স্টাফ রিপোর্টার ॥ পায়ে ‘ফোঁড়া ওঠায়’ পরোয়ানা থাকার পরও গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানিতে হাজির করা যায়নি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে। ফলে পিছিয়ে গেছে শুনানির দিন; নতুন তারিখ ২৪ জানুয়ারি।
আজ বুধবার ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার হোসেনের আদালতে এই শুনানির দিন ছিল। এই শুনানিতে খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করতে গত ১০ জানুয়ারি প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করেছিলেন একই বিচারক।
দুর্নীতির দুই মামলায় সাজা নিয়ে গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের কারাগারে আছেন বিএনপি প্রধান।
দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল সাংবাদিকদের বলেন, “মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া কারাগারে আছেন। তাকে আজ হাজির করতে পারিনি। তার অনুপস্থিতিতে অন্যান্য আসামিদের পক্ষে শুনানি শুরু করার আবেদন জানিয়েছিলাম।”
এদিন আসামিপক্ষ শুনানি পেছানোর আবেদনও করে। পরে আদালত ২৪ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করে ওইদিন সব আসামিকে আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দেয়।
জরুরি বিধিমালা সংযুক্ত এ মামলার অভিযোগপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করে মামলা বাতিল চেয়ে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। রিট আবেদনের কারণে প্রায় ৮ বছর নিম্ন আদালতে বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল। রিট খারিজ করে উচ্চ আদালত ২০১৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে দুই মাসের মধ্যে আত্মসমর্পণে নির্দেশ দেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে ওই বছরের ৫ এপ্রিল আত্মসমর্পণ করে জামিন পান খালেদা জিয়া।
২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. গোলাম শাহরিয়ার ১৩ জনের বিরুদ্ধে বাদি হয়ে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
২০০৮ সালের ১৩ মে মামলাটি তদন্ত করে জোট সরকারের প্রভাবশালী ৯ প্রাক্তন মন্ত্রী ও উপমন্ত্রীসহ মোট ২৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের উপ-পরিচালক মো. জহিরুল হুদা অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২৪ আসামির মধ্যে প্রাক্তন মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, আব্দুল মান্নান ভুইয়া, প্রাক্তন মন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী এবং খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রাহমান কোকো মারা গেছেন। মামলাটিতে বর্তমান আসামির সংখ্যা ২০ জন।