অনলাইন ডেস্ক ॥ কানাডার পর এবার পোল্যান্ডে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আটক হয়েছেন চীনা টেলিকম জায়ান্ট হুয়াওয়ের এক কর্মকর্তা এবং সাইবার ব্যবসায় জড়িত এক পোলিশ নাগরিক।
পোল্যান্ডের টিভি চ্যানেল ‘টিভিপি’ শুক্রবার জানিয়েছে, হুয়াওয়ের পোলিশ ব্রাঞ্চ থেকে আটক হওয়া চীনা একজন উচ্চপদস্থ বিপনন কর্মকর্তা। আর পোলিশ নাগরিকটি পোল্যান্ডের অভ্যন্তরীন নিরাপত্তা সংস্থা (এবিডব্লিউ)’র এক সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। বর্তমানে তিনি পোল্যান্ডের টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি অরেঞ্জ পোলাস্কাতে কাজ করেন এবং সাইবার ব্যবসায় জড়িত।
মঙ্গলবার দুইজনকেই আটক করেছে দেশটির অভ্যন্তরীন নিরাপত্তা সংস্থা। হুয়াও এবং অরেঞ্জের কার্যালয়েও তল্লাশি চালানো হয়েছে এবং নথিপত্র জব্দ করা হয়েছে। দুইজনকে অন্তত তিনমাস আটকে রাখা হবে বলে জানিয়েছে টিভিপি।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় হুয়াওয়ে কর্মকর্তা গ্রেফতারের খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং পোল্যান্ডকে ন্যায়সঙ্গতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে।
হুয়াওয়ে এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখছে। এ মুহূর্তে এ ব্যপারে কোনো তাদের কিছুই বলার নেই।
দুইজনের বিরুদ্ধেই চীনের হয়ে পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আছে। তবে অভিযোগপত্রের বিস্তারিত এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
বৃহস্পতিবার ওয়ারশ’ আদালত দুইজনকে তিনমাস আটকে রাখার ব্যাপারে কৌসুলিদের অনুরোধে রাজি হয়। দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের ১০ বছরের জেল হতে পারে।
পোল্যান্ডের নিরাপত্তা সংস্থার এক মুখপাত্র বিবিসি’কে বলেছেন, ঘটনা তদন্তে দুইজনের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়েছে।
গতবছর পোল্যান্ডে ‘ফাইভজি’ মোবাইল নেটওয়ার্ক নিয়ে অরেঞ্জ পোলাস্কা হুয়াওয়ের সঙ্গে কাজ করেছিল।
কিন্তু এ কোম্পানির পণ্য নিয়ে কয়েকটি দেশ নিরাপত্তা উদ্বেগ প্রকাশ করার পর থেকেই এ টেক কোম্পানিটি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে নজরদারিতে পড়েছে।
চীন বৈরি দেশগুলোতে গুপ্তচরবৃত্তির জন্য এ কোম্পানিকে কাজে লাগাতে পারে আশঙ্কায় নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র তাদের জাতীয় ‘ফাইভজি’ মোবাইল নেটওয়ার্কে হুয়াওয়েকে নিষিদ্ধ করেছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: