ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাফুফের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধল কে-স্পোর্টস

প্রকাশিত: ০৭:১২, ১৭ জানুয়ারি ২০১৯

বাফুফের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধল কে-স্পোর্টস

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) পরিকল্পনায় নিয়মিত আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট হয় একটি। সেটি ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপ।’ ১৯৯৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ২২ বছরে অনিয়মিতভাবে টুর্নামেন্টটি আয়োজিত হয়েছে মাত্র পাঁচ বার। এবার তাদের ক্যালেন্ডারে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে। তার নাম ‘বঙ্গমাতা অ-১৯ মহিলা আন্তর্জাতিক গোল্ড কাপ’। প্রথমবারের মতো আয়োজিত মেয়েদের এই আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টটি হবে ঢাকায়। যার ভেন্যু হবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম এবং কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোঃ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়াম। এই টুর্নামেন্টটি পৃষ্ঠপোষকতার লক্ষ্যে কে-স্পোর্টসের সঙ্গে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান বুধবার মতিঝিলস্থ বাফুফে ভবনের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয়। এতে চুক্তি স্বাক্ষর করেন বাফুফের সভাপতি কাজী মোঃ সালাহ্উদ্দিন এবং কে-স্পোর্টসের কর্ণধার ফাহাদ করিম। ছেলেদের টুর্নামেন্ট বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ নিয়মিত আয়োজিত না হলেও এখন থেকে প্রতিবছরই নির্ধারিত সময়েই মেয়েদের ‘বঙ্গমাতা অনুর্ধ-১৯ গোল্ডকাপ’ আয়োজিত হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাফুফে সভাপতি। উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপের স্পন্সরও প্রতিষ্ঠানও কে-স্পোর্টস লিমিটেড। তাদের সঙ্গে বাফুফের এবারের চুক্তিটাও একই ধরনের। তফাত শুধু এটাইÑ এই টুর্নামেন্টটি হচ্ছে মেয়েদের, আর এখানে অংশ নেবে অনুর্ধ-১৯ বছর বয়সের নারীরা। ছেলেদের জন্য জাতীয় দল কিন্তু মেয়েদের জন্য কেন বয়স ভিত্তিক দল? এর জবাবে সালাউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের মেয়েরা এখনও ছোট। তারা তো সিনিয়র জাতীয় দলগুলোর সঙ্গে খেললে পারবে না। এ কারণেই এবার অনুর্ধ-১৯ দলের জন্য করছি। যাতে করে তারা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নিজেদের প্রস্তুত করতে পারবে এবং এতে করে ভবিষ্যতে সিনিয়র টিমের জন্য টুর্নামেন্টটি আয়োজনের সুযোগ তৈরি হবে। এবারের আয়োজনটি হবে ছয় জাতির। সম্পূর্ণ তালিকা পরে জানাব। আপাতত আমদের ১০টি দেশের ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে কথা চলছে। এদের মধ্য থেকে পাঁচটি দলকে নেয়া হবে। আশা করি বিস্তারিত হয়তো এ মাসেই জানাতে পারব।’ সালাহ্উদ্দিনের প্রত্যাশাÑ চার থেকে পাঁচ বছরের মধ্যেই মূল জাতীয় দলগুলোর অংশগ্রহণে নারীদের জন্য গোল্ড কাপ আয়োজন করা সম্ভব হবে। ততদিনে এই মেয়েরাও যথেষ্ট অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা অর্জন করবে, ‘আমরা পরিকল্পনা করেছি আগামী এপ্রিল মাসেই আয়োজন করতে। এখন থেকে এটি বাফুফের বার্ষিক পরিকল্পনায় যুক্ত করা হচ্ছে। আর ছেলেদের জন্য বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপও স্বাভাবিকভাবেই সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরে হবে। আমরা দুটো টুর্নামেন্টই নিয়মিত করতে চাই।’ বাফুফে বস আরও বলেন, ‘প্রথমবারের মতো শুরু হতে যাচ্ছে মেয়েদের এই টুর্নামেন্ট। বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে মেয়েরা ভালো করছে। আমি মনে করি এখন সময় হয়েছে মেয়েদের জন্য আন্তর্জাতিক আসর আয়োজনের। যেহেতু ডেভলপম্যান্টের জন্যই টুর্নামেন্ট। আমরা ভালো দলগুলোকেই আমন্ত্রণ জানিয়েছি। চ্যাম্পিয়নশিপটা টেবিলের মধ্যে নির্ধারিত হয় না। চ্যাম্পিয়ন হতে হলে মাঠে ভালো খেলেই হতে হবে।’ যোগ করেন সালাউদ্দিন। মূলত মেয়েদের জাতীয় দল নিয়েই ভবিষ্যতে টুর্নামেন্টটি করার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বাফুফে। সালাউদ্দিনের প্রত্যাশা আগামী চার থেকে পাঁচ বছরের মধ্যেই মূল জাতীয় দলগুলোর অংশগ্রহণে নারীদের জন্য গোল্ড কাপ আয়োজন করা সম্ভব হবে। ততদিনে এই মেয়েরাও যথেষ্ট অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা অর্জন করবে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ গুছিয়ে ফেলেছিল কে স্পোর্টস। আর সে কারণেই তাদের ওপর ভরসা রাখতে পারছেন বলে জানান কাজী সালাউদ্দিন। মূলত সে কারণেই বঙ্গমাতা অনুর্ধ ১৯ গোল্ডকাপের স্পন্সরের দায়িত্বে তারাই। কে-স্পোর্টসের সিইও ফাহাদ করিম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের পর ফেডারেশন এবং বাফুফে সভাপতি আমাদের ওপর ভরসা করছেন, সেজন্য ধন্যবাদ। বাংলাদেশের মাটিতে মেয়েদের একটা আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট। বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপে সময় কম পেয়েছি। বঙ্গমাতাতে সময় একটু বেশি পাচ্ছি। টুর্নামেন্টটিকে বিশ্বমানে পৌঁছে দিতে কে-স্পোর্টসের পক্ষ থেকে কোন সিনসিয়রিটির অভাব থাকবে না। এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি।’
×