ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

বড় চ্যালেঞ্জ এখন বৈষম্য কমানো

প্রকাশিত: ০৬:৪২, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮

বড় চ্যালেঞ্জ এখন বৈষম্য কমানো

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চার যুগে পা দেয়া বাংলাদেশ এখন শক্ত অর্থনৈতিক ভিতে প্রতিষ্ঠিত। যাকে বহু স্বীকৃতি দিয়েছে পুরো বিশ্ব। তবে, এখনও বড় চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে বৈষম্য কমানো, বেকারত্ব দূর করা এবং প্রবৃদ্ধির গুণগত বণ্টন। বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা গেলে সমৃদ্ধির সোপানে আরও একধাপ এগুবে বাংলাদেশ। সোনার চেয়ে খাঁটি এই বাংলাদেশে বিজয়ের মাস এলেই হলুদে ছেয়ে যায় গোটা প্রকৃতি। সূর্যের আলোর সঙ্গে শিশিরকণার লুকোচুরি শেষ হলে, আড়মোড়া ভাঙ্গে চারদিকে। আর নরম সূর্যটির তেজ বাড়লে শিমের ডগায় উঁকি দেয় আরও একটি স্বপ্ন। যেই স্বপ্নের বীজ বোনা হয়েছে চারযুগ আগে লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে। এদেশের মাটিতে সোনা ফলে অবিরাম। ৪০ বছরের কৃষক জহুরুল ইসলাম তাই সেই সোনার খোঁজে প্রতিনিয়তই ছোটেন নিজ জমিনে। নিত্য এই রুটিনে অন্যতম সঙ্গী তিন বছরের ছোট্ট সন্তানটি। তার মতে, মাত্র এক দশকের ব্যবধানে, গ্রামীণ অর্থনীতি যে বেশ খানিকটা চাঙ্গা হয়েছে, তার প্রমাণ তিনি নিজেই। এক সময়ে কৃষি নির্ভর বাংলাদেশে এখনও অর্থনীতির অন্যতম ভরসা এই খাত। যার মূল্য সংযোজন বেড়েছে বহুগুণ। সবজি, মাছ কিংবা চালের উৎপাদনের গড়ছে নিত্য রেকর্ড। থেমে নেই প্রযুক্তির ব্যবহার। যদিও, গোটা অর্থনীতিতে এর অংশ কমছে ধীরে ধীরে। যা দখল করছে শিল্পখাত। তবে, এক রকম সস্তা মজুরির ওপর ভিত্তি করে এগানো এই খাতকে আরও সামনে নিতে হলে, দরকার নতুন আঙ্গিকে বিনিয়োগ এবং পরিকল্পনা। গত এক দশকে অর্থনীতিতে গড় প্রবৃদ্ধি ছাড়িয়েছে সাড়ে ছয় শতাংশ। মাথাপিছু আয়ও গেছে পৌনে দুই হাজার ডলারের ওপরে। কিন্তু, এই আয়ের বণ্টন হয়নি সুষমভাবে। ফলে, প্রায় অর্ধেক মানুষই রয়ে গেছে নিম্ন আয়ের কাতারে।
×