ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পাঁচ গ্রামের মানুষের পারাপারের ভরসা বাঁশের সাঁকো

প্রকাশিত: ০৪:৩৩, ১৮ জানুয়ারি ২০১৯

পাঁচ গ্রামের মানুষের পারাপারের ভরসা বাঁশের সাঁকো

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ১৭ জানুয়ারি ॥ চাটমোহরের নিমাইচড়া ইউনিয়নের পাঁচ গ্রামের মানুষের পারাপারের একমাত্র অবলম্বন বাঁশের সাঁকো। দীর্ঘদিন ধরে এসব গ্রামের ২০ হাজার মানুষ নানা বিড়ম্বনার মধ্য দিয়ে সাঁকো পার হয়ে গ্রামে যাতায়াত করতে হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, চাটমোহর উপজেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে নিমাইচড়া ইউনিয়নের একটি গ্রামের নাম পারনিমাইচড়া। নিমাইচড়া বাজার থেকে পূর্বদিকে করতোয়া নদীর পার দিয়ে একটি চিকন কাঁচা রাস্তা নেমে গেছে পারনিমাইচড়া গ্রামে। আঁকাবাঁকা পথের শেষে গ্রামের অন্য অংশে যেতে পার হতে হয় নড়বড়ে প্রায় ৫০ ফুট দৈর্ঘ্য একটি সাঁকো। পারনিমাইচড়া, মাঝগ্রাম, খন্দবাড়িয়া, শিবরামপুর ও শীতলাই গ্রামের মানুষের উপজেলা সদরে যাতায়াতে একমাত্র সাঁকোটি পার হতে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হলেও দেখার কেউ নেই। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, বছরের বেশিরভাগ সময় ওই এলাকায় করতোয়া নদীতে পানি থাকে। সবচেয়ে বড় সমস্যায় পড়েছে স্কুলগামী ছাত্রছাত্রী। সেতু না থাকায় এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত কোমলমতি শিক্ষার্থীকে সাঁকোটি পার হয়েই স্কুলে যাতায়াত করতে হয়। মাঝেমধ্যে ছাত্রছাত্রীদের দুর্ঘটনায় পড়তে হয়। সাঁকো পার হয়ে রোগী নিয়ে হাসপাতালে যাতায়াতেও চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় গ্রামবাসীদের। পারনিমাইচড়া গ্রামের আফজাল হোসেন জানান, প্রতিবছর ভোটের সময় এলেই নেতারা রাস্তা ও সেতু তৈরির আশ্বাস দেন কিন্তু পরে আমাদের দুর্ভোগের কথা কেউ মনে রাখে না। বাচ্চারা স্কুলে যাওয়ার সময় সাঁকো পারাপারের সময় খুব ভয়ে থাকি, কখন যে কি হয়। একই গ্রামের সানেকা খাতুন জানান, সম্প্রতি সাঁকোয় নদী পার হতে গিয়ে পা ফসকে পড়ে পায়ে আঘাত পান তিনি। গ্রামবাসীর দুর্দশা দূর করতে অবিলম্বে একটি সেতু ও সংযোগ সড়ক নির্মাণের দাবি জানান তিনি। নিমাইচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খোকন জানান, সেতু না থাকায় ভুক্তভোগী গ্রামবাসীরা স্ব উদ্যোগে সাঁকো তৈরি করে নদী পার হচ্ছেন। ওই এলাকা দিয়ে অসংখ্য মানুষ চলাফেরা করে। এর আগে রাস্তায় কিছু মাটির কাজ করা হয়েছে এবং ৫০ ফিট সেতু তৈরির একটি প্রকল্প দেয়া হয়েছে।
×