও গণধিক্কার ভিন্নমাত্রা যোগ করেছিল এবারের মহান বিজয় দিবসে। মুক্তিযুদ্ধের সব পক্ষ শক্তিই নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমেই যুদ্ধাপরাধী, স্বাধীনতাবিরোধী ও তাদের দোসরদের আস্ফালন রুখে দেয়ার অঙ্গীকার করেছেন। সর্বত্রই ছিল মুখে বিজয়ের গান আর নির্বাচনে ব্যালটের মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধী-রাজাকার ও মৌলবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার শপথ। এমন দীপ্ত শপথে রবিবার চারদিকে ছিল নতুন প্রজন্মের বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস। বাংলাদেশ নামক জাতিরাষ্ট্রের জন্মদিনে অন্যরকম এক স্বস্তি ও চেতনায় বিজয়ের উল্লাসে মেতেছিল পুরো জাতি। এক নতুন রূপে ও চেতনায় এবার বিজয় দিবস পালন করল দেশবাসী। বিজয় দিবসের মাত্র ১৪ দিন পর অর্থাৎ ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর এ নির্বাচনে একপক্ষে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বাধীনকারী দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট। অন্যদিকে একাত্তরের পরাজিত শত্রু জামায়াত, যুদ্ধাপরাধী, স্বাধীনতাবিরোধীদের নিয়ে বিএনপির জোট। ঠিক এ কারণেই একাত্তরের পরাজিত শত্রুদের বিজয়ের মাসে আবারও পরাজিত করতে নতুন প্রজন্মের বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস ছিল উল্লেখ করার মতো। তরুণ প্রজন্মের সন্তানরা স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন- ‘আমরা নিশ্চয়ই যুদ্ধাপরাধীদের জোটকে ভোট দেব না। সে যে দলেই হোক না কেন, রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে যারা রাজাকারদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে, তাদের কখনও আমরা ভোট দেব না।’ রাজাকার-আলবদর ও স্বাধীনতাবিরোধী মুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের শপথে একাত্তরের মতোই যেন গর্জে উঠেছিল তারা। বিজয়ের সাতচল্লিশ পেরিয়ে আটচল্লিশ বছরে পদার্পণের দিনে দেশবাসী যেন দ্বিতীয় যুদ্ধজয়ের শপথে ছিল উদ্বেলিত, বলিয়ান। আর সেই দ্বিতীয় যুদ্ধজয় হচ্ছে জাতীয় নির্বাচনে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে পরাজিত করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তিকে বিজয়ী করার। এ কারণে এবারের বিজয় দিবসের প্রতিটি কর্মসূচীতেই ছিল নির্বাচনের হাওয়া। প্রতিটি কর্মসূচীতেই উচ্চারিত হয়েছে প্রায় অভিন্ন স্লোগান- ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় স্বাধীনতাবিরোধীদের ঠাঁই নাই, জামায়াত-শিবির-রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়, ধানের শীষের দিন শেষ, নৌকা মার্কার বাংলাদেশ।’ মহান বিজয় দিবসে অহংকার আর অর্জনের বিজয়োল্লাসে মেতে ছিল পুরো বাংলাদেশ। রক্তের ঋণ শোধ করার গর্ব, নিষ্ঠুরতার বিচার করতে পারার তৃপ্তি। রাজাকার-আলবদর ও স্বাধীনতাবিরোধী মুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের শপথে একাত্তরের মতোই যেন গর্জে উঠেছিল তারা। বিজয়োৎসবে মাঠে নামা কোটি মানুষের একাত্তরের বীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধায় অবনত শির আর চোখে ছিল একাত্তরের ঘাতক রাজাকার-আলবদর-যুদ্ধাপরাধী ও তাদের দোসরদের প্রতি তীব্র ঘৃণার আগুন। এসব প্রমাণ করে দেয়, সেই রক্তক্ষয়ী ৯ মাসের প্রতিটি ক্ষণ কৃতজ্ঞ জাতি এক মুহূর্তের জন্যও ভুলতে পারে না, ভোলেনি। আর ভুলবেও না। কৃতজ্ঞ বাঙালী জাতি গভীর শ্রদ্ধায় ফুলে ফুলে ভরিয়ে দিয়েছে ত্রিশ লাখ শহীদের স্মৃতির মিনার। বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জাতীয় স্মৃতিসৌধে এসে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে স্বাধীনতাবিরোধীদের ফের পরাজিত করে বিজয়ের মাসে আরেকটি বিজয় ছিনিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছেন রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধারা। তারা বলেছেন, বিজয় দিবসের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে প্রয়োজনে আবারও তারা যুদ্ধে যেতে রাজি আছেন। যতই চেষ্টা করুক, বিজয়ের মাসে স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার-আলবদর ও তাদের সহযোগীদের পরাজিত করবই। পাশাপাশি তরুণ ও নতুন ভোটারদের এই চেতনা লালন করে মুক্তিযুদ্ধ ও প্রগতির পথে দেশকে এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান তারা। বিজয় দিবসে গোটা দেশই মেতে উঠেছিল বাঁধভাঙ্গা বিজয়োৎসবে। নেচে-গেয়ে ওঠেছিল বিজয়ের আনন্দে। বিজয়ের আনন্দ আর নতুন প্রজন্মের বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। বিজয়ের আনন্দে মাতোয়ারা হতে রাজপথে নেমে আসা লাখ লাখ শিশু-কিশোর থেকে আবাল বৃদ্ধ-বনিতার চোখে মুখে যেমন ছিল বিজয়ের আনন্দ, ঠিক তেমনি ছিল একাত্তরের স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে ঘৃণা-ধিক্কার আর জামায়াত নিষিদ্ধের প্রচ- দাবি। মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের পর রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের শপথ নিয়ে রবিবার বিজয়ের ৪৭ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে বাংলাদেশ। তবে আনন্দমুখর এ উৎসবে বরাবরের মতো এবারও আন্তঃস্রোত বয়ে গেছে স্বজন হারানোর বেদনা। বিজয় দিবসের নানা আয়োজন তরুণ প্রজন্মকে দোলা দিয়েছে, স্মৃতির ঝাঁপিতে নাড়া দিয়েছে ইতিহাসের সেদিনের সাক্ষীদের। বাংলাদেশের সোঁদাগন্ধ ময়ী মাটির যে হৃদস্পন্দন সেখানে এই বাংলার প্রতিটি সন্তানের ভিন্ন মাত্রিক সম্পর্ক দেশপ্রেমের দর্শনকে ক্রমাগত শাণিত করেছে। রাজধানী ঢাকা থেকে ওঠা রাজাকার-আলবদরমুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের এই দাবি বিজয়ের দিনে ঢেউয়ের মতো আছড়ে পড়ে গোটা দেশে। এভাবেই স্বস্তির পরিবেশে মুক্ত আকাশে মুক্ত বিহঙ্গের মতো লাখো জনতার বাঁধভাঙ্গা আনন্দ উচ্ছ্বাস, মহান শহীদদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে জাতি পালন করল মহান বিজয় দিবস। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অলি-গলি, পাড়া-মহল্লা রাজপথে বিনা বাধায় দিনভর বেজেছে জাতির জনকের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের বজ্রকঠিন ভাষণের রেকর্ড আর কালজয়ী দেশাত্মবোধক গানগুলো। বাঙালী জাতি আনন্দ, বেদনা আর বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও লাখো শহীদকে, স্বাধীন রাষ্ট্রের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। দিবসটির মূল অঙ্গীকারই ছিল পরাজিত অপশক্তি ও তাদের দোসরদের আগামী নির্বাচনে পরাজিত করে জঙ্গীবাদমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ-স্বনির্ভর মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার। বিকেলে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনে এক সংবর্ধনার আয়োজন করেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অংশ নেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিজয় দিবসের কেক কাটেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। দিবসটি ঘিরে আলোচনা, সেমিনার, বক্তৃতা ও যুক্তিতর্কসহ সবকিছুতেই ঘুরে ফিরে প্রাধান্য পায় আগামী নির্বাচন এবং সেই নির্বাচনে স্বাধীনতাবিরোধীদের পরাজিত করার আহ্বান। জঙ্গীবাদ-মৌলবাদ, ক্ষুধা-দারিদ্র্য ও দুর্নীতিমুক্ত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নতুন এক জন্মভূমির স্বপ্নের কথাও ধ্বনিত হয়েছে সর্বত্র। রাজধানীসহ সারাদেশের রাস্তাঘাট, অফিস-আদালত, দোকানপাট, যানবাহন এবং বাসাবাড়িতে পতপত করে উড়েছে লাখো শহীদের রক্তস্নাত লাল-সবুজ পতাকা। ছোট ছোট কাগজ বা কাপড়ের তৈরি পতাকা হাতে নিয়ে বা বুকে-পিঠে লাগিয়ে শিশু-কিশোররা বেরিয়েছিল ঘরের বাইরে। কেউ কেউ মুখে এঁকেছিল লাল-সবুজ পতাকা। বিজয় দিবসে কোথাও স্বাধীনতাবিরোধী সেই জামায়াত-শিবিরের টিকেটিও খুঁজে পাওয়া যায়নি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শাণিত নতুন প্রজন্মের সাহসী পথচলায় এবারের বিজয় দিবসে রাজনৈতিক বিতর্ক বা স্বাধীনতাবিরোধীদের কোন আস্ফালন ছিল না। তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর এলাকায় সূর্যোদয়ের সময় ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে রবিবার ভোরে বিজয় দিবসের কর্মসূচী শুরু হয়। ভোর থেকেই সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ এবং ধানম-ির বঙ্গবন্ধুর বাসভবনের সামনে নামে জনতার ঢল, সন্ধ্যা পর্যন্ত মানুষের ভিড় ছিল লক্ষণীয়। অন্যদিকে রাজধানীজুড়ে বিজয় দিবস ঘিরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা। পথে পথে সঙ্গীত, নাটকসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিকথা এবং সব কর্মসূচীতে স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রতি ঘৃণা ও ধিক্কার প্রকাশ পায়। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রবিবার ছিল সরকারী ছুটি। শিশু-কিশোরসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালা ঘুরে ঘুরে উপভোগ করে। রাজধানীসহ বিভিন্ন বিভাগীয় এবং জেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক মোহনা জাতীয় ও উৎসব পতাকা দিয়ে সাজানো হয়। বেতার-টেলিভিশনে বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান এবং সংবাদপত্রে ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে দিবসটির মাহাত্ম তুলে ধরা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে হাসপাতাল, শিশুসদন, কারাগার ও এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। এছাড়া জাতির সুখ, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে মসজিদে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ মোনাজাত। মন্দির, গির্জা, প্যাগোডায় বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় স্মৃতিসৌধে জনতার ঢল ॥ হাতে লাল-সবুজের পতাকা আর রং-বেরংয়ের ফুল, হৃদয়ে গভীর শ্রদ্ধা আর ভালবাসা নিয়ে আর আগামী নির্বাচনে যুদ্ধাপরাধী ও তাদের দোসরদের পরাজিত করার দীপ্ত শপথে সকাল থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানসহ সর্বস্তরের লাখো মানুষের ঢল নেমেছিল সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে। দেশের শ্রেষ্ঠ সূর্য সন্তানদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা আর ভালবাসার ফুলে ফুলে ঢেকে যায় জাতীয় স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদি। স্মৃতিসৌধে লাখো মানুষের জমায়েতে ছিল বুড়ো থেকে শিশু পর্যন্ত সববয়সী মানুষের। ছিলেন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা। বিজয়ের আনন্দ আর উচ্ছ্বাসে জাতীয় স্মৃতিসৌধকে ঘিরে গোটা সাভার যেন পরিণত হয় উৎসবের নগরীতে। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এদিন ভোরে শীতের মধ্যে কুয়াশায় ঘেরা স্মৃতিসৌধের সামনে জড়ো হয় হাজার হাজার জনতা। সকালের প্রথম প্রহরে ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে লাখো শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপ্রতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিন বাহিনীর সুসজ্জিত একটি দল তাদের গার্ড অব অনার প্রদান করেন। বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। এর আগে ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচী সূচিত হয়। পরে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং এক মিনিট নীরবতা পালন করে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। প্রায় একই সময় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে লাখো শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানানোর আনুষ্ঠানিকতা। এরপর আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে দলের পক্ষে ফুল দেন সভানেত্রী শেখ হাসিনা। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রাষ্ট্রপতি স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন। এরপর তারা স্মৃতিসৌধ এলাকা ত্যাগ করেন। এ সময় মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবৃন্দ, কূটনৈতিক নেতৃবৃন্দ, তিন বাহিনীর প্রধান, মুক্তিযোদ্ধা এবং পদস্থ সামরিক এবং বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিসৌধস্থল ত্যাগ করার পর সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য খুলে দিলে সাধারণ মানুষের ঢল নামে। এ সময়ে প্রধান বিচারপতি, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, কূটনীতিক, রাজনীতিবিদ, শিল্পী-বুদ্ধিজীবী, মুক্তিযোদ্ধা, পেশাজীবী, শ্রমিক আর শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত শ্রদ্ধায় ফুলে ফুলে ভরে উঠে স্মৃতিসৌধের বেদি। সকাল ৯টায় বিএনপির পক্ষ থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পরে সাংবাদিকদের বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। আজ আবারও সেই চেতনা প্রতিষ্ঠার জন্য, গণতন্ত্রের অধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বেগম খালেদা জিয়র মুক্তির জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে। গোটা জাতি বিজয়ের আনন্দ করতে পারছে না দাবি করে তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের ওপর সরকার যে হামলা, মামলা ও নির্যাতন চালাচ্ছে- তাতে নির্বাচন একটা প্রহসনে পরিণত হচ্ছে। এসব সহিংসতার ঘটনায় নির্বাচন কমিশন তাদের অদক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে। বিজয়ের মাসে নির্বাচন দিয়ে সরকার সেই নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে। এ সময় বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান, ডাঃ এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, ডাঃ দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবু প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বলেন, সব দলের অংশগ্রহণে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। কিছু জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও পরিস্থিতি কমিশনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে নয়। ১৪ দিনের মধ্যে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কোথাও কোথাও একটু সমস্যা হচ্ছে। এত বড় একটা নির্বাচন এগুলোকে উড়িয়ে দেয়া যায় না। হয়তো সংঘাত হচ্ছে বা হবে। তবে সবকিছু আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। আমরা অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে পারি, সবাই নির্বাচন আচরণবিধি মেনে চললে নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু হবে। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে জনতার ঢল ॥ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রবিবার সকালে জনতার ঢল নেমেছিল রাজধানীর ধানম-ির ৩২ নম্বর সড়কের বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই জনতার ঢল নামে সেখানে। সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা মিছিল করে ৩২ নম্বর সড়কের পূর্ব ও পশ্চিম পাশের মোড়ে জমায়েত হতে থাকে। সকাল ৭টার মধ্যেই সর্বস্তরের মানুষের ভিড়ে গোটা এলাকা কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে সরকার প্রধান হিসেবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল বঙ্গবন্ধুকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ও মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে নীরবে কিছু সময় তিনি দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে তিনি আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় প্রধান হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে মোনাজাতে অংশ নেন। এ সময় কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, একেএম এনামুল হক শামীম, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, দেলোয়ার হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, আমিনুল ইসলাম আমিন, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মারুফা আক্তার পপি, এ্যাডভোকেট রিয়াজুল কবির কাওসার, গোলাম রব্বানী চিনু উপস্থিত ছিলেন। এরপর ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও ভাতৃপ্রতীম সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। পরে বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষসহ সর্বস্তরের জনগণ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা আর ভালবাসার ফুলে ফুলে ভরে যায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি। রাষ্ট্রের জন্মদিনে মিলন মেলা বঙ্গভবনে ॥ বাঙালীর জাতিরাষ্ট্র গঠনের জন্মযুদ্ধে বিজয়ের ৪৭ বছর পূর্তিতে সুরের মূর্ছনা আর নানা শ্রেণী পেশার মানুষের পদচারণায় রবিবার মুখর ছিল বঙ্গভবন। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিক, সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, বিদেশী কূটনীতিক, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ সমাজের নানা পেশার মানুষের পদচারণা ছিল রাষ্ট্র প্রধানের বাসভবনে। বিজয় দিবসে বরাবরের মতো সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ, যা মূলত পরিণত হয় মিলন মেলায়। এবারও কয়েক হাজার মানুষের উপস্থিতি ছিল বঙ্গভবনের সবুজ গালিচায়। বরেণ্য শিল্পীদের দেশাত্মবোধক ও লোকগান, শিশুশিল্পী আর সশস্ত্র বাহিনীর বাদক দলের সঙ্গীতের মূর্ছনা এই আয়োজনের স্বাতন্ত্র এনে দিয়েছিল। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। বিকেল সাড়ে তিনটায় স্ত্রী রাশিদা খানমকে সঙ্গে নিয়ে অনুষ্ঠানস্থল বঙ্গভবনের মাঠে আসেন রাষ্ট্রপতি। এর কিছুক্ষণ আগে অনুষ্ঠানস্থলে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতি ও তাঁর স্ত্রী মঞ্চে আসার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় জাতীয় সঙ্গীত। পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি। এরপর বেলুন উড়িয়ে বিজয় উৎসবের সূচনা করা হয়। এবারই প্রথম বিজয় দিবসে বঙ্গভবনে বেলুন উৎসব করা হলো। বঙ্গভবনের মাঠ ও ছাদ থেকে কয়েক শ’ বেলুন ওড়ানো হয়। পরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবারের সদস্যসহ আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন এবং তাদের সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দেন। অনুষ্ঠান মাঠের ভিভিআইপি এনক্লোজারে বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কেক কাটেন। কেক কাটার পর তারা মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, বিদেশী অতিথি, সুপ্রীমকোর্টের বিচারপতি, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধানসহ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। বঙ্গভবনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, জোট শরিক যুক্তফ্রন্টের নেতা একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী অংশ নেন। বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন। ডিপ্লোম্যাটিক কোরের ডিন ভ্যাটিক্যানের রাষ্ট্রদূত জর্জ কোচেরি, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আল রবার্ট মিলার, ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রীংলা, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার এ্যালিসন ব্লেইক, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পোসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরাও অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে দেশবরেণ্য শিল্পী রফিকুল আলম, ফাহমিদা নবী, বাপ্পা মজুমদার, মেহরীন, মুনিরা বাউল গান গেয়ে শোনা। এছাড়া শিশু একাডেমির শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করে। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রধানমন্ত্রীর বিজয়ের উপহার ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪৮তম বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশের সব মুক্তিযোদ্ধাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আহত মুক্তিযোদ্ধাদের শুভেচ্ছা জানাতে প্রধানমন্ত্রী প্রতি বছরের মতো এবারও নগরীর মোহাম্মদপুরের গজনবী রোডে অবস্থিত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন কেন্দ্রে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ফুল, ফল এবং মিষ্টি পাঠিয়েছেন। রবিবার সকালে রাজধানীর কলেজ গেটে মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১ এ গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার খুরশীদ আলমসহ কয়েকজন কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো শুভেচ্ছা উপহার মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পৌঁছে দেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যার উপহার পেয়ে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, ঈদ ও পহেলা বৈশাখের মতো প্রতিটি জাতীয় দিবসে তাদের স্মরণ রাখার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘ জীবন কামনা করেন। প্রধানমন্ত্রীর স্মারক ডাকটিকেট অবমুক্ত ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ৪৮তম বিজয় দিবস উপলক্ষে রবিবার ১০ টাকার স্মারক ডাকটিকেট ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে পাঁচ টাকা মূল্যমানের একটি ডাটা কার্ড এবং একটি বিশেষ সিলমোহর ব্যবহার করা হয়েছে। উক্ত ডাকটিকেট, উদ্বোধনী খাম ও ডাটা কার্ড রবিবার হতে ঢাকা জিপিওর ফিলাটেলিক ব্যুরো থেকে বিক্রি করা হচ্ছে। পরবর্তীতে অন্যান্য জিপিও/প্রধান ডাকঘরসহ দেশের সব ডাকঘর থেকে এ স্মারক ডাকটিকেট বিক্রি করা হবে। উদ্বোধনী খাম ব্যবহারের জন্য চারটি জিপিওতে বিশেষ সিলমোহরের ব্যবস্থা আছে। অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, ডাক বিভাগের মহাপরিচালক সুশান্ত কুমার মন্ডলসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বঙ্গবন্ধু মাজারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা ॥ গোপালগঞ্জ থেকে আমাদের নিজস্ব সংবাদদাতা নীতিশ চন্দ্র বিশ্বাস জানান, টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে মহান বিজয় দিবসের শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেছে আওয়ামী লীগ। বিজয় দিবসের প্রথমার্ধে বেলা ১১টায় আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এ শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন। এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য লে. কর্নেল (অব) মুহাম্মদ ফারুক খান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শেখ মোহম্মদ আব্দুল্লাহ, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কাকন, পৌর মেয়র কাজী লিয়াকত আলী লেকু, আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম মিটু, ইলিয়াস হক, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ আব্দুল হালিম, সাধারণ সম্পাদক আবুল বশার খায়ের, জেলা যুবলীগ সভাপতি জিএম সাহাবুদ্দিন আজম, ছাত্রলীগ নেতা মোল্লা রনি হাসান কালু ও নিউটন মোল্লাসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
×