ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চাঁদপুরে স্ত্রী ও ২ সন্তানকে হত্যা করে স্বামীর আত্মহত্যা

প্রকাশিত: ০৭:০৮, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮

চাঁদপুরে স্ত্রী ও ২ সন্তানকে হত্যা করে স্বামীর আত্মহত্যা

নিজস্ব সংবাদদাতা, চাঁদপুর, ১৭ ডিসেম্বর ॥ চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী ফাতেমা আক্তার (২৫), কন্যা মিথিলা ফারজানা (৫) পুত্র সিয়ামকে (১) শ^াসরোধ করে হত্যা করে স্বামী মোঃ মাইনুদ্দিন (৩০) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। রবিবার গভীর রাতে ওই ইউনিয়নের দেবপুর গ্রামের সরদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মাইনুদ্দিন সরদার বাড়ির মিয়াজী সরদারের ছেলে। সে চট্টগ্রাম একটি বিস্কুট ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন। নিহত মাইনুদ্দিনের মা ফিরোজা বেগম জানান, গত কয়েকদিন আগে মাইনুদ্দিনের স্ত্রীর কানের দুল হারিয়ে যায়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কলহ দেখা দেয়। এরপরে মাইনুদ্দিন চট্টগ্রাম তার কর্মস্থলে চলে যায়। তার স্ত্রীকে তার পিতা এসে মতলব দক্ষিণ উপজেলার করবন্দ গ্রামে পিত্রালয়ে নিয়ে যায়। স্ত্রী কেন শ^শুর বাড়িতে চলে গেছে এ নিয়েও মাইনুদ্দিন ও স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা কাটকাটি হয়। মাইনুদ্দিনের বড় ভাই কালাম সরদার জানান, শনিবার সকালে চট্টগ্রাম থেকে বাড়িতে আসে এবং শ^শুর বাড়িতে গিয়ে স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে আসে। শ^শুর বাড়িতেও কথা কাটাকাটি হয় হারিয়ে যাওয়া স্বর্ণের গহনা নিয়ে। সোমবার ভোর ৪টার দিকে মাইনুদ্দিনের আরেক বড় ভাই জসিম উদ্দিন মালয়েশিয়া থেকে তার মা ফিরোজা বেগমকে ফোন দেয়। মাকে বলে মাঈনুদ্দিন তার ফেসবুকে সে মরে যাবে তার কবর ঠিক করার জন্য এবং স্ত্রী, সন্তানদের ভিডিও করে ফেবুকে আপলোড দেয়। জসিম মা ও ভাইকে তার ঘরে গিয়ে দেখার জন্য বলে। পরে মা ফিরোজা বেগম ও ভাই কালাম সরদার ঘরে গিয়ে দরজা খুলে প্রথমে দুই শিশুকে লেপের নিচে মৃত পড়ে থাকতে দেখেন এবং মাইনুদ্দিনকে ঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁস দেয়া ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন। তারা চিৎকার করলে বাড়ির লোকজন আসে এবং পরে খোঁজাখুঁজি করে বাড়ির পুকুরে খুঁটির মধ্যে ফাতেমার মরদেহ বাঁধা অবস্থায় দেখেন। ধারণা করা হচ্ছে ফাতেমাকে বিষপান করিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর চাঁদপুরে পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির পিপিএম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। রাঙ্গাবালীতে পুলিশের মৃতদেহ উদ্ধার স্টাফ রিপোর্টার গলাচিপা থেকে জানান, অস্ত্রসহ নিখোঁজের ১৫ ঘণ্টা পর পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী থানা পুলিশের কনস্টেবল মোঃ ফিরোজ খানের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার রাত আটটার দিকে কনস্টেবল ফিরোজ খান (৩৫) নিখোঁজ হন। সোমবার বেলা এগারোটার দিকে বুড়াগৌরাঙ্গ নদ থেকে তার লাশ উদ্ধার হয়। এ সময় ফিরোজের সঙ্গে থাকা অস্ত্র পাওয়া গেছে। নিহত ফিরোজ বরিশাল উজিরপুর থানার শিকারপুর গ্রামের সালাম খানের ছেলে। জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার রাতে উপজেলার গহিনখালী সংলগ্ন বুড়াগৌরাঙ্গ নদে একটি ট্রলার নিয়ে রাঙ্গাবালী থানার এএসআই ইয়াসিনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টহলদল মাদকবিরোধী অভিযানে যায়। প্রায় দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর ওই গোপন সংবাদের সত্যতা না পাওয়ায় তারা ট্রলার নিয়ে থানার উদ্দেশে রওনা হন। পথিমধ্যে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি জেলে ট্রলারের (ফিশিং বোট) সঙ্গে পুলিশ বহনকারী ট্রলারের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশবাহী ট্রলারটি ডুবে গেলে ইয়াসিন ও কনস্টেবল মিজান সাঁতরে তীরে আসতে সক্ষম হলেও অস্ত্র এবং গুলিসহ ফিরোজ খান (কক্ষ নম্বর ৯৫১) নিখোঁজ হন। পরে পুলিশ ও স্থানীয় জেলেদের যৌথ উদ্ধার অভিযানের প্রায় ১৫ ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলের কাছাকাছি শটগান ও ২০ রাউন্ড গুলিসহ ফিরোজের মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। বগুড়ায় মহিলা স্টাফ রিপোর্টার বগুড়া অফিস জানান, শিবগঞ্জ উপজেলার বুড়িগঞ্জ ইউনিয়নের পঞ্চদগাস গ্রামের পুকুর পাড় থেকে রবিবার রাতে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক মহিলার (৩০) অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হতে পারে বলে পুলিশের ধারণা।
×