ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সীমান্ত সজলের ‘জয়তু’

প্রকাশিত: ০৮:০৭, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮

সীমান্ত সজলের ‘জয়তু’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সম্প্রতি স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলোর বিভিন্ন ধারাবাহিক নাটক নিয়ে সমালোচনা হলেও এক্ষেত্রে অনেকটাই প্রশংসিত একক বা খ- নাটক। এই বিশেষ শ্রেণীর নাটকের সাফল্যের ওপর ভর করে অনেকটাই টিকে আছে বাংলাদেশের টিভি নাটক। বেশ কয়জন তরুণ নির্মাতা খ- নাটক নির্মাণ করে প্রশংসিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একজন তরুণ নির্মাতা সীমান্ত সজল। ইতোমধ্যে তার নির্মিত বেশ কয়টি নাটক প্রশংসিত হয়েছে স্যাটেলাইট চ্যানেল এসএটিভিতে প্রচার হলো সীমান্ত সজল নির্মিত বিজয় দিবসের বিশেষ নাটক ‘জয়তু’। ‘জয়তু’ নাটকের গল্পে দেখা যায় একজন বীরাঙ্গনা নারী ও তার কন্যার, ষাটোর্ধ মুক্তিযোদ্ধা এই নারী এখন স্মৃতির অতলে ডুবে আছে। শুধুমাত্র মাকে দেখার জন্য প্রতি বছর বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আসে তার কন্যা চল্লিশোর্ধ মেম সাহেব। ষাটোর্ধ বয়স্ক মায়ের এক বান্ধবীর কাছ থেকে এই মেম সাহেব মায়ের স্মৃতিশক্তি হারিয়ে যাওয়ার আগের গল্প জেনে অবাক হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। দেশের জন্য একজন নারীর ত্যাগ তিতিক্ষার গল্প এবং অবশেষে জাতীয় পতাকা হাতে পেয়ে তার কানে জাতীয় সঙ্গীতের সেই চিরচেনা বাণী ও সুর আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি ধ্বনিত হতে থাকে। বিজয় দিবসে নতুন প্রজন্মের উত্তরসূরিদের কাছ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি ফুলের মালা হাতে নিয়ে জাতীয় পতাকার রাজটিকা মাথায় বেঁধে এই মুক্তিযোদ্ধা নারী কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে স্মৃতিশক্তি খুঁজে পায়। এমন গল্পের বুননে অনবদ্য অভিনয় করেন জননন্দিত অভিনেত্রী সুমাইয়া শিমু। গল্পের প্রয়োজনে এই অভিনেত্রী একাই তিনটি ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় দক্ষতা ফুটিয়ে তোলেন। যা সহজেই দর্শকদের আকৃষ্ট করে। ‘জয়তু’ নাটকটির গল্প রচনা ও চিত্রনাট্য তৈরি করেছেন জহির করিম। রয়েল টাইগার নিবেদিত পথিক পরিবেশিত বিজয় দিবসের বিশেষ নাটক ‘জয়তু’র বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন সুমাইয়া শিমু রওনক হাসান, শম্পা রেজা, ইশরাত চৈতি রায়, দীপক কর্মকার, শিখা কর্মকারসহ অনেকে। ‘জয়তু’ নাটকটির নির্বাহী প্রযোজক শাহ আলম সিকদার, প্রধান সহকারী পরিচালক ছিলেন দেবব্রত রায়, সিনেমাটোগ্রাফি ফরহাদ হোসেন, সম্পাদনা, টাইটেল ও আবহ সঙ্গীত করেছেন মোহাম্মদ নূর উদ্দিন।
×