ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সিডনিতে প্রথম দিনের শেষে ভারত চার উইকেটে ৩০৩

প্রকাশিত: ২১:৩২, ৩ জানুয়ারি ২০১৯

সিডনিতে প্রথম দিনের শেষে ভারত চার উইকেটে  ৩০৩

অনলাইন ডেস্ক ॥ বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির চতুর্থ টেস্টের প্রথম দিনে চেতেশ্বর পূজারার ব্যাটে চালকের আসনে ভারত। অ্যাডিলেড ও মেলবোর্ন টেস্টে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। সিডনি টেস্টেও যা করলেন। যা নির্ভরতা দিল ভারতীয় ইনিংসকে। পূজারার কেরিয়ারের ১৮তম টেস্ট সেঞ্চুরি এল মিচেল স্টার্ককে ফাইন-লেগ বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে। যা ছিল তাঁর ১৩তম চার। দিনের শেষে চার উইকেটে ৩০৩ রান তুলেছে ভারত। পূজারার (১৩০) সঙ্গী হনুমা বিহারী (৩৯)। অবিচ্ছিন্ন পঞ্চম উইকেটে দু’জনে ৭৫ রান যোগ করে ফেলেছেন। যা অবস্থা, তাতে প্রথম ইনিংসে বড় রানের লক্ষ্যেই এগোচ্ছে টিম ইন্ডিয়া। চায়ের বিরতিতে দুই উইকেট হারিয়ে উঠেছিল ১৭৭ রান। ক্রিজে চেতেশ্বর পূজারাকে যথারীতি জমাট দেখাচ্ছিল। তিনি করে ফেলেছিলেন ৬১। সঙ্গে ছিলেন অধিনায়ক বিরাট কোহালি (২৩)। কিন্তু চায়ের বিরতির ঠিক পরেই ফিরলেন কোহলি। জশ হেজেলউডের বলে ফ্লিক করতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন অজি অধিনায়ক ও উইকেটকিপার টিম পেনকে। তৃতীয় উইকেটে কোহলি-পূজারা যোগ করেছিলেন ৫৪ রান। এর পর তৃতীয় উইকেটে অজিঙ্কা রাহানের সঙ্গে ৪৮ রান যোগ করেন পূজারা। মিচেল স্টার্কের ঠুকে দেওয়া ডেলিভারিতে খোঁচা দিয়ে ফেরেন রাহানে। তাঁর ক্যাচ নেন উইকেটকিপার পেন। ভারতের রান তখন তিন উইকেটে ২২৮। পূজারা ব্যাট করছিলেন ৯৪ রানে। তারপর জুটি বাঁধেন পূজারা-হনুমা। হনুমা রীতিমতো আগ্রাসী থাকায় রানের গতি কখনই আটকে থাকেনি। পূজারাও অসাধারণ ব্যাট করলেন দিনভর। দিনের শেষে ২৫০ বল খেলে ১৬ বাউন্ডারি মারলেন তিনি। ৫৮ বলের ইনিংসে হনুমা মারেন পাঁচ বাউন্ডারি। সিরিজে ২-১ এগিয়ে থাকা অবস্থায় শেষ টেস্টে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক। দলে দু’টি পরিবর্তন আনা হয়েছিল। রোহিত শর্মার মেয়ে হওয়ায় দেশে ফিরে গিয়েছেন তিনি। তাই লোকেশ রাহুলকে নেওয়া হয়েছিল রোহিতের জায়গায়। বুধবার রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে নিয়ে দিনভর ‘ড্রামা’-র পরেও টেস্ট শুরুর দিন সকালেও ফিটনেস টেস্টে পাস করতে পারলেন না এই অফ স্পিনার। প্রথম একাদশে নেই অশ্বিন। দুই স্পিনার খেলানোর ভাবনাতেই ছিল ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গে তাই প্রথম একাদশে জায়গা করে নিলেন কুলদীপ যাদব। তবে লোকেশের খারাপ ফর্ম অব্যাহত রইল।ময়াঙ্ক আগরওয়ালের সঙ্গে ওপেন করতে নেমেছিলেন দীর্ঘ দিনের প্রিয় বন্ধু রাহুল। কিন্তু ব্যক্তিগত ৯ রানে হ্যাজেলউডের বলে শন মার্শের হাতে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান রাহুল। রাহুল দ্রুত ফিরলেও মেলবোর্নের মতোই সিডনিতে চেতেশ্বর পূজারার সঙ্গে জুটি গড়ে এগিয়ে চলেছিলেন ময়াঙ্ক আগরওয়াল। লাঞ্চ বিরতিতে ভারতের স্কোর ছিল এক উইকেট হারিয়ে ৬৯। লাঞ্চের পর ৭৭ রানে আউট হলেন ময়াঙ্ক। টাইমিংয়ের ভুলে লং অনে স্টার্কের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হলেন এই ডান হাতি ওপেনার। দ্বিতীয় উইকেটে ১১৬ রানের পার্টনারশিপ গড়ল ময়াঙ্ক-পূজারা জুটি। লাঞ্চের আগে অবশ্য পূজারা-ময়াঙ্ক জুটিকে রীতিমতো পরীক্ষা দিতে হয় স্টার্ক-কামিন্সদের শর্ট বলের সামনে। একটি বল তো পূজারার হেলমেটেও লাগে। ফিজিওকে ডাকাও হয়েছিল পূজারার কোনও চোট লেগেছে কি না, তা দেখার জন্য। প্রাথমিক চিকিত্সার পর পূজারা ফের ব্যাটিং করতে থাকেন। ভারতের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া দলও কালো ব্যান্ড পরে খেলতে নামল এই টেস্ট। প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার বিল ওয়াটসন প্রয়াত হয়েছেন। অন্য দিকে অস্ট্রেলিয়া দলে প্রথম একাদশে দু’টি পরিবর্তন আনা হয়েছে। ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ খেলছেন না এই ম্যাচে। মার্কাস হ্যারিসের সঙ্গে ওপেন করার কথা উসমান খোয়াজার। অন্য দিকে মিচেল মার্শের বদলে দলে এসেছেন পিটার হ্যান্ডসকম্ব। সেই সঙ্গে দলে রয়েছেন স্পিনার অলরাউন্ডার মার্নাস লাবুসচেঞ্জ। সূত্র : বিবিসি বাংলা আনন্দবাজার পত্রিকা
×