ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

আবার একসঙ্গে সংগীতশিল্পী ন্যানসি

প্রকাশিত: ০০:৫৫, ১৩ জানুয়ারি ২০১৯

আবার একসঙ্গে সংগীতশিল্পী ন্যানসি

অনলাইন ডেস্ক ॥ সংগীতশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যানসির সঙ্গীত জীবন শুরু হয় ২০০৬ সালে হৃদয়ের কথা চলচ্চিত্রে গান গেয়ে। ২০০৯ সালে তার প্রথম অ্যালবাম ভালোবাসা অধরা মুক্তি পায়। ২০১১ সালে প্রজাপতি চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়ে তিনি প্রথমবারের মত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। ২০০৬ সালে ভালোবেসে বিয়ে করেন ব্যবসায়ী আবু সাঈদ সৌরভকে। আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১২ সালের ২৪ মে ছয় বছরের সংসারজীবনের ইতি টানেন ন্যানসি। সেই সংসারে রোদেলা নামে তাদের এক মেয়ে আছে। তিনি পরবর্তীতে ২০১৩ সালের ৪ মার্চ নাজিমুজ্জামান জায়েদকে বিয়ে করেছেন। জায়েদ এবং ন্যানসির সংসারেও নায়লা নামে এক কন্যা সন্তান রয়েছে। জায়েদ ময়মনসিংহ পৌরসভায় চাকরি করছেন এবং ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত। কিন্তু বছরের প্রথম দিনই ভাঙনের সুর শোনা যায় ন্যানসির বর্তমান সংসারে। শোবিজ অঙ্গনে কান পাতলেই শোনা গেছে, এ গায়িকা আর তার বর্তমান স্বামীর সঙ্গে থাকছেন না। দুই মাস ধরেই তারা আলাদা থাকছেন। ন্যানসি জানিয়েছিলেন, স্বামী নাজিমুজ্জামান জায়েদের সঙ্গে কয়েক বছরের সংসারের পর গত দুই মাস যাবৎ আর একসঙ্গে থাকছেন না তিনি। তাদের মধ্যে বনিবনা না হওয়াতেই আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দুজন মিলেই।’ সেই বক্তব্যের প্রায় দুই সপ্তাহের মাথায় সকল মান অভিমান পর্বের শেষ হয়েছে। যে মতানৈক্য তৈরি হয়েছিল তারও সমাধান হয়েছে। আবার এক হয়েছেন ন্যানসি ও জায়েদ। ন্যানসি বলেন, ‘আমরা আসলে একই ছিলাম। হয়তো কিছু সময়ের জন্য আলাদা ছিলাম। দু’জনের প্রতি দু’জনার ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাবোধে কমতি কখনোই ছিল না। জায়েদ অত্যন্ত ভালো একজন মানুষ। সেটা ওর কাছের যারা সবাই মোটামুটি জানে। তার সঙ্গে আমি প্রায়ই মান-অভিমান করি। কিন্তু সে করে না। সে রাগের কথা বললেও রাগ করে না। যাই হোক, আলাদা থাকার দিন শেষ। অতঃপর আমরা সুখে-শান্তিতে একসঙ্গে বসবাস করতে শুরু করেছি।’ ন্যানসি-জায়েদের সংসার জীবন ছয় বছরেরও বেশি সময় অতিক্রম করেছে। এরমধ্যে কোনো সময়েই তাদের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্বের কথা শোনা যায়নি। দুজনে মাস দুয়েক আগে একসঙ্গে অস্ট্রেলিয়া সফর করে আসেন। তারপরই আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ন্যান্সি। তিনি বলেন, আসলে আমি তখন অনুভব করেছিলাম আমাদের মধ্যে কোথায় যেন একটা অদৃশ্য দূরত্ব তৈরি হয়েছে। কিন্তু আসলে এবার সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটেছে। আমি ও জায়েদ আমাদের দুই মেয়েকে নিয়ে একসঙ্গে থাকছি। খুব ভালোভাবেই আমাদের সময়গুলো কাটছে। সারা জীবন যেন এভাবেই কাটাতে পারি সেটাই চাওয়া।
×