ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮

ঢাকার দিনরাত

বিজয় দিবসের দুদিন আগেই শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, অর্থাৎ বুদ্ধিজীবী হত্যার দিন। শোকের দিন, রাজাকার আলবদরদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশের দিন। সেদিন ঢাকায় বাহারি আলোকসজ্জা কি স্বাভাবিক? পনেরো তারিখে উৎসবের রঙে সাজানো যায় শহরটাকে। তার আগে হলে একটু বিসদৃশই লাগে। বুদ্ধিজীবী দিবসে উদীচী যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমতলায় শ্রদ্ধা নিবেদন করছে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি, ঠিক সে সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্বলছে নানা রঙের আলো। এই বিশ্ববিদ্যালয়েই জ্ঞান বিলিয়েছেন মুনীর চৌধুরী, গোবিন্দ চন্দ্র্র দেব, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, রাশিদুল হাসানসহ আরও কত সূর্যসন্তান। যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন জন্মভূমিকে স্বাধীন করতে। তাঁদের স্মরণের এই বেদনাবিধুর দিনে এই লাল-নীল আলো কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ? বিজয় দিবসে ঢাকা বিজয় দিবসের সকালে অফিসের উদ্দেশে যাত্রা শুরুর আগে যে এলাকায় বসবাস করি (উত্তরা) সেখানকার ‘উৎসব সকালের পরিবেশ’ দেখার জন্য বেশ কিছুক্ষণ এ সড়ক সে গলিতে ঘোরাঘুরি করি। প্রতিটি বিজয় দিবসেই এমন ঘুরে বেড়ানোর মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপনের বৈশিষ্ট্য অনুধাবনের চেষ্টা করি। তার আগে বলে রাখা দরকার এ বছর বিজয় দিবসের আগে সরকারী ছুটি দুদিন হওয়ায় বহু ঢাকাবাসী মোট তিন দিনের ছুটিতে ঢাকার বাইরে বেড়ানোর কাজেই ব্যয় করেছেন। অনেকেই চলে গেছেন দেশের বাড়ি। অনেকে চা বাগান, সমুদ্র সৈকত বা পাহাড়ী অঞ্চলে অবকাশ যাপনে গেছেন। এমনিতেই ডিসেম্বরে স্কুল-শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা হয়ে যাওয়ায় তারা কিছু দিনের ছুটি পায়। অভিভাবকরা এই ছুটির সঙ্গে মিলিয়ে নিজেদের ছুটির পরিকল্পনা করেন। তারপর ঢাকা ছাড়েন। ফলে সঙ্গত কারণেই বিজয় দিবসের সময়টাতে ঢাকা অনেকটাই ফাঁকা থাকে। এবারের বিজয় দিবসে একটু বেশি ফাঁকাই মনে হলো। আর ঢাকা ফাঁকা মানেই হলো যানজটে নাভিশ্বাস থেকে মুক্তি। তাই বলে যানবাহনের সংখ্যা বিজয় দিবসে লক্ষ্যযোগ্যভাবে কমে যাবে? একটু অবাকই হলাম। সকালের দিকে প্রাইভেট গাড়ির স্বল্পতা থাকতে পারে। বিকেলে বেড়ানোর পরিকল্পনা থাকে বহুজনের। কিন্তু গণপরিবহনের সংখ্যা বেশ কমে যাওয়ার কারণ দেখি না। একইভাবে মোটরবাইকের সংখ্যাও বেশ কম দেখলাম। আমাদের কাগজ জনকণ্ঠেই পড়লাম বাইক চালনায় অনিয়মের জন্য পুলিশের বিশেষ অভিযান সংক্রান্ত বিশদ প্রতিবেদন। আমাদের প্রতিবেদকের সরেজমিন প্রতিবেদন থেকে কিছুটা তুলে দিচ্ছিÑ ‘বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেলের ত্যক্তবিরক্ত মগবাজারের এক পিঠাওয়ালা জনকণ্ঠকে অভিযোগ করেন, গত দশ বছর ধরে এখানে বসে পিঠা বানাচ্ছি। আগে কখনও এভাবে একসঙ্গে এত মোটরসাইকেল দল বেঁধে চলতে দেখিনি। এখন তারা এমনভাবে চলে, দেয়ালের সঙ্গে পিঠ ঘেঁষে বসেও দুশ্চিন্তায় থাকি। সেদিন এক মোটরসাইকেল এমনভাবে এসে ঘেঁষে দাঁড়াল যে সামনে একটা লোক দৌড়ে তাকে সাইড দিতে গিয়ে পড়ে যায়। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের গোলচক্করে দুই পথচারি সাইড না দেয়ায় মোটরসাইকেল আরোহী তাদের ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। প্রতিবাদ করলে মুহূর্তেই বেশ ক’টি মোটরসাইকেল এসে জড়ো হয়ে পাল্টা হুঙ্কার দিয়ে চলে যায়। বিমানবন্দর গোলচক্কর পুলিশ ফাঁড়ির পূর্বপাশের ডাবের দোকানের সামনে দেখা যায় জনাবিশেক মোটরসাইকেল রাস্তার ওপর জটলা বেঁধে অপেক্ষা করছে যাত্রী ধরার জন্য। এত মোটরসাইকেল রাস্তার ওপর এলোপাতাড়ি ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকায় সাধারণের চলাচলে বিঘœ ঘটে থাকে। তারা কিভাবে এখানে বসে থাকে প্রশ্ন করা হলে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক সিদ্দিকুর রহমান ভূঁইয়া জনকণ্ঠকে বলেন, যানবাহন আইনের ব্যত্যয় ঘটলেই পাকড়াও করা হচ্ছে। প্রতিদিনই কমপক্ষে দশ/বারোটি করে মোটরসাইকেল আটক করে থানায় পাঠানো হয়। বৃহস্পতি ও শুক্রবারও গোটাদশেক মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’ কথায় কথায় প্রসঙ্গ থেকে একটু দূরে চলে এসেছি। বলছিলাম বিজয় দিবসের সকালটার কথা। এ কথা অস্বীকার করব না যে, দুটি সেক্টরের বড় বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধই দেখলাম। সেগুলোর সামনেও জাতীয় পতাকা প্রদর্শিত হচ্ছে না। একুশে ফেব্রুয়ারি ও ১৬ ডিসেম্বরÑ এ দুটি দিনে দুই ঘণ্টার জন্য হলেও প্রতিটি শিক্ষাঙ্গন খোলা রাখা চাই। সুপরিকল্পিত অনুষ্ঠান রাখা চাই। তা না হলে দিবসের মর্যাদা এবং জাতির ইতিহাস-সংস্কৃতির সঙ্গে শিশু-কিশোরদের সংযুক্তি ঘটবে কিভাবে? বেশ কিছু ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বন্ধ দেখলাম। তবে তার কয়েকটির সামনে জাতীয় পতাকা উড়ছে পতপত করে। এই দায়িত্ববোধের পরিচয় তারা দিয়েছেন। বিজয় দিবসে যারা পরাজিত পক্ষ ছিল তারা নিজেদের লুকিয়ে রাখবে এই দিনে। যারা বিজয়ী তারা সগৌরবে নিজেদের উপস্থিতির জানান দেবে, আনন্দ-উচ্ছ্বাস প্রকাশ করবেÑ এটাই তো স্বাভাবিক। এক কিশোরকে সাইকেল চালিয়ে যেতে দেখলাম। ক্যারিয়ারে ডেইরি বক্স। দুধ বিলি করতে বেরিয়েছে। তার সাইকেলের সামনে কাগজের তৈরি জাতীয় পতাকা শোভা পাচ্ছে। এক তরুণ যুগলকে দেখলাম লাল-সবুজে মেশানো পোশাকে নিজেদের সাজিয়ে রিক্সায় করে যাচ্ছে। জাতীয় পতাকার রঙে পোশাক পরার মধ্য দিয়ে তারা এক অর্থে দিবসটির মাত্রার সঙ্গেই যে নিজেদের জড়িয়ে রেখেছে এতে কোন সন্দেহ নেই। দুয়েকটি বিপণি বিতান যে তাদের পণ্যের ওপর শতকরা ১৬ ভাগ মূল্যছাড় দিয়েছে ১৬ ডিসেম্বর স্মরণেÑ এটাকেও খাটো করে দেখার কিছু নেই। এসবের অর্থই হলো কোন না কোনভাবে বিজয় দিবসের মূল চেতনার সঙ্গে থাকা। পথ চলতে চলতে মনে হচ্ছিল কোথাও মুক্তিযুদ্ধের গান কেন বাজছে না। অনেকটা দূরে যাওয়ার পর শুনলাম সেই বজ্রকণ্ঠ, রক্তের ভেতর কেমন এক দোলা এসে আঁছড়ে পড়ে প্রায় অর্ধশতাব্দীকাল পেরিয়ে যাওয়ার পরেও। ভাবছিলাম বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠস্বর শুনে রাজাকারদের কী অনুভূতি হয়। পারলে নিশ্চয়ই তারা কানে তুলো গুজত। দুঃখের বিষয় এই বিজয়ের মাসেও ঢাকায় তাদের পক্ষে নির্বাচনী প্রচার চলছে। বিজয় দিবসে বিকেলে শাহবাগ-ধানম-ি এলাকা বিজয়ের বিপুল সৌরভ যেন ছড়িয়ে ছিল। ফেসবুকে লাইভ দেয়ার সুযোগ কাজে লাগিয়ে বন্ধু-স্বজনদের সঙ্গে এসব অনুষ্ঠান ও আনন্দ ভাগ করে নিয়েছেন অনেকেই। একটা বিষয় বিশেষভাবে লক্ষণীয়, সেটি হলো বিজয় দিবসটিকে রাজধানীবাসী বেশ ক’বছর হলো বিশেষ উৎসবের দিনে পরিণত করেছে। পহেলা বৈশাখে যেমন অল্প বয়সীদের উচ্ছল ঘোরাঘুরি লক্ষ্য করা যায়, ১৬ ডিসেম্বরেও তেমনটি ঘটছে। বিশেষ পোশাকও বেছে নিচ্ছে তারা। শীতকে উপেক্ষা করে ছেলেরা পাঞ্জাবি আর মেয়েরা শাড়ি পরছে। লাল-সবুজে ডিজাইনকৃত পোশাক যদি নাও হয় তা হলেও পোশাকে লাল ও সবুজের ছোঁয়া রাখছে। এটি একইসঙ্গে দেশপ্রেম ও সচেতনতা প্রকাশকারী। বেশ একটা প্রাণময় উৎসবের দিনই বানিয়ে ফেলেছে তারা বিজয় দিবসকে। ছুটির দিন হওয়ায় তাদের এই সানন্দ স্বচ্ছন্দ চলাচল অন্যদের মনেও আনন্দের আভা ছড়িয়ে দেয়। তবে কথা হচ্ছে আনন্দটাই সব নয়, আনন্দের পাশে কিছু কষ্ট সহ্য করার মানসিকতাও থাকা চাই। কষ্ট করে দেশের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে। যারা তাদের এই আনন্দের উপলক্ষ নিয়ে এসেছেন সেই দেশপ্রেমিকদের জন্য কিছু ত্যাগ স্বীকারের প্রতিজ্ঞা থাকতে হবে। সেইসঙ্গে এই দেশটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যারা কাজ করে চলেছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ হৃদয়ে ধারণ করতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা, সমাজের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সামান্য হলেও উদ্যোগ নিতে হবে। তবেই না আনন্দ পুরোপুরি সুখ বয়ে আনবে। উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি, বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে বিত্তহীন কোন মানুষের জন্য একখানা শীতবস্ত্র কিনে তাকে উপহার দেয়ার ব্যবস্থা নিন, সেইসঙ্গে কাছের বন্ধুটিকেও একই কাজ করার জন্য উৎসাহিত করুন- তাহলে বিজয় দিবসের আনন্দে নিশ্চয়ই ভিন্নমাত্রা যোগ হবে। সেক্ষেত্রে ‘স্বার্থপর’ আনন্দ হয়ত বা ভিন্নতর সুখের সন্ধান পাবে। গান, কবিতা ও নাটক উৎসবের উপাদান হলেও নানা কথামালায় মুখরিত হয়ে থাকে বিজয় উৎসব। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শত্রুপক্ষ পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে পরাস্ত করে মাতৃভূমিকে দখলমুক্ত করার গভীর তৃপ্তি ও আনন্দ থেকে উৎসারিত হয় এ উৎসব। যদিও উৎসবের নেপথ্যে থাকে স্বজন হারানোর বেদনা ও ব্যাপক ক্ষতির ক্ষত। দুঃখ-শোক-ক্ষোভ ও যন্ত্রণা উজিয়ে কখনও কখনও উপচে পড়ে বিজয় গৌরবের সুখ। ঢাকার প্রতিটি অঞ্চলে, পাড়া-মহল্লায় বিজয় দিবসকে ঘিরে আয়োজিত হয় আলোচনা সভা ও আনন্দোৎসব। এসব আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ এ কারণে যে, আজকের নবীন প্রজন্ম এ থেকে পূর্বপুরুষদের গৌরবগাথা ও অর্জন সম্বন্ধে প্রত্যক্ষভাবে জানতে পারে। একইসঙ্গে স্বাধীনতার জন্য স্বদেশের বিপুল ত্যাগ স্বীকার সম্পর্কেও ধারণা লাভ করে। প্রতিবছরই বিজয় উৎসব নতুন নতুন উদ্দীপনা ও অঙ্গীকার নিয়ে উপস্থিত হয়। কবিতার জগতে আমরা অনেকেই বিচরণ করি। বাংলাদেশ কবি ও কবিতারই দেশÑ এমন কথা বলতেও আমাদের ভাল লাগে। সমকালীন কবি এবং কবিতা নিয়ে নানা সময়ে নানা অভিযোগ উত্থাপিত হলেও বাঙালীর মন আজও কবিতাকাতর। সম্ভবত চিরকালই বাঙালী কবিতা ভালবাসবে। বিজয় দিবসের মতো একটি আনন্দঘন তাৎপর্যময় দিবসে সর্বত্রই আমরা কবিতারই জয়জয়কার প্রত্যক্ষ করি। বেতার টেলিভিশনে দিনভর নানা অনুষ্ঠানে কবিতার সংযোজন থাকে অর্থপূর্ণভাবে। ঢাকার বিভিন্ন মঞ্চে, বিদ্যাপীঠে যত আয়োজন হয়ে থাকে, সাভারের স্মৃতিসৌধ থেকে শুরু করে টিএসসিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে শহীদদের স্মরণে ও বিজয়োৎসব উদযাপনে যত আনুষ্ঠানিকতা থাকে, তার প্রতিটিতেই কবিতার চরণ উদ্ধৃত হয়। বিজয় দিবসে সব সংবাদপত্রের বিশেষ সাময়িকীতে বা ক্রোড়পত্রে পুরো পাতাভর্তি অথবা একগুচ্ছ কবিতার প্রকাশ আমাদের ঐতিহ্যেরই অংশ। এমনকি সরকারের পক্ষ থেকে যে ক্রোড়পত্রটি স্পন্সর করা হয় বিভিন্ন দৈনিকে, তাতে আমরা কবিতার উজ্জ্বল উপস্থিতি লক্ষ্য করি। এভাবেই আমাদের পাঠকরা অভ্যস্ত। অথচ ক্ষোভ ও পরিতাপের বিষয় বিগত কয়েক বছর ধরে এ নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটিয়ে চলেছে বেশ কিছু প্রথম সারির সংবাদপত্র। তবে পাশাপাশি এ কথাও বলতেই হবে এক্ষেত্রে জনকণ্ঠ সত্যিকারের জনতার প্রতিনিধি হিসেবে সংস্কৃতির ধারাবাহিকতা রক্ষা করে চলেছে। বিজয় দিবসের বিশেষ সাময়িকীতে এক পৃষ্ঠা ভরা কবিতা মুদ্রিত হয়েছে রঙিন সচিত্রকরণসহ। প্রতীক ও প্রার্থীর প্রচার জাতির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন এসে গেল। প্রতীক বরাদ্দের পর ক’দিন হলো নির্বাচনী প্রচারে আর বিধিনিষেধ নেই। নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী ছোট আকারের সাদাকালো পোস্টার ছাপিয়েছেন প্রার্থীরা। আমার বাসার এলাকায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হলেনÑ সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আর অফিস এলাকায় বর্তমানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বাসার কাছে নৌকার পোস্টারই বেশি দেখলাম। দড়ি দিয়ে বেঁধে সারি সারি ঝোলানো হয়েছে। ধানের শিষের পোস্টার নেই। তবে আছে হাতপাখা। আর অফিসের কাছে নৌকার পাশাপাশি কোদাল প্রতীকের পোস্টার চোখে পড়ার মতো। অফিসে কাজের ফাঁকে কান ঝালাপালাও করে দিচ্ছে মাইকে কোদাল প্রার্থীর প্রচার। বলা যায় এখনও পুরোপুরি জমে ওঠেনি প্রচারণা। হঠাৎ হঠাৎ কর্মীরা স্লোগান দিয়ে মিছিল করে চলে যাচ্ছে রাস্তা দিয়ে। ছোট ছোট ক্যাম্প-অফিস করা হয়েছে। নিউ ইস্কাটনের এমন একটি অফিসের আলোকসজ্জা দৃষ্টি আকর্ষণ করে। প্রতীক ঝোলানো হয়েছে যা দূর থেকে দেখা যায়। অবশ্য এখন পর্যন্ত কোন প্রার্থীর লিফলেট হাতে পাইনি। ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮ [email protected]
×