ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নানা আয়োজনে দিনাজপুরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন দিবস পালিত

প্রকাশিত: ০১:১২, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮

নানা আয়োজনে দিনাজপুরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন দিবস পালিত

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ আজ মঙ্গলবার দিনাজপুরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন দিবস পালিত হয়। এম.আব্দুর রহিম সমাজ কল্যাণ ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষনা কেন্দ্রের আয়োজনে সকাল সাড়ে ৯টায় দিনাজপুর ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি। ১৯৭১ সালে ১৮ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় মুজিব নগর সরকারের পশ্চিমাঞ্চলীয় জোন ১ এর চেয়ারম্যান তৎকালীন এমপি আওয়ামী লীগ নেতা এম.আব্দুর রহিম দিনাজপুর গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। সে সময় সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সৈয়দ মোকাদ্দেস হোসেন বাবলুর নেতৃত্বে বাংলার বীর সেনানী মুক্তিযোদ্ধার একটি চৌকস দল জাতীয় পতাকাকে সালাম জানান। এরপর হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর এম.আব্দুর রহিমের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলী জানান সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড.আব্দুল লতিফ, এম.আব্দুর রহিম সমাজ কল্যাণ ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষনা কেন্দ্রের সভাপতি এ্যাড.আজিজুল ইসলাম জুগলু, কার্যকরী সভাপতি সফিকুল হক ছুটু, সাধারন সম্পাদক চিত্ত ঘোষ, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদুল ইসলাম, দিনাজপুর এম.আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের ভাইস চেয়ারম্যান ডাঃ আব্দুর সালাম, বিএমএ’র সভাপতি ডাঃ ওয়ারেস, দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বরুপ কুমার বকশী বাচ্চু, সাধারন সম্পাদক গোলাম নবী দুলাল, দিনাজপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওয়াহেদুল আলম আর্ষ্টিটসহ স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, জেলা ও শহর মহিলা লীগ, শ্রমিক লীগ ও যুব-ছাত্র ছাত্রীসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও সর্বস্তরের মানুষ। এরপর সন্ধ্যায় দিনাজপুর নাট্য সমিতিতে এম.আব্দুর রহিম সমাজকল্যাণ ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষনা কেন্দ্রের সভাপতি এ্যাড.আজিজুল ইসলাম জুগলুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য, এম.আব্দুর রহিম পশ্চিম জোন-১ এর জোনাল চেয়ারম্যান ছিলেন। তার অধীনে ১১২টি রিলিফ ক্যাম্প, ১২টি যুব অর্ভ্যথনা শিবির, ৬টি মুক্তিযোদ্ধ ক্যাম্পসহ ১টি মুক্তিযোদ্ধা বাছাই ক্যাম্প ছিল। যুদ্ধ বিধ্বস্ত দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় অঞ্চল পুর্নগঠনে আত্মনিয়োগ করেন এবং ত্রান ও পূর্নবাসন কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।
×