ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

৪র্থ সপ্তাহেও যুক্তরাষ্ট্রের অচলাবস্থা

প্রকাশিত: ২৩:০৬, ১৫ জানুয়ারি ২০১৯

৪র্থ সপ্তাহেও যুক্তরাষ্ট্রের অচলাবস্থা

অনলাইন ডেস্ক ॥ যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের আংশিক অচলাবস্থা চতুর্থ সপ্তাহে গড়ালেও কোনো পক্ষই ছাড় না দেওয়ায় শিগগিরই সংকট নিরসনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের অর্থায়নকে ঘিরে ডেমোক্রেট আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতবিরোধে ডিসেম্বরের ২২ তারিখ থেকে এ অচলাবস্থা শুরু হয়। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার আগ থেকেই ট্রাম্প সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছিলেন। ডেমোক্রেটরা বলছে, জনগণের করের টাকায় তারা প্রেসিডেন্টের প্রতিশ্রুতি পূরণের অযৌক্তিক দাবিতে অনুমোদন দেবে না। দুই পক্ষের এ অনড় অবস্থানের কারণে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও বিভাগের লাখ লাখ কর্মী ২৪ দিন ধরে বেতনহীন অবস্থান দিন কাটাচ্ছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। প্রভাবশালী রিপাবলিকান লিন্ডসে গ্রাহাম চলতি সপ্তাহেই অচলাবস্থার কারণে বন্ধ সরকারি সংস্থা ও বিভাগগুলো সাময়িক সময়ের জন্য খোলার ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। সীমান্তে নিরাপত্তা নিয়ে ডেমোক্রেটদের সঙ্গে মধ্যস্থতাকে উৎসাহিত করতে তিনি এ পদক্ষেপ নিয়েছিলেন বলে প্রকাশ। কিন্তু সোমবার ট্রাম্প গ্রাহামের এ অনুরোধও প্রত্যাখ্যান করেন। “লিন্ডসে এ ধরনের একটি পরামর্শ দিয়েছিলেন, আমি প্রত্যাখ্যান করেছি। আমি এর সমাধান দেখতে চাই। আমি একে পিছিয়ে দিতে চাই না,” হোয়াইট হাউস থেকে লুইজিয়ানার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার সময় সাংবাদিকদের বলেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। মেক্সিকো সীমান্তে একটি নিরাপত্তা দেয়াল নির্মাণের লক্ষ্যে চলতি বছর কংগ্রেসের কাছে ৫৭০ কোটি ডলার চেয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু ডেমোক্রেট আইনপ্রণেতাদের সম্মতি ছাড়া কংগ্রেস এ বরাদ্দ অনুমোদন করতে পারবে না। ট্রাম্প বলেছেন, চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ না পাওয়া পর্যন্ত তিনি কোনো ধরনের বাজেট বিলে স্বাক্ষর করবেন না। ব্যয় নির্বাহের বাজেট অনুমোদিত না হওয়ায় তহবিল ঘাটতিতে ২২ ডিসেম্বর থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের এক চতুর্থাংশ বিভাগ ও সংস্থার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। অচলাবস্থার কারণে বেতন ছাড়া কাজ করে যাওয়া বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মীদের কাজে আসার হার দিন দিন কমে আসছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। অন্যদিকে পরিবহন নিরাপত্তা প্রশাসনের (টিএসএ) বেশিরভাগ কর্মী কাজে হাজিরা দিলেও তহবিল ঘাটতি থাকায় তাদের বেতন দেওয়া যাচ্ছে না। সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের অর্থের জন্য কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়ে ‘জরুরি অবস্থা’ জারি এবং সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পসের তহবিলের অর্থ দেয়াল নির্মাণের কাজে স্থানান্তর করা যায় কি না, গত সপ্তাহে মার্কিন প্রশাসন তাও খতিয়ে দেখছিল বলে জানিয়েছে রয়টার্স। তবে তিনি শিগগিরই জরুরি অবস্থা জারির মতো পদক্ষেপ নিতে চান না বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প।
×