ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

খালেদার নির্বাচনে প্রার্থিতার বিষয়ে রিটের শুনানি আজ

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮

খালেদার নির্বাচনে প্রার্থিতার বিষয়ে রিটের শুনানি আজ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে দায়ের করা রিট শুনানিতে তৃতীয় বেঞ্চের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে আইনজীবীদের আবেদনের শুনানির জন্য আজ মঙ্গলবার দিন নির্ধারণ করেছে আদালত। খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি জে বি এম হাসানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার মামলাটি মুলতবির আদেশ দেন। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। পরে খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল বলেন, খালেদা জিযার রিটের ওপর শুনানি হবে না। আমরা যে অনাস্থা আবেদন করেছি তার ওপর শুনানি হবে। রিজেক্ট করলে আবার আমরা প্রধান বিচারপতির নিকট আবেদন জানাব। তিনি আরও বলেন, সকালে আমরা আদালতের কাছে লিখিত আবেদন করে সময় চাই। পরে আদালত প্রথমে আজ (সোমবার) দুপুরে ও পরে আগামীকাল (মঙ্গলবার) শুনানির সময় ঠিক করে দেন। ১৩ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতির ঠিক করে দেয়া তৃতীয় বেঞ্চের প্রতি অনাস্থা জানায় তার আইনজীবীরা। পরে আদালত আজ সোমবার পর্যন্ত মুলতবি করে আদেশ প্রদান করে। বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন একক বেঞ্চে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। ১১ ডিসেম্বর বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহম্মেদ ও বিচারপতি মোঃ ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ নির্বাচনে অংশ নেয়ার খালেদা জিয়ার রিট আবেদনে বিভক্ত আদেশ দেন। বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ রুলসহ মনোনয়নপত্র গ্রহণের আদেশ দিলেও বেঞ্চের অপর বিচারপতি মোঃ ইকবাল কবির তা নাকচ করেন। হাইকোর্টের দেয়া ওই বিভক্ত আদেশের কপি এবং সংশ্লিষ্ট নথি প্রধান বিচারপতির কাছে ওই দিনই পাঠানো হয়। পর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ১২ ডিসেম্বর বিচারপতি জে বি এম হাসানে একক তৃতীয় বেঞ্চ গঠন করে দেন। ১৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা ২টায় ওই বেঞ্চে মামলা তিনটির শুনানি শুরু হলে খালেদা জিয়ার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী মৌখিকভাবে অনাস্থা জানান। শুনানির শুরুতেই এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে আপনার আদালতের প্রতি আমাদের আস্থা নেই।
×