ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

‘উন্নয়ন ধারা এগিয়ে নিতে শেখ হাসিনাকে জয়যুক্ত করুন’

প্রকাশিত: ০১:১২, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮

‘উন্নয়ন ধারা এগিয়ে নিতে শেখ হাসিনাকে জয়যুক্ত করুন’

রাবি সংবাদাদাতা ॥ ‘আজ বাংলাদেশে জঙ্গীবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও স্বাধীনতা বিরোধীদের রুখে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ধারায় উন্নয়ন যাত্রা এগিয়ে চলছে। এ ধারার অব্যহত রাখতে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে জয়যুক্ত করে পুনরায় ক্ষমতায় আনতে হবে। সময় এসেছে স্বাধীনতা বিরোধী সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের মূলোৎপাটন করে দিয়ে তাদের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিতে হবে।’ সোমবার বিকেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন রাজশাহী সদর আসনের মহাজোট মনোনীত প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশা। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সভাটি আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ। সভায় বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা আরও বলেন, ড. কামালের ঘর ও পরিবার আজকে জামায়াতের দিকে চলে গেছে। যতদিন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলেছে ততদিন তাকে মুখ খুলতে দেখি নাই। তার জামাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে দেশ-বিদেশে বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করেছে। ড. কামাল যদি যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে পারেন নাই তবে একমাত্র তাদের বাঁচাতে পারবে আজরাইল। সাবেক এই রাকসু নেতা আরও বলেন, আমরা ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে স্বাধীনতা বিরোধীদের মূলোৎপাটন দেখতে চাই। তাই এই দিনে জননেত্রী শেখ হাসিনার নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে তার সরকারকে ক্ষমতায় আবার এনে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যহত রাখতে হবে। মতবিনিময় সভায় রাবি উপাচার্য এম. আব্দুস সোবহান বলেন, আমরা চাই ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ নির্বিশেষে সমান অধিকার সকলে পাবে এমন একটি বাংলাদেশ। তাই আপনারা ৩০ ডিসেম্বর সবাই সজাগ থাকুন। নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করতেই হবে। এই বিজয়ের মাসে, গর্বের মাসে আমাদের জয় নিশ্চিত হবে। প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক অধ্যাপক এম. মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দকুমার সাহা, অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান আল আরিফ, জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রভাষকুমার কর্মকার প্রমূখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল গণি। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
×