ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঝলক

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ১৮ জানুয়ারি ২০১৯

ঝলক

বাদুড়ের শরীর থেকে ওষুধ! রক্তখেকো বাদুড়ের শরীরে হাইপারটেনশন, কিডনি জটিলতা, হার্টের সমস্যা ও পোড়ার ক্ষত সারানোর মতো উপাদান রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এক দীর্ঘ গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। তবে এই গবেষণা নিয়ে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা দরকার বলে গবেষকরা মনে করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ব্রায়েন ফ্রাইয়ের নেতৃত্বে একদল গবেষক এ কাজে অংশ নেন। তিনি বলেন, রক্তখেকো বাদুড়ের শরীরে পেপটিডেট নামে এক ধরনের পদার্থ আছে, যা নানা রোগের ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হতে পারে। তিনি বলেন, পেপটিডেটে ক্যালসিটোনিন জিন সংশ্লিষ্ট পেপটাইড নামের পদার্থটি দেহের রক্ত কণিকাগুলোকে আরাম দিতে সহায়তা করতে পারে। আরও গুরুত্বপূর্ণ হলো আমরা এতদিন রক্ত কণিকাকে আরাম দিতে যে সিজিআরপি ব্যবহার করতাম, এর চেয়ে পেপটাইড অধিক কার্যকর। এছাড়া সিজিআরপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকলেও পেপটাইডে নেই। আবার শরীরে রক্তের প্রবাহ বাড়াতেও এই পেপটাইড কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এই গবেষণা মানুষের জীবন বাঁচাতে সহায়ক হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।-সায়েন্স ডেইলি অবলম্বনে। রুশ নরসুন্দরের কা- এক রুশ নরসুন্দর তার দোকানে আগতদের এক অভিনব উপায়ে চুল ধুয়ে দিয়ে আলোচনায় এসেছেন। শ্যাম্পু বা সাবান নয় ভালিন কুদাভারিয়ান নামে এই নাপিত সম্পূর্ণ শ্যাম্পেন দিয়ে তার কাস্টমারদের চুল ধুয়ে দেন। অভিনব উপায়ে এই চুল ধোয়ার মস্কোজুড়ে কুদাভারিয়ানের খ্যাতি ছড়িয়েছে। শ্যাম্পেনে চুল ধোয়ার জন্য তার দোকানের সামনে প্রচ- শীত উপেক্ষা করে অনেককে অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। কুদাভারিয়ান বলেন, আমি ¯্রফে শখের বশে একজনকে শ্যাম্পেন দিয়ে চুল ধুয়ে দিয়েছিলাম। তার কাছে বিষয়টি অভিনব লাগে। এতে তার চুল পরিষ্কার হয়েছিল বেশ। মূলত ওই লোকটি বিষয়টি চারদিকে ছড়িয়ে দেন। এরপর সবাই আমার কাছে শ্যাম্পেনে চুল ধুয়ে দেয়ার আবদার জানাতে থাকেন। অনেকে নিজেই দামী শ্যাম্পেন কিনে আমার কাছে চলে আসেন। তিনি বলেন, খদ্দের চুল কাটার পর আমি প্রথমে শ্যাম্পেন দিয়ে তাদের মাথা ভিজিয়ে দিই। এরপর হালকা ম্যাসাজ করে ধুয়ে দেই। এতে চুল অনেক সিল্কি হয়, মাথার তালু পরিষ্কার হয়। খুশকিও দূর হয়। তবে এভাবে চুল ধোয়ার কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কি না তা অবশ্য কুদাভারিয়ানের জানা নেই।-মস্কো টাইমস অবলম্বনে।
×