অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ব্যাংক হয়রানির শিকার হচ্ছেন শত শত গ্রাহক। বিশেষ করে চেক জালিয়াতি, অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ কর্তন, মিথ্যা তথ্য দিয়ে ব্যাংক থেকে অর্থ উত্তোলন, স্থায়ী আমানতের (এফডিআর) অর্থ ফেরত না দেওয়া, স্বীকৃত বিলের মূল্য পরিশোধ না হওয়া, ডেবিট ক্রেডিট কার্ড, রেমিট্যান্স, মোবাইল ব্যাংকিং, ঋণ ও অগ্রিম, নোটস ও কয়েনস, ব্যাংক গ্যারান্টিসহ বিভিন্ন ধরনের সেবায় হয়রানির অভিযোগ বাড়ছে। আর্থিক খাতের বিশ্লেষকরা বলছেন, মানুষ ব্যাংকের প্রতি আস্থা থেকেই টাকা রাখে। অন্যদিকে ব্যাংকের দায়িত্ব সেবা দেওয়া। ব্যাংকিং সেবা হবে গ্রাহকবান্ধব; কিন্তু গ্রাহকরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন, যা দুঃখজনক। গ্রাহক হয়রানি বন্ধে অফিসার ও ডেস্কের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালেও হয়রানির শিকার হওয়া গ্রাহাকের সংখ্যা নেহাতই কম নয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গতবছর ৫ হাজার ৭৩১ জন গ্রাহক বিভিন্ন প্রকার হায়রানির শিকার হয়ে আভিযোগ করেছেন। তথ্যমতে, গত বছর সাধারণ ব্যাংকিং সংক্রান্ত অভিযোগ এসেছে ১ হাজার ৯৭২টি, ঋণ এবং অগ্রিম সংক্রান্ত ৭১৩টি, কার্ড সংক্রান্ত ৫০২টি, সার্ভিস সংক্রান্ত ৩৮১টি, রেমিট্যান্স সংক্রান্ত ৭৮টি, ফি ও চার্জ সংক্রান্ত ৯৮টি, চেক জালিয়াতি সংক্রান্ত ৩৬টি এবং মোবাইল ব্যাংকিং সংক্রান্ত ১০১টি। আলোচিত সময়ে লিখিত অভিযোগের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৪০৪টি, টেলিফোনে আসা অভিযোগ ছিল ৩ হাজার ৫৮টি এবং অনলাইনে প্রাপ্ত অভিযোগ ২৩৩টি। সবকটি অভিযোগের মধ্যে ৫ হাজার ৬৬৫টি অভিযোগই নিষ্পত্তি হয়েছে। যা প্রাপ্ত অভিযোগের ৯৯ শতাংশ।