ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে যারা হাত মিলিয়েছে তাদের রুখে দাঁড়ান ॥ তোফায়েল

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮

  স্বাধীনতাবিরোধীদের  সঙ্গে যারা হাত  মিলিয়েছে তাদের রুখে দাঁড়ান ॥ তোফায়েল

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভোলা, ১৬ ডিসেম্বর ॥ ভোলা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ আজ সঠিক পথে এগিয়ে চলেছে। এখানে যদি কোন ব্যত্যয় ঘটে তবে দেশ আবার ২০০১ সালের মতো ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাবে। সেজন্য বাংলার মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করে আবার বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করবে। আজ রবিবার ভোরে ভোলায় জেলা প্রশাসক প্রাঙ্গণে মুক্তিযুদ্ধের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বাণিজ্যমন্ত্রী পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমি ৩০ লাখ শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। ৪ জাতীয় নেতা বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন। শহীদ মিনারের পদদেশে দাঁড়িয়ে বাংলার জনগণের কাছে আহ্বান জানাব -যারা মাকে ছেলেহারা করেছিল। বাবাকে পুত্রহারা করেছিল। বোনকে স্বামীহারা করেছিল। সেই স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গে যারা আজ হাত মিলিয়ে ঐক্য করেছে তাদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার চেতনা এবং মূল্যবোধ নিয়ে যেন রুখে দাঁড়ায় এবং আগামী নির্বাচনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর রক্তে গড়া দল আওয়ামী লীগকে আবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিজয়ী করে, এটিই আজ ১৬ ডিসেম্বর আমার প্রত্যাশা। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর এদিনে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে আত্মসমর্পণে বাধ্য করে আমরা বিজয় লাভ করেছি। সেই বিজয় দিবস উপলক্ষে শহীদ দিবসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধা করি। তিনি অনেক কষ্টে করে, মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে এই দেশকে স্বাধীন করেছেন। বঙ্গবন্ধুর দুটি স্বপ্ন ছিল একটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা, আরেকটি বাংলাদেশকে ক্ষুধামুক্ত-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা করা। একটি তিনি করে গেছেন। বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে যখন অর্থনৈতিকভাবে মুক্তির পথে এগিয়ে নিয়ে চলছিলেন তখনি ঘাতকের গুলিতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা বিদেশে ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যার হাতে আওয়ামী লীগের পতাকা আমরা তুলে দিয়েছিলাম। সেই পতাকা হাতে নিয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে তিনি দলকে পরিচালনা করে ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেছেন। আবার ২০০৮ সালে বিজয়ী হয়ে ১০ বছর ধরে রাষ্ট্র পরিচালনা করে বাংলাদেশকে জাতির পিতার সেই স্বপ্নের সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করার পথে এগিয়ে নিয়ে চলে আন্তর্জাতিক বিশ্বে বাংলাদেশকে মর্যাদার আসনে আসীন করেছেন। এদিকে ভোলা জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড, ভোলা প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ভোলা শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে এবং যুগীরঘোল ওয়াপদা কলোনির বধ্যভূমিতে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানায় এবং দোয়া মোনাজাতের মাধ্যমে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে। ৃ
×