ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

স্বল্প মূলধনী কোম্পানিতে নিলামের দরেই শেয়ার কিনতে হবে

প্রকাশিত: ০৭:০৩, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮

স্বল্প মূলধনী কোম্পানিতে নিলামের দরেই শেয়ার কিনতে হবে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পুঁজিবাজারে ছোট মূলধন সম্পন্ন কোম্পানির জন্য দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে আলাদা বোর্ড হচ্ছে। স্মল ক্যাপ বোর্ড নামের এ বোর্ডে ছোট কোম্পানিগুলোর শেয়ার কেনাবেচা হবে। এই বোর্ড চালু হওয়ার আগে আসছে সংশোধনী। সূত্র বলছে, বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে আসা কোম্পানিগুলোর বিডিং হবে ডাচ অকশন পদ্ধতিতে। এই পদ্ধতিতে আন্ডাররাইটার প্রতিটি শেয়ারের দর একটি উচ্চমূল্য নির্ধারণ করে নিলাম শুরু করবে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা নিলামে সেই মূল্যের সূত্র ধরে, কোম্পানির সব কিছু বিবেচনা করে, শেয়ার দর এবং পরিমাণ কোট করবে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের করা দরে সেই পরিমাণ শেয়ার তাদের কিনতে হবে। যে দরে শেয়ার বিড করবে, সেই দরে ও সেই পরিমাণ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নিতে হবে। এতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা আর কারসাজির আশ্রয় নিতে পারবে না। কারণ বেশি দরে শেয়ার বিড করলে বেশি দরে কিনতে হবে তাদের। এক্ষেত্রে কম দরে শেয়ার পাওয়া যাবে ভেবে দেরিতে শেয়ার বিড করলে হয়ত শেয়ার না পাওয়া যেতে পারে। অর্থাৎ তার বিড মূল্য কাট-অফ প্রাইসের নিচে হলে ওই বিনিয়োগকারী শেয়ার পাবে না। এ ক্ষেত্রে কোম্পানির সামগ্রিক তথ্য সঠিকভাবে বিচার বিশ্লেষণ করে নিলামে বিড করতে হবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের। এই নিলামে এমন হবে ভুল বিশ্লেষণ করার কারণে বেশি দরে শেয়ার কিনবে অনেকে। আবার বেশি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে শেয়ার পাবে না অনেকে। সূত্র বলছে, এই পদ্ধতি সফল হলে পাবলিক ইস্যু রুলসেও আগামীতে পরিবর্তন আসতে পারে। বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে আসা কোম্পানিগুলোর বর্তমান পরিশোধিত মূলধন এবং কোয়ালিফাইড ইনভেস্টরস অফার (কিউআইও) মিলে ন্যূনতম ১০ কোটি টাকা হবে। আর স্থির মূল্য পদ্ধতিতে আসা কোম্পানিগুলোর বর্তমান পরিশোধিত মূলধন এবং কোয়ালিফাইড ইনভেস্টরস অফার (কিউআইও) মিলে ন্যূনতম ৫ কোটি টাকা হবে। ৩০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানি এই বাজারে থাকতে পারবে না। এই পরিমাণ মূলধনের কোম্পানিকে মূল মার্কেটে তালিকাভুক্ত হতে হবে। স্মল ক্যাপ কোম্পানির কিউআইও তে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আবেদন করতে পারবে না। কেবল প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা আবেদন করতে পারবে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী বলতে ওই প্রতিষ্ঠান বা উচ্চ সম্পদধারী ব্যক্তি; যাদের পোর্টফোলিওতে নেট এ্যাসেট ১ কোটি টাকা। এই বাজারে তালিকাভুক্ত হতে আসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবশ্যই পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হতে হবে। এর আগে গত ২০ নবেম্বর কিছু পরিবর্তন ও পরিমার্জন সংশোধনসহ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (কোয়ালিফায়েড ইনভেস্টর অফার বাই স্মল ক্যাপিটাল কোম্পানিজ) রুলস ২০১৮-এর চূড়ান্ত অনুমোদন করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। যা জনমত যাচাই করা হয়। এর আগে ৬৪২তম সভায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (কোয়ালিফায়েড ইনভেস্টর অফার বাই স্মল ক্যাপিটাল কোম্পানিজ) রুলস ২০১৮-এর খসড়া অনুমোদন করা হয়।
×