ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পাঁচ গ্রামের মানুষের পারাপারের ভরসা বাঁশের সাঁকো

প্রকাশিত: ০২:৫৩, ১৭ জানুয়ারি ২০১৯

পাঁচ গ্রামের মানুষের পারাপারের ভরসা বাঁশের সাঁকো

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা ॥ চাটমোহরের নিমাইচরা ইউনিয়নের পাঁচ গ্রামের মানুষের পারাপারের একমাত্র অবলম্বন একমাত্র বাঁশের সাঁকো। দীর্ঘদিন ধরে এসব গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ নানা বিড়ম্বনার মধ্য দিয়ে সাঁকো পার হয়ে গ্রামে যাতায়াত করতে হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, চাটমোহর উপজেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে নিমাইচড়া ইউনিয়নের একটি গ্রামের নাম পার নিমাইচড়া। নিমাইচড়া বাজার থেকে পূর্বদিকে করতোয়া নদীর পাড় দিয়ে একটি চিকন কাঁচা রাস্তা নেমে গেছে পার নিমাইচড়া গ্রামে। আঁকা বাঁকা পথের শেষে গ্রামের অন্য অংশে যেতে পার হতে হয় নড়বড়ে প্রায় ৫০ ফুট দৈর্ঘ এক বাঁশের সাকো। পার নিমাইচড়া, মাঝগ্রাম, খন্দবাড়িয়া, শিবরামপুর ও শীতলাই গ্রামের মানুযের উপজেলা সদরে যাতায়াতে একমাত্র সাঁকো পার হয়ে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার শিকার হলেও যেন দেখার কেউ নেই।ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, বছরের বেশিরভাগ সময় ওই এলাকায় করতোয়া নদীতে পানি থাকে। সবচেয়ে বড় সমস্যা পড়েছে স্কুলগামী ছাএছাএীরা। সেতু না থাকায় এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত কোমলতী শিক্ষার্থীরা এ সাঁকো পাড় হয়েই স্কুলে যাতায়াত করতে হয়। মাঝেমধ্যেই সাঁকো পাড়াপাড়ে ছাএছাএীদের দূর্ঘটনায় পড়তে হয়। সাঁকো পাড় হয়ে রোগী নিয়ে হাসপাতালে যাতায়াতেও চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় গ্রামবাসীদের।পার নিমাইচড়া গ্রামের আফজাল হোসেন জানান, প্রতিবছর ভোটের সময় এলেই নেতারা রাস্তা ও সেতু তৈরির আশ্বাস দেন কিন্তু পরে আমাদের দুর্ভোগের কথা কেউ মনে রাখে না। বাচ্চারা স্কুলে যাওয়ার সময় বাঁশের সাঁকো পারাপারের সময় খুব ভয়ে থাকি কখন যে কি হয়। একই গ্রামের সানেকা খাতুন জানান, সম্প্রতি সাঁকোয় নদী পার হতে গিয়ে পা ফসকে পড়ে পায়ে আঘাত পান। গ্রামবাসীর দূর্দশা দূর করতে অবিলম্বে একটি সেতু ও সংযোগ সড়ক নির্মাণের দাবী জানান তিনি।নিমাইচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খোকন জানান, সেতু না থাকায় ভুক্তভোগী গ্রামবাসীরা স্বউদ্যোগে সাঁকো তৈরী করে নদী পার হচ্ছেন। ওই এলাকা দিয়ে অসংখ্য মানুষ চলাফেরা করে। এর আগে রাস্তায় কিছু মাটির কাজ করা হয়েছে এবং ৫০ ফিট সেতু তৈরির একটি প্রকল্প দেয়া হয়েছে আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যেই সমস্যা নিরসন হবে। এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সরকার অসীম কুমার জানান, নিজে গিয়ে দুর্ভোগের বিষয়টি দেখেছি। সেখানে একটি বড় বাজেটের কাজ করতে হবে। যেটা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্ভব নয়। তবে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে বিষয়টির সমাধানের চেষ্টা করবো।
×