ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ভাঙ্গুড়ায় ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা

প্রকাশিত: ০০:৪২, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮

ভাঙ্গুড়ায় ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা

সংবাদদাতা, ভাঙ্গুড়া, পাবনা ॥ পাবনার ভাঙ্গুড়ায় তৃতীয় শ্রেণীর এক শিশু শিক্ষার্থী (১২) ধর্ষণের শিকার হয়ে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে। সে ভেরামাড়া দাখিল মাদ্রাসার এবতেদায়ী শাখার তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। গত ৬ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে ছাত্রীর মা বাবা শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন লক্ষ্য করে ভাঙ্গুড়া শরৎনগর বাজার ইউনিকেয়ার ডায়গনষ্টিক এন্ড হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসলে ডাঃ আল্ট্রাসনোগ্রাফী করে জানায় সে সাত মাসের অন্তঃসত্বা। বাবা মা বিষয়টি জানতে চাইলে ধর্ষিতা বলেন, গত সাত মাস পূর্বে রমজান মাসে চাচাতো ভাই নায়েব আলী (৪৫) আমাকে মাছ কাটার কথা বলে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে, আমি চিৎকার দিলে গামছা দিয়ে আমার মুখ চেপে ধরে এবং কাউকে বললে প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখায় জীবনের ভয়ে আমি কাউকে কিছু বলিনি। লম্পট নায়েব আলী ভাঙ্গুড়া উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের মৃত আল্লেক আলীর ছেলে। সে তিন সন্তানের জনক। জানা যায় স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক বাবলুর পরামর্শে ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমনীষা কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে অনাগত সন্তানকে হত্যার চেষ্টা করে। সে সময় ইসমাইল হোসেন তার পূত্রবধূ ভাঙ্গুড়া উপজেলার রাংগালীয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের হেলথ প্রোভাইডার রত্না খাতুন ও ভিকটিমের মামী মরিয়ম বেগম উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু গর্ভের সন্তান ৭ মাসের হ্ওয়ায় ক্লিনিকের কর্মরত ফিরোজা খাতুন এতে অসম্মতি জানায়। পরে তারা পাবনা সদরের কোন এক ক্লিনিকে নিয়ে গিয়ে গর্ভের সন্তান নষ্টের চেষ্টা করে। শিক্ষার্থীর মা বলেন, ‘শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন হওয়ায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। মেয়ের পেট ফাঁপার বিষয়টি ডাক্তারকে জানালে পরীক্ষা করে অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি ধরা পড়ে। পরে মেয়েকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে সে ঘটনা খুলে বলে। এ ঘটনা এলাকায় প্রকাশ হওয়ায় নায়েব আলী এই বিষয়ে আপোষ মিমাংসা না হলে আমাদের বাড়ি ছাড়ার হুমকি দেয় এবং এলাকার প্রধান ও পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে সালিশের মাধ্যমে একলক্ষ বিশ হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টি চেপে যেতে বাধ্য করেন অন্যথায় আরও বিপদ হবে বলে। সালিশের প্রধান ইসমাইল হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন উভয় পক্ষই আমার আত্বীয় হওয়ায় বিষয়টি আপোষ মিমাংসা করেছি। পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ মোঃ হেদায়তুল্লা বলেন, এই বিষয়ে আমার জানা নেই তবে খোজ খবর নিয়ে ভিকটিমকে আইনের আশ্রয় নিতে সহযোগিতা দিব। ফরিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার বলেন, এই বিষয়ে আমি কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ফরিদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওবাইদুর রহমান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুদ রানা বলেন,এখন নির্বাচনের কাজে ব্যস্ত আছি পরে অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।
×