অনলাইন ডেস্ক ॥ ইরানের উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে দেশটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা ও মতবিনিময় করেছেন। এ বৈঠকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুদেশের মধ্যে সহযোগিতা বিস্তার এবং তালেবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরুর বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে।
আরাকচি গতকাল আফগানিস্তানের জাতীয় ঐক্য সরকারের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাতে ওই দেশটিতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা এবং নির্বাচনের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, আফগানিস্তানের সরকার ও দেশটির শান্তি প্রক্রিয়ার প্রতি ইরানের সমর্থন রয়েছে। এ সাক্ষাতে আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহও তালেবানের সঙ্গে ইরানের আলোচনাকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, শান্তি প্রতিষ্ঠার যেকোনো উদ্যোগের প্রতি কাবুলের সমর্থন থাকবে।
ইরানের উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাকচি এর আগে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গণি এবং দেশটির উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইদ্রিস জামানের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। তেহরানে তালেবানের সঙ্গে ইরানের কর্মকর্তাদের বৈঠকের খবর সম্প্রতি ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র স্বীকার করেছেন। আফগান সরকারের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইরান সবসময়ই প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং এ অঞ্চলে শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দিয়ে আসছে। এ ব্যাপারে ইরানের নীতি স্পষ্ট। এরই অংশ হিসেবে ইরাক, সিরিয়া এমনকি ইয়েমেনেও শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার জন্য ইরান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আফগানিস্তানের ব্যাপারেও ইরান ওই দেশটির সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বিস্তারের জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। আফগানিস্তানের সঙ্গে ইরানের দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে এবং ইরানে প্রায় ৩০ লাখ আফগান শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে।
আফগানিস্তানে ইরানের সাবেক রাষ্ট্রদূত ফিদা হোসেন মালেকি দু'দেশের মধ্যকার সংলাপ প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, আফগানিস্তানে ইরানের উপস্থিতি জরুরি যাতে বাইরের দেশগুলো ওই দেশটিতে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার সুযোগ না পায়। তিনি ইরান ও আফগানিস্তানের মধ্যকার অভিন্ন ভাষা, সংস্কৃতি ও কৌশলগত সীমান্তের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, চলমান আলোচনা প্রক্রিয়াকে আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব আলী শামিখানিও সম্প্রতি আফগানিস্তান সফরে গিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ গণির সঙ্গে সাক্ষাতে বলেছেন, ইরান আফগানিস্তানের নিরাপত্তাকে নিজের নিরাপত্তা বলে মনে করে। এ থেকে বোঝা যায় এই দুদেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রয়েছে এবং আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বিষয়ক চুক্তির খসড়া প্রস্তুত করা হবে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: