ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সমুদ্র সৈকতে ভেসে উঠেছে বিশ্বযুদ্ধকালীন জার্মান সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষ

প্রকাশিত: ১৯:৩৮, ১২ জানুয়ারি ২০১৯

সমুদ্র সৈকতে ভেসে উঠেছে বিশ্বযুদ্ধকালীন জার্মান সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষ

অনলাইন ডেস্ক ॥ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় বালির মধ্যে ডুবে যাওয়া জার্মানির একটি সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষ ভেসে উঠেছে ফ্রান্সের সমুদ্র সৈকতে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, প্রায় শত বছর আগে ১৯১৭ সালের জুলাইয়ে বালির মধ্যে ডুকে গিয়েছিল জার্মানির সাবমেরিন ইউএস-৬১। সম্প্রতি ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলের ক্যালাইস সিটির কাছে উইসেন্ট সমুদ্রের বালি স্থানান্তরিত করা হলে ধীরে ধীরে ওই সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষ ভেসে ওঠে। জানা গেছে, জার্মান নাবিকদলের এ ডুবো জাহাজটি মূলত বালিতে ডুবে গিয়েছিল ১৯৩০ এর দশকে। এদিকে, ফ্রান্সের পর্যটন জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকতের মধ্যে জাহাজটির কয়েক অংশ ভেসে ওঠায় এটি এখন পর্যটকদের আকর্ষণের মূল জায়গা হয়ে উঠেছে। যদিও স্থানীয় মেয়র বিষয়টি নিয়ে সবাইকে সতর্ক করে বলেছেন- এটি দেখতে বেশি সময় নেওয়া যাবে না। দ্রুত সময়ের মধ্যে এখান থেকে সরে যেতে হবে। সাবমেরিনটি দেখতে পর্যটদের ভিড় বেড়েই চলছে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে সাবমেরিনের প্রায় ৩৩০ ফুট (১০০ মিটার) লম্বা দু’টি অংশ দৃশ্যমান হয়ে আছে। উইসেন্ট বার্নার্ড ব্র্যাখের মেয়র জানিয়েছেন, জোয়ার-ভাটা বা উত্তাল বায়ুর চাপের ওপর নির্ভর করে ধ্বংসাবশেষটি প্রতি দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে ভেসে উঠে। আবার বড় ধরনের কোনে বায়ুর চাপে অদৃশ্যও হয়ে যায়। এর আগে ২০১৭ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়কার আরেকটি জার্মান সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পাওয়া যায় বেলজিয়াম উপকূলে। যুদ্ধের জন্য তৈরি করা ওই ‘ইউ-বোট’ সাবমেরিনটিও নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল প্রায় ১০০ বছর আগে। পরে উত্তর সাগরের প্রায় ২৭ মিটার গভীরে ইউ-বোটটির সন্ধান পায় নৌবাহিনী। তখন বোটের মধ্য থেকে ২৩ নাবিকের দেহাবশেষও উদ্ধার করা হয়েছিল।
×