অনলাইন ডেস্ক ॥ ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ বলেছেন, আমেরিকা বিশ্বের যেখানেই সেনা মোতায়েন করেছে সেখানেই বিশৃঙ্খলা ও গোলযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ‘আমেরিকা যখনই সৈন্য প্রত্যাহার করে তখনই গোলযোগ তৈরি হয়’ বলে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও যে দাবি করেছেন সে সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে একথা বলেন জারিফ।
সম্প্রতি তিনি এক টুইটার বার্তায় লিখেছেন, “যখনই/যেখানেই আমেরিকা হস্তক্ষেপ করেছে সেখানে/তখনই গোলযোগ, দমনপীড়ন ও অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।”
মাইক পম্পেও সম্প্রতি মিশরের রাজধানী কায়রো সফরের সময় আমেরিকাকে মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ‘ভালো শক্তি’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, যখনই/যেখান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছে তখনই/সেখানে বিশৃঙ্খলা ও গোলযোগ দেখা দিয়েছে। তার এ বক্তব্য আমেরিকার ভেতরে ও বাইরে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ‘মধ্যপ্রাচ্যকে ত্যাগ করেছিলেন’ বলে দাবি করে পম্পেও বলেন, ওবামার ওই পদক্ষেপের ফলে মধ্যপ্রাচ্যে গোলযোগ দেখা দিয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতমাসে সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেন। তিনি সেনা প্রত্যাহারের দিন-তারিখ ঘোষণা না করলেও এর মাধ্যমে তিনি মধ্যপ্রাচ্য থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করতে যাচ্ছেন বলে ব্যাপকভাবে ধারণা করা হচ্ছিল।
কিন্তু মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও কায়রোয় বলেন, সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের অর্থ মধ্যপ্রাচ্যের ব্যাপারে ওয়াশিংটনের নীতিতে পরিবর্তন আনা নয়। ‘যতক্ষণ লক্ষ্যবস্তু থাকবে ততক্ষণ মধ্যপ্রাচ্যে বিমান হামলা চলবে’ বলেও হুমকি দেন তিনি।
ইরানের ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞার গুণগান করে পম্পেও তার ভাষায় বলেন, “ইরান যতদিন একটি স্বাভাবিক দেশ’ হিসেবে আচরণ না করবে ততদিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে না।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্যের জবাবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার টুইটার বার্তায় আরো লিখেছেন, “সেদিন আর ফিরে আসবে না যেদিন ইরান আবার আমেরিকার অনুসারী হয়ে তার কথিত মানবাধিকারের মডেল গ্রহণ করবে। ইরান আমেরিকার হাত ফসকে যে বেরিয়ে গেছে সে বিষয়টি মেনে নিয়েই ওয়াশিংটনকে সন্তুষ্ট থাকতে হবে।”
১৯৭৯ সালে ইরানের ইসলামি বিপ্লবের আগে মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার অন্যতম প্রধান মিত্র ছিল ইরান।