ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

দীপন হত্যা মামলা

মেজর সৈয়দ জিয়াসহ ৮ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশীট

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮

মেজর সৈয়দ জিয়াসহ ৮ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশীট

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রকাশক ফয়সাল আরেফীন দীপন হত্যা মামলায় নিষিদ্ধ আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সামরিক শাখার প্রধান ও বরখাস্তকৃত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকসহ ৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট (অভিযোগপত্র) দিয়েছে ডিবি পুলিশ। মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম সারাফুজ্জামান আনছারীর আদালতে এ অভিযোগপত্র (চার্জশীট) উপস্থপন করা হয়। পরে বিচারক দেখিলাম মর্মে স্বাক্ষর করেন। এরপর মামলাটি পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন। এর আগে গত ১৫ নবেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ ফজলুর রহমান এ চার্জশীট দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে (চার্জশীট) আসামিরা হচ্ছেন, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সামরিক শাখার প্রধান ও বরখাস্তকৃত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান, আবদুর সবুর সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে স্বাদ, খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে জিসান, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার, শেখ আবদুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের ও আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ। এ আসামিদের মধ্যে সেনাবাহিনীর বরখাস্তকৃত মেজর জিয়াউল হক জিয়া ও আকরাম হোসেন পলাতক। গ্রেফতাকৃত অভিযুক্তদের মধ্যে ছয়জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। চার্জশীটে তদন্তকারী কর্মকর্তা ১১ আসামিকে অব্যাহতি দেয়ার সুপারিশ করেছেন। এরা হচ্ছেন, আরাফাত রহমান, সেলিম ওরফে হাদী, আলম, আকাশ, তৈয়ব, জনি, আসাদ, হাসান, তালহা, শরিফুল ও তারেক। এদের মধ্যে প্রথম জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যপ্রমাণ না পাওয়ায় এবং অপর আসামিদের পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানা না পাওয়ায় তাদের অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে। মামলার আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী শেষে ১০ জন জড়িত মর্মে নাম এসেছিল। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের ছেলে ফয়সল আরেফীন দীপনকে ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর দুপুরের পর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। একই দিন কাছাকাছি সময়ে লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর কার্যালয়ে ঢুকে এর স্বত্বাধিকারী আহমেদুর রশীদ টুটুল, লেখক সুদীপ কুমার ওরফে রণদীপম বসু ও প্রকৌশলী আবদুর রহমানকে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার চেষ্টা করে। দীপনকে হত্যা ঘটনায় তার স্ত্রী রাজিয়া রহমান রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
×