ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দুর্নীতি জিরো টলারেন্সে থাকলে প্রবৃদ্ধি হবে ১১ শতাংশ

প্রকাশিত: ০০:৫৮, ৯ জানুয়ারি ২০১৯

দুর্নীতি জিরো টলারেন্সে থাকলে প্রবৃদ্ধি হবে ১১ শতাংশ

অনলাইন রিপোর্টার ॥ দুর্নীতির কারণে দেশের উন্নয়নের গতি শ্লথ হয়ে যায়। যদি দুর্নীতিকে কোনো টলারেন্সে না আনা যায় (জিরো টলারেন্সে রাখা) তাহলে দেশের প্রবৃদ্ধির হার হবে প্রায় ১১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। বুধবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারকাত। তিনি বলেন, সরকার আজ দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা বলছে। অথচ আজ থেকে ৪৭ বছর আগে এ যুদ্ধের কথা বলেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর দেশের শাসকগোষ্ঠী ছিলো ধর্মান্ধ। তারা দুর্নীতিকে লালন করেছিলো। তারা বঙ্গবন্ধুর সেই দর্শনকে নিজেদের করে নেয়নি, এজন্য দেশও এগোতে পারিনি। ‘আজ তারই কন্যা শেখ হাসিনা নির্বাচনী উশতেহারের মধ্যে বলেছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স থাকবে। এই দুর্নীতির কারণে দেশ এগোতে পারিনি। যদিও গত ১০ বছরে অনেক কিছু হয়েছে। আগামীতে আরও অনেক কিছু হবে বলে আমি আশাবাদী, তবে আত্মতুষ্ট নই। কারণ দুর্নীতি এখনো দেশ থেকে বিদায় হতে পারিনি। দুর্নীতি যদি দেশে কোনো টলারেন্সের মধ্যে না পড়ে, তাহলে দেশের প্রবৃদ্ধি হবে ১২ শতাংশের কাছাকাছি।’ আবুল বারকাত মনে করেন, এখন যেভাবে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে- আশা করা যায় আওয়ামী লীগের ভিশনের আগেই মধ্য আয়ের দেশ হবে বাংলাদেশ। আগামী ২০৪১ সালের অনেক আগেই দেশ উন্নত রাষ্ট্রে উন্নীত হবে। তখন দেশ হবে বিশ্বের শক্তিশালী ২৫ নম্বর অর্থনৈতিক রাষ্ট্র, যেখানে অর্থনৈতিক বৈষম্য থাকবে না। এখন আমরা জিডিপির হিসেবে বিশ্বের ৪০তম দেশ। সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, আজ আমরা সত্যিকারভাবেই বলতে পারি দেশ অপসংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসেছে। এর আগে দেশের আইনের শাসন ছিল না, দেশের উন্নয়ন ছিল না। এখন দেশে আইনের শাসন আছে, বিচার বিভাগে স্বস্তি এসেছে, উন্নয়ন আজ দৃশ্যমান। ‘বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই দেশ পরিপূর্ণ স্বাধীনতা ফিরে পায়। তার দর্শন ছিলো মানুষের কল্যাণ, দেশের উন্নয়ন। এজন্যই তিনি বলেছিলেন, স্বাধীনতার স্বাদ সবার মাঝে ছড়িয়ে দাও। বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতায় কয়েক বছরের মধ্যেই দেশের উন্নয়ন দৃশ্যমান হতে শুরু করে. কিন্তু ঘাতকরা, তার সেই স্বপ্নকে শেষ করে দেয়।’ বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. এস এ মালেকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি ড. মো. শাহীনুর রহমান, অধ্যাপক আ ব ম ফারুক প্রমুখ।
×