ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নীলফামারীতে শতবর্ষী 'জীবিত' গাছ কর্তনের ঘটনায় মানববন্ধন

প্রকাশিত: ০১:০৪, ১৭ জানুয়ারি ২০১৯

 নীলফামারীতে শতবর্ষী 'জীবিত' গাছ কর্তনের ঘটনায় মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ মরা ও ঝুঁকিপূর্ন দাবি করে শহরের সার্কিটহাউস সড়কের ডিসি ও এসপি অফিসের সামনে ঐতিহ্যবাহী কাঠ বাদাম ও মিনজিরি শতবর্ষী জীবিত গাছ কর্তন নিয়ে এলাকা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা হতে ওই এলাকার চারটি গাছ কর্তনের সময় নীলফামারী পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদের নেতৃত্বে শহরের বিভিন্ন সেক্টরের মানুষজন প্রতিবাদী হয়ে উঠে ওই সব গাছ কর্তন বন্ধ করে দেয়। এ সময় সেখানে শতশত মানুষজন গাছ কর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করে। এসপি অফিসের সামনে মানববন্ধনে অংশ নেন সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আরিফা সুলতানা লাভলী, জেলা ক্রিড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন মুন, বসুন্ধরা কিংস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম মিনহাজ, শ্রমিক লীগের জেলা সাধারন সম্পাদক আমজাদ হোসেন সহ স্থানীয় বিভিন্ন মিডিয়ার প্রতিনিধি সহ প্রমুখ। এলাকাবাসীর অভিযোগ সৌন্দর্য্যবর্ধনে ওই সকল তাজা শতবর্ষের কাঠ বাদাম ২টি এবং মিনজিরি ২টি সহ চারটি গাছ গোপন টেন্ডারে বিক্রি করে জেলা পরিষদ। গাছ চারটির মূল্য প্রায় ৫ লাখ হলেও টেন্ডারে ১ লাখ ১১ হাজারে বিক্রি করা হয় উকিলের মোড় কাঠ ব্যবসায়ী সহিদুল ইসলামকে দেয়া হয়। জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী রবিউল ইসলামের স্বাক্ষরে এক বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায়, কোটেশন টেন্ডার আহবান করা হয় গত বছরের ৬ ডিসেম্বর। সর্বোচ্চ দরদাতা হিসাবে উক্ত কাঠ ব্যবসায়ীকে গাছ চারটি কর্তনের জন্য চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারী অনুমতি দেয়া হয়। পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ বলেন কাঠ বাদাম সহ বিভিন্ন প্রজাতির শতবর্র্ষী তাজা জীবিত গাছগুলো আমাদের শহরকে শোভা বর্ধন করে রয়েছে। এলাকার সাধারন মানুষজনের কোন মতামত না নিয়ে জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ একক সিদ্ধান্তে ওই গাছ গুলো কোটেশনে বিক্রি করে কর্তন করার অনুমতি দেয়। যা মোটেই কাম্য নয়। তিনি গাছ গুলো কর্তন বন্ধ করে এলাকার বিভিন্ন সেক্টরের প্রতিনিধি সহ জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিনের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি করেছেন। ওই চারটি গাছ কোটেশন পাওয়া কাঠ ব্যবসায়ী সহিদুল ইসলাম বলেন আমি জেলা পরিষদের কোটেশনের মাধ্যমে ওই চারটি গাছ এক লাখ ১১ হাজার টাকায় ক্রয় করি। আমাকে গাছ কাটার অনুমতি প্রদান করার পর আজ বৃহস্পতিবার সকাল হতে গাছ কর্তন শুরু করি। এলাকাবাসী বাধা দেয়ায় গাছ কর্তন বন্ধ করে দিয়েছি। এ ব্যাপারে জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন নিয়ম মাফিক ঝুঁকিপূর্ন গাছগুলি কোটেশনের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। গাছ গুলি মরা বা ঝুঁকিপূর্ন না হওয়া সত্বেও কেন বিক্রি করা হলো এমন প্রশ্নের জবাব দিতে তিনি অপরাগতা প্রকাশ করেন।
×