ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিজয়মঞ্চের আলোচনা

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষায় মহাজোটের বিকল্প নেই

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষায় মহাজোটের বিকল্প নেই

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষায় মহাজোটের বিকল্প নেই। তাই আসন্ন নির্বাচনে ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন এই জোটকে ক্ষমতায় আনতে হবে। কারণ, এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়েছে দুটি পক্ষ। এক পক্ষে আছে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি মহাজোট। আর অপর পক্ষে আছে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতকে নিয়ে গঠিত ঐক্যফ্রন্ট। ভোটের মাধ্যমে অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটকে জয়যুক্ত করে অব্যাহত রাখতে হবে দেশের অগ্রযাত্রা। বিজয়মঞ্চ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। আমার ভোট আমি দেব/মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে দেব স্লোগানে যৌথভাবে শাহবাগ চত্বরে এই মঞ্চ গড়ে তুলেছে সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক। বিজয় দিবস থেকে সূচনা হওয়া মঞ্চের কার্যক্রম চলবে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত চলমান অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের, শরণার্থী শিবিরের, উন্নয়নের গান পরিবেশনার পাশাপাশি নির্বাচনকেন্দ্রিক মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির পক্ষে আলোচনা করবেন বিশিষ্টজনরা। সোমবারের আলোচনায় অংশ নেন নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মহাসচিব (প্রশাসন) এমদাদ হোসেন মতিন ও মুক্তিযোদ্ধা এবিএম সুলতান আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য দেন বিজয়মঞ্চের সদস্য সদস্য মুক্তিযোদ্ধা ওসমান আলী। সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ। দেশের অগ্রযাত্রার ধারা অব্যাহত রাখতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে নির্বাচনে বিজয়ী করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে রামেন্দু মজুমদার বলেন, এবারের ৪৭তম বিজয় দিবসের নানা আয়োজন-অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া প্রতিটি মানুষের মাঝে দেখা গেছে একটি বিশেষ অঙ্গীকার। সেটা হলো, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ক্ষমতায় দেখতে চায় সবাই। আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুটি পক্ষ সৃষ্টি হয়েছে। একদিকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অপরদিকে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল জোট ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ড. কামাল হোসেন। বিজয় দিবসের দুদিন আগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে সাংবাদিকের এক প্রশ্নে অদ্ভুত আচরণ করেন কামাল হোসেন। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকারী জামায়াতের সঙ্গে জোট বেঁধেছেন কেনÑসাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি ক্ষেপে যান। বলেন, এ প্রশ্ন করার জন্য কত টাকা পেয়েছো। দেখে নেব তোমাকে। চিনে রাখলাম। এটা কোন সুস্থ মানুষের আচরণ হতে পারে না। এসব কারণেই এবারের নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা কি আলোর পথে যাত্রা অব্যাহত রাখব নাকি আবার হত্য অন্ধকারের পথে যাবÑসেটা আমাদেরই নির্ধারণ করতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি, নতুন প্রজন্ম সঠিক জায়গায় পৌঁছেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে চলার দেশের অগ্রগতিকে তারা থেমে যেতে দেবে না। তাদের মতো আমাদেরও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে কাজ করে যেতে হবে। আমরা সংস্কৃতিকর্মীরা যে সুন্দর বাংলাদেশের জন্য কাজ করি শুধুমাত্র মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি জয়ী হলেই সেই কাক্সিক্ষত স্বদেশ আমরা ফিরে পাব। গোলাম কুদ্দুছ বলেন, সত্তরের নির্বাচনে জয়ী হয়ে বাঙালী পেয়েছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। আর ২০১৮ সালের নির্বাচনে ভোটযুদ্ধে বিএনপি-জামায়াত ও তার মিত্রশক্তিকে পরাজিত করে বাঙালী পাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাসমৃদ্ধ, উন্নত ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে নিবেদন, গণআজাদী লীগ সাংস্কৃতিক দল। বাউল সঙ্গীত পরিবেশন করে দেলোয়ার ও সোনিয়া। দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করে ত্রিলোক বাচিক পাঠশালা ও বৈকুণ্ঠ। দলীয় নৃত্য পরিবশেন করে নৃত্যদল নৃত্যাক্ষ। একক কণ্ঠে গান শোনান ফকির আলমগীর, শেখ মিলন, বিশ্বজিৎ রায়, সন্দিপন, সঞ্জয় কবিরাজ ও আসিফ ইকবাল সৌরভ। একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন ডালি আহমেদ ও আহসান উল্লাহ তমাল।
×