ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

স্কুলশিক্ষিকার শয়নকক্ষে গাঁজা

প্রকাশিত: ০০:০০, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮

স্কুলশিক্ষিকার শয়নকক্ষে গাঁজা

অনলাইন রিপোর্টার ॥ নাটোরের বাগাতিপাড়ায় নিজ ঘরে গাঁজা রাখার অপরাধে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা, তার স্বামী ও মাকে আটক করেছে পুলিশ। গেল সোমবার রাতে তাদেরকে আটক করা হয়। আটকরা হলেন চন্দ্রখৈইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মুন্নী পারভীন (৩১), তার স্বামী আমির হোসেন (৩৬) ও মা নাসিমা বেগম (৫৫)। আটক মুন্নী উপজেলার দয়ারাম ইউনিয়নের হাটগোবিন্দপুর গ্রামের মোজাম্মেল ফকিরের মেয়ে। বাগাতিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান জানান, গেল সোমবার সন্ধ্যার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মুন্নীর বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দরজা বন্ধ করে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করতে থাকে মুন্নী ও তার পরিবারের লোকজন। বিষয়টি বাগাতিপাড়া থানা পুলিশ নাটোরের পুলিশ সুপারকে জানালে নতুন করে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সেখানে যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে রাত নয়টার দিকে বাড়ির ভেতরের দরজা খুলে দেয়। পরে পুলিশ বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে সহকারী শিক্ষক মুন্নী পারভীনের নিজের খাটের নিচে, বাড়ির অন্য শোয়ার ঘরে ও বাথরুমে বস্তায় ভরে রাখা সাড়ে আট কেজি গাঁজা জব্দ করে। পুলিশ এসময় মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকায় মুন্নী, তার স্বামী ও মাকে আটক করে। এদিকে আরও জানা যায়, মুন্নী দীর্ঘদিন ধরেই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। যে কারণে তার প্রথম স্বামী তাকে তালাক দিয়ে চলে যায়। পরে সে নাটোর সদরের জংলী গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলী তালুকদারের ছেলে আমির হোসেনকে বিয়ে করে। আমির হোসেনের বিরুদ্ধে মাদক ও শিশু অপহরণের দায়ে বিভিন্ন থানায় চারটি মামলা রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাটোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এরশাদ উদ্দিন আহমেদ জানান, মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি তিনি বাগাতিপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফাইজুল ইসলামের মাধ্যমে জেনেছেন। ফাইজুল ইসলামকে তিনি এ বিষয়ে পুলিশ রিপোর্ট সংগ্রহ করার জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন। পুলিশ রিপোর্ট পাওয়ামাত্র আটকের সময় থেকেই সহকারী শিক্ষক মুন্নী পারভীনকে সাময়িক বরখাস্ত করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হবে। বাগাতিপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফাইজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, পুলিশ রিপোর্ট পাওয়ার জন্য সকালেই পত্র পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পরেই আটক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×