দেশরত্ন মেধাবৃত্তি চালুর সিদ্ধান্ত ঢাবি ছাত্রলীগের

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি অনুষদের শীর্ষ মেধাবীদের জন্য ‘দেশরত্ন মেধাবৃত্তি’ চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে ‘আইডিয়া এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম’ এর প্রাক-পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানিয়েছে ছাত্র সংগঠনটি। শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের এ্যাকাডেমিক, ব্যক্তিগত, আবাসিক সংশ্লিষ্ট সমস্যা-সংকট ও আর্থিক অসচ্ছলতার বিষয়ে ছাত্রলীগের দায়িত্বশীল নেতাদের অবহিত করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। পাশাপাশি নতুন পরিবেশে নিজেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে বেশ কিছু পরামর্শও দিয়েছে ছাত্রলীগ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নবীনদের জন্য স্বাচ্ছন্দ্যময় ক্যাম্পাস জীবন, অনিন্দ্যসুন্দর সাংস্কৃতিক পরিসর, একাডেমিক উৎকর্ষতা ও স্বপ্ন তাড়া করার উপযোগী বিদ্যাপীঠ বিনির্মাণে আমরা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে দায়বদ্ধ। নবীন শিক্ষার্থীদের মেধায় উৎসাহ দেয়া, আবাসন সংকটে পাশে থাকা, ছাত্রবৃত্তির মাধ্যমে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য আমাদের কর্মসূচী চলমান রয়েছে, মনোমুগ্ধকর নবীনবরণের মাধ্যমে স্বাগত জানানোর বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন। ক্যাম্পাসের নবীনদের জন্য সাতটি পরমার্শ দিয়েছে ছাত্রলীগ। সেগুলো হলো, ক্লাস পরীক্ষা, সেমিনার-সিম্পোজিয়ামের মাধ্যমে আধুনিক গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা। প্রগতিশীল সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যের অঙ্গীকারের সঙ্গে একীভূত হওয়া। খেলাধুলা, বিতর্ক, সাহিত্য-সংস্কৃতির অনুশীলনের মাধ্যমে মাদক-সন্ত্রাস, মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইকে শক্তিশালী করা। আবাসিক হল ও ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও শান্তিপূর্ণ ক্যাম্পাস জীবন নিশ্চিত করা। পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস ও ছিন্নমূল শিশুদের শিক্ষার আলোয় উদ্ভাসিত করার জন্য ‘আলোর পাঠশালা’ ধর্মী সমাজকল্যাণমূলক কাজে অংশ নেয়া। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, উদার, বহুত্ববাদী-মানবিক সমাজ বিনির্মাণের প্রতিশ্রুতি, সহনশীলতা, প্রগতিশীল আশা আকাক্সক্ষা ও শুভকাজের প্রতিযোগিতার ছাত্ররাজনীতির মাধ্যমে নিজেকে শাণিত করা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারে রোজনামচা’ পাঠ এবং তার জীবন দর্শন থেকে শিক্ষা নেয়ার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার স্বপ্ন-সাহস-সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ হয়ে বিশ্বজয়ের নেশায় ঝাঁপিয়ে পড়া।