ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীতে কিশোর ছিনতাইকারী চক্রের হোতাসহ আটক ৬

প্রকাশিত: ০৪:৪১, ১৫ জানুয়ারি ২০১৯

রাজশাহীতে কিশোর ছিনতাইকারী চক্রের হোতাসহ আটক ৬

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহীতে সংঘবদ্ধ কিশোর ছিনতাইকারী চক্রের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। ওই চক্রের মূল হোতাসহ ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। এরা বিভিন্ন সময় মহানগর এলাকায় ছিনতাই করে আসছিল। একটি ঘটনার সূত্র ধরে ওই চক্রের সন্ধান পায় পুলিশ। পরে তাদের আটক করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে রাজশাহী পুলিশ সদর দফতরে সাংবাদিকদের সামনে তাদের হাজির করা হয়। এ সময় আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মহানগর পুলিশ কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার তাদের আটকের তথ্য জানান। আটককৃতরা হলো, মহানগরীর নওদাপাড়া এলাকার উল্লাস হোসেন জুবেল (১৯), বড়বনগ্রাম রায়পাড়া এলাকার তানভির আহম্মেদ অনিক (১৯),নটোর জেলার বাগাতিপাড়া থানার মিস্ত্রিপাড়া এলাকার রাজু আহম্মেদ (২৪), মহানগরীর উত্তর নওদাপাড়া এলাকার জামিল হোসেন ওরফে টুটুল (১৯), সপুরা ছয়ঘাটি এলাকার বিজয় (২০) ও মধ্য নওদাপাড়া এলাকার রায়হান ইসলাম (২০)। রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার বলেন, এদের মধ্যে জুবেল এই কিশোর ছিনতাইকারী চক্রের মূল হোতা। বাকিরা এই চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা বিভিন্ন কৌশলে মহানগর এলাকায় ছিনতাই করতো। তাদের কাছ থেকে কিছু নগদ টাকা ও তিনটি মোবাইল ফোন জব্ধ করা হয়েছে। সোমবার মহানগরীর বিমানবন্দর থানার রামচন্দ্রপুর এলাকার ফয়সাল আহমেদ নামের এক কিশোরকে কৌশলে একটি কোচিং সেন্টারের সামনে ডেকে নেয়। পর নিয়ে মারপিট করে এবং প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ সময় ফয়সালকে জিম্মি করে তার বাবার কাছে বিকাশের মাধ্যমে পাঁচ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এর প্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের তিনহাজার টাকা দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে ফয়সালের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। পরে খবর পেয়ে শাহ মখদুম থানার একটি টহল দল ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় জুবেল ও অনিককে ধরে ফেলে পুলিশ। তবে বাকিরা পালিয়ে যায়। কিন্তু পরে তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে অন্যদের আটক করা হয়ে। এ সময় জিজ্ঞাসবাদে স্বীকার করে যে, তারা একটি ছিনতাইকারী চক্র। এর আগেও তারা নানান কৌশলে ছিনতাই করেছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে শাহ মখদুম থানায় মামলা হয়েছে। ওই মামলায় বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এদিকে, প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় ভিন্ন বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে মহানগর পুলিশ কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার জানান, মহানগরীর যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এবং চলমান যানজট নিরসনে আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে বিশেষ ট্রাফিক সপ্তাহ শুরু হবে। এছাড়া মাদকের ব্যাপারে তাদের রয়েছে জিরো টলারেন্স নীতি। মাদকের সঙ্গে যদি কোনো পুলিশ সদস্যেরও সখ্যতা পাওয়া যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
×