ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত

প্রকাশিত: ০৭:৫৩, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮

বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বঙ্গোপসাগরের অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘পেথাই’-এ পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘পেথাই’ আরও উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে রবিবার সন্ধ্যায় একই এলাকায় অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে আগামী দুদিন দেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে। ডিসেম্বরে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা নেই। তবে ঘূর্ণিঝড়টি কেটে গেলে বাড়তে পারে শীতের তীব্রতা। সৃষ্টি হতে পারে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ। আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১৩৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর বা উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেগুলোকে গভীর সাগরে বিচরণ না করারও পরামর্শ দেয়া হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, আজ সোমবার খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য স্থানে আংশিক মেঘলা থেকে মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, ডিসেম্বর মাসের শেষার্ধে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এক থেকে দুটি মৃদু অথবা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। দেশের উত্তরাঞ্চলে ইতোমধ্যে মাঝারি ধরনের শীত অনুভূত হচ্ছে। সন্ধ্যা থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত পড়ছে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা। আগামী তিন দিনে দেশের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা অনেক হ্রাস পাবে। চলতি মাসে মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণের তেমন সম্ভাবনা নেই। আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, ডিসেম্বর মাসে শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চল ও নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি অথবা ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা অথবা মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। তবে সারাদেশে একটানা দুই থেকে তিন দিন ঘন অথবা মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। ডিসেম্বর মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। এ মাসে রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেতে পারে। দেশের প্রধান নদ-নদীসমূহে পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক থাকবে।
×