ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

১০৯ নম্বরে কল-নীলফামারীতে বন্ধ হলো স্কুল ছাত্রীর বাল্য বিয়ে

প্রকাশিত: ০৪:৫২, ১০ জানুয়ারি ২০১৯

১০৯ নম্বরে কল-নীলফামারীতে বন্ধ হলো স্কুল ছাত্রীর বাল্য বিয়ে

স্টাফরিপোর্টার, নীলফামারী ॥ সরকারের টোল ফ্রি ১০৯ নম্বরে কল করে অভিযোগ করার পর বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার দশম শ্রেণীর এক ছাত্রী। আজ বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ পুলিশ সহ ওই ছাত্রীর বাড়িতে হাজির হয়ে বাল্য বিয়েটি বন্ধ করে দেয়। এ সময় জরিমানা সহ সাজার হাত হতে রক্ষা পেতে ওই ছাত্রীকে প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না মর্মে ছাত্রীটির বাবা-মা মুচলেকা লিখে দেন। হঠাৎ করে ওই উপজেলার সদর ইউনিয়নের মধ্যরাজিব চেংমারী গ্রামের আব্দুল আজিজ’এর মেয়ে কিশোরীগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী মনি আক্তারের(১৫) সাথে একই ইউনিয়নের কেশবা ডাঙ্গা গ্রামের পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লাইনম্যান রবিউল ইসলামের ছেলে এনামুল হকের(২২) বিয়ে ঠিক হয়। কিন্তু মেয়েটি এ বিয়েতে রাজি ছিলনা। বিভিন্নজনের সহায়তা চেয়ে ব্যর্থ হয় মেয়েটি। এদের মধ্যে সদর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়াডের ইউপি সদস্য যাদু মিয়াকে বাল্য বিয়ে বন্ধ করার আবেদন করে এলাকার সচেতনমহল। কিন্তু তিনি সঠকে পড়ে। ওই ইউপি সদস্যকে মোবাইলে কল দেওয়া হলে তিনি জানান তার এলাকায় কোন বাল্য বিয়ের আয়োজন নেই ও হচ্ছেনা বলে মোবাইল লাইন কেটে দেয়। এরপর ওই শিক্ষার্থীর এক বান্ধবী কল দেয় সরকারের টোল ফ্রি ১০৯ নম্বরে। সেখানে বিস্তারিত খুলে বলা হয়। এর ঠিক ১৫ মিনিট পর ঘটনাস্থলে পুলিশ সহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ হাজির হন । তিনি প্রথমে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য যাদু মিয়াকে খুঁজতে থাকলে তাকে পাওয়া যায়নি। এমন কি তার মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর এলাকাবাসীর সহযোগীতায় ওই বাল্য বিয়ে বন্ধ করে বিয়ের আয়োজনের তোরন, সামিয়ানা খুলে ফেলা হয়। এরপর স্কুল ছাত্রীটির বাবা-মা মুচলেকা লিখে দিয়ে তাদের মেয়ের বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ।
×