ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

বিএনপির দুই নেত্রী নিপুণ-রুমার হাজিরা

প্রকাশিত: ০৪:৪৪, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮

বিএনপির দুই নেত্রী নিপুণ-রুমার হাজিরা

অনলাইন রিপোর্টার ॥ রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের দুই মামলায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক আরিফা সুলতানা রুমাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করেছে পুলিশ। নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ও গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় দুই মামলায় ধার্য ছিল বুধবার। এদিন কারাগার থেকে তাদের দু’জনকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর দুই মামলার হাজিরা শেষে তাদের আবারও কারাগারে পাঠানো হয়। এ ছাড়াও দুই মামলার ধার্য তারিখে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েদা পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন। আদালতে পল্টন থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জালাল উদ্দিন বলেন, নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের এক মামলায় (মামলা নং ২১(১১)১৮) প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৭ জানুয়ারি ও আরেক মামলায় (মামলা নম্বর ২২(১১)১৮) ২৩ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত। ১৫ নবেম্বর রাতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের পুত্রবধূ নিপুণ রায়কে গ্রেফতার করা হয়। আরিফা সুলতানা রুমাকে গ্রেফতার করা হয় হাইকোর্ট এলাকা থেকে। নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ ও গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় পল্টন থানায় তিনটি মামলা করা হয়। তিন মামলায় মির্জা আব্বাসসহ ছয় নেতাকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে। হুকুমের আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যাত্রাবাড়ী বিএনপির সভাপতি নবীউল্লাহ নবী, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) আকতারুজ্জামান এবং চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কফিল উদ্দিন। দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহের মধ্যেই ১৪ নবেম্বর ওই সংঘর্ষে পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানসহ দুটি গাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয়। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নির্দিষ্ট দূরত্বে অবস্থান নিয়ে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। অন্যদিকে নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে বিক্ষিপ্ত মিছিল করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। জ্বালিয়ে দেয়া পুলিশের পিকআপ ভ্যানের নম্বর ২৩১১। পুলিশের মতিঝিল জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) গাড়িটি ব্যবহার করতেন বলে জানা গেছে। ওইদিন প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশের পিকআপ ভ্যানটি জ্বালিয়ে দেয়া ছাড়াও বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। একটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দও শোনা যায়। সংঘর্ষে নারীসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ছাড়া পাঁচজন অফিসার ও দু’জন আনসারসহ মোট ২৩ জন পুলিশ সদস্য আহত হন।
×