ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নির্মূল কমিটির অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী

আগামী নির্বাচনে যুদ্ধাপরাধী পক্ষের শক্তিকে পরাজিত করতে হবে

প্রকাশিত: ০৬:০০, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮

আগামী নির্বাচনে যুদ্ধাপরাধী পক্ষের শক্তিকে পরাজিত করতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা যে স্বাধীনতা পেয়েছি সেই স্বাধীনতা কাউকে নস্যাৎ করতে দেয়া হবে না। সেই স্বাধীনতা যেন আরও উজ্জ্বল হয়, শহীদদের মর্যাদা যেন আরও বাড়ে সেই চেষ্টা করতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সকল মানুষ চায় উন্নয়ন। তারা ধ্বংস-ফ্যাসাদ চায় না। কারণ বর্তমানে তারা অনেক শান্তিতে আছে এবং তাদের এখন অন্যের কাছে ভিক্ষা করতে হয় না। সেই অবস্থায় তারা পৌঁছেছে। এটাকে আমাদের ধরে রাখতে হবে। শুধু ধরে রাখলে হবে না, সেটাকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। মঙ্গলবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সপক্ষের আইনজীবীদের জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সারাবিশে^ আমাদের পরিচিত করে দিয়েছেন। আমরা চাই তাঁর নেতৃত্বে ২০২১ সালে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হোক। আমরা চাই ২০৪১ সালে বাংলাদেশ শেখ হাসিনার স্বপ্নের উন্নত দেশ হোক। এই পরিকল্পনা নিয়ে আমরা যদি এগিয়ে যাই তাহলে আসছে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে যুদ্ধাপরাধীদের সপক্ষের দলকে পরাজিত করতে হবে। তাদের নির্মূল করতে হবে। তিনি বলেন, এই নির্বাচনে স্বাধীনতার পক্ষের ও স্বাধীনতার বিরোধীদের মধ্যে যুদ্ধ হচ্ছে। এই নির্বাচনে আমাদের স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রত্যাখ্যান করতেই হবে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ২১০০ সালে বাংলাদেশের উন্নয়নের পরিকল্পনা দিয়েছেন। তিনি ছাড়া আর কেউ বাংলাদেশকে নিয়ে ২১০০ সালের পরিকল্পনা দেয় নাই। তাই এই নেতৃত্বকেই আমাদের ধরে রাখতে হবে। এই নেতৃত্বের হাত শক্ত করতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। তাই আপনারা যারা সচেতন ব্যক্তি তারা যদি জনগণকে বুঝান, জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন, জনগণের পাশে থাকেন এবং শেখ হাসিনার আদর্শ সমন্ধে জনগণকে বলেন, তাহলে আজকে তার প্রতি জনগণের যে সমর্থন আছে তা আরও সোচ্চার হবে। মন্ত্রী বলেন, যে অপশক্তি আমাদের আবার ১৯৭০ সালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে, সেই চেষ্টা আমাদের ধ্বংস করতে হবে এবং যারা এই চেষ্টায় লিপ্ত আছেন তাদের শক্তিকেও আমাদের নস্যাৎ করতে হবে। তাই আসুন ৩০ ডিসেম্বরের এই পরীক্ষায় আমরা উত্তীর্ণ হই এবং ২০১৯ থেকে ২১০০ সালের যে পরিকল্পনা সেটা বাস্তবায়নে সকলে একসঙ্গে কাজ করে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্ত করি। ড. কামাল হোসেন সম্পর্কে তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে যে দিন হত্যা করা হয়, তখন তিনি ইংল্যান্ডে ছিলেন। উনি তারপর থেকে যা যা করেছেন সেটা আপনারা যদি দেখে থাকেন তাহলে বুঝবেন বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে উনি কোন কাজ করেন নাই। আজকেও যেটা উনি করছেন সেটাও বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে না। আজকে ওনার আসল রূপটা বেরিয়ে গেছে। এখন তিনি যাদের সঙ্গে আছেন, আগে থেকেই তাদের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক ছিল। তিনি আজ নিজের মাস্ক (মুখোশ) খুলে দিয়ে নিজেই তাদের যে শক্তি সেটা ব্যবহার করছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রথম চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ নিজামুল হক নাসিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সাবেক প্রধান বিচারপতি মোঃ তাফাজ্জাল ইসলাম, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, লেখক ও সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, এ্যাডভোকেট রানাদাশ গুপ্ত প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
×