ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ১৮ জানুয়ারি ২০১৯

উবাচ

ভুল ছিল স্টাফ রিপোর্টার ॥ নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের। বিএনপি নেতারা এই ভরাডুবি নিয়ে গলাবাজি করলেও ফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন জামায়াতে ইসলামী নেতাদের প্রার্থী করা ‘ভুল’ ছিল। যে ভুল একটি রাজনৈতিক দলের সর্বনাশ করছে। এর পরও সেই রাজনৈতিক দল বছরের পর বছর কি করে একই ভুল করছে! সারা জাতি যেখানে যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে এক হয়ে গত ১০ বছরে জাতিকে কলঙ্ক মুক্ত করতে কাজ করে গেছে সেখানে বিএনপি সেই জঞ্জাল আঁকড়েই রয়েছে। দেশের প্রবীণ আইনজীবী রাজনীতিবিদ ড. কামাল হোসেন স্পষ্ট করে বলেছেন, জামায়াতকে বিএনপি জোটে নেবে এটা তার জানাই ছিল না। ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে নেতারা এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করলেও জামায়াত নেতাদের বিএনপির প্রতীক ধানের শীষে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে বলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন। কিন্তু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বললেই তো দেশের সবাই চোখ বন্ধ করে থাকবে না। বিএনপির এই রাজনৈতিক ভুলের বিষয়ে ড. কামাল হোসেন নির্বাচনের আগেই কথা বলেছিলেন। কিন্ত নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে শীর্ষ নেতারা বক্তব্য আমলে না নিলে সেই জোটের অবস্থা কি তা সহজেই অনুমান করা সম্ভব। এখন কি তবে বিএনপিকে চাপ দেবেন জামায়াতকে ছেড়ে দিতে সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে কামাল বলেন, আমি তো মনে করি, সেটা বলা যেতে পারে। স্টেডিয়াম স্টাফ রিপোর্টার ॥ নির্বাচনের আগে মির্জা ফখরুল যা বলেছিলেন তার একটি বাক্য তো দূরের কথা একটি শব্দও ঠিক হয়নি। এখন যা বলছেন তা-ই বা কতটুক ঠিক, সে প্রশ্ন উঠতেই পারে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদককে নির্বাচনে জয়ের জন্য স্টেডিয়ামে গিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে। মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেনÑ তিনি বলেছেন, সরকার এত বড় একটা চুরি করেছে, সেই চুরি সামাল দিতে পারছে না। মাথায় প্রবলেম হচ্ছে। কাদের সাহেবকে গিয়ে বলেন প্রথমে স্টেডিয়ামে গিয়ে জাতির কাছে মাফ চাইতে। নির্বাচনের পর রাজনৈতিক দলের সংলাপ নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বক্তব্য ভুলভাবে উদ্ধৃত হওয়াতে বিএনপি আবার সংলাপে অংশ নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু ওবায়দুল কাদের পরের দিন যখন ভুল ভেঙ্গে দিলেন তখন হতাশ হলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। কিন্তু নির্বাচনের পর জনগণ যখন রায় দিয়েই দিয়েছে তখন আর কিসের সংলাপ। বিষয়টি এত দিনে রাজনীতিবিদদের বোঝা উচিত ছিল। শরম নেই স্টাফ রিপোর্টার ॥ ‘লজ্জা-শরম’ থাকলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও আগেই পদত্যাগ করতেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেপরোয়া চালক হয়ে গেছেন। কখন যে তিনি কোন্ দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেন, সে বিষয়ে সকলকে সচেতন থাকতে হবে। তিনি বলেন, গত দশ বছরে বিএনপির যে মহাসচিব ১০ মিনিটের জন্যও আন্দোলন করতে পারেননি, যার নেতৃত্বে জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি ১০টিরও কম আসন পায়, লজ্জা-শরম থাকলে তিনি আরও আগেই পদত্যাগ করতেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্দোলনে চরম ব্যর্থতা, নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়, লজ্জা-শরম থাকলে আপনার আরও অনেক আগেই পদত্যাগ করা উচিত ছিল। তিনি বলেন, নির্বাচনে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত গণজাগরণ ফখরুলের ভাল লাগছে না। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো অভূতপূর্ব ফল ’৭৫ পরবর্তী কেউ কখনও দেখেনি। এ বিজয়কে যারা প্রত্যাখ্যান করে জনগণের কাছে তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল তার দলের শোচনীয় পরাজয়ের জন্য পদত্যাগ না করে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ আনেন। নির্বাচনে কারচুপি হলে তিনি কীভাবে জয়লাভ করলেন?
×