ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ছিলো না ॥ টিআইবি

প্রকাশিত: ২১:১৩, ১৫ জানুয়ারি ২০১৯

নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ছিলো না ॥ টিআইবি

অনলাইন ডেস্ক ॥ আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনেএকাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বেসরকারি সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে করা গবেষণা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এসব অভিযোগ করা হয়। সংস্থাটি দাবি করেছে, নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম ছাড়াও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাও নিরপেক্ষ ছিলো না। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ভোটে নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে পারেনি। সবার জন্য সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পারেনি। নিশ্চিত করতে পারেনি সব দলের প্রার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টিও। ‘একই সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারও স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠতে পারেননি। তার নিকটাত্মীয় প্রার্থী হলেও নিজের অবস্থান পরিষ্কার করতে পারেননি তিনি। এছাড়া নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ছিলো না,’ বলেন তিনি। তাই এসব অনিয়মের বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা উচিত বলে মনে করছে টিআইবি। সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটি দাবি করে, নির্বাচনে ৪৭টি আসনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আর জাল ভোট পড়েছে ৪১টি আসনে। ৩৩টি আসনে আগের রাতে ব্যালটে সিল মারা হয়েছে। এসব আসনের এক বা একাধিক কেন্দ্রে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। টিআইবির গবেষণা অনুযায়ী, জাল ভোট পড়েছে ৮২ শতাংশ আসনে। আর ৬৬ শতাংশ আসনে নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট বাক্সে সিল মারা হয়েছে। আর নির্বাচনী অনিয়ম হয়েছে ৯৪ শতাংশ আসনে। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘আচরণবিধি লঙ্ঘিত হয়েছে, সে পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। গণতন্ত্রের জন্য এ ধরনের নির্বাচন ইতিবাচক নয়। এ জন্য আমরা বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছি।’ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামাল বলেন, ‘এই নির্বাচনে প্রচুর ত্রুটি রয়েছে। আগামী নির্বাচনগুলোতে যাতে ত্রুটি না হয়, সেজন্য যে সরকারই আসুক না কেন, তাদের প্রতি আহ্বান থাকবে।’
×