স্টাফ রিপোর্টার, বেনাপোল ॥ একজনের কাছে যা তুচ্ছ অন্যজনের কাছে তা মহামূল্যবান। সমাজের এই দুই ধরনের সঙ্কটকে এক জায়গায় এসে দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানোর এক অভিনব পন্থা দেখা গেল যশোর-বেনাপোল সড়কের পাশে। জনসম্মুখে উন্মুক্ত স্থানে লেখা ‘মানবতার দেয়াল’। এখানে এক পাশে লেখা হয়েছে আপনার অপ্রয়োজনীয় জিনিস রেখে যান। আর এক পাশে লেখা হয়েছে আপনার প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে যান। বাসাবাড়িতে বা ব্যবস্যা প্রতিষ্ঠানে থাকা পুরনো ও অপ্রয়োজনীয় শত শত বস্ত্র ও আসবাবপত্র স্বেচ্ছায় মানবতার দেয়ালে রেখে যাচ্ছেন স্থানীয়রা। আবার এসব বস্ত্র মনের আনন্দে নিয়ে যাচ্ছেন দুস্থ মানুষ। অপ্রয়োজনীয় বস্ত্র দিয়ে সাধারণ মানুষের উপকার করতে পারায় খুশি অনেকে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বেনাপোল বড় আঁচড়া গ্রামের রোমিও হাসান হিরোর আহ্বানে ১৮ জনকে নিয়ে গঠন করা হয় মানবতার দেয়াল তারুণ্য-১৮। এর মাধ্যমে সংগ্রহ ও বিতরণ করা হচ্ছে কারও প্রয়োজনীয় ও কারও অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। বেনাপোল বাজার-বন্দর এলাকা ও সীমান্ত এলাকায় ৩টি স্পটে নির্মিত হয়েছে মানবতার দেয়াল। এটি দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে চান সংগঠকরা।
আবদুল জব্বার ও মরিয়ম বেগম এবং আবদার হোসেন জানান, বাড়িতে অনেক ভাল পোশাক নষ্ট হয়ে যায়। ছোট হয়ে যায় অনেক জামাকাপড়। অনেক আসবাপত্র ও বস্ত্র মানবতার দেয়ালে রেখে যেতে পেরে ভাল লাগছে।
২০১৫ সালে ইরানের একটি শহরে শীতার্তদের সহায়তায় শীতবস্ত্র সংগ্রহের জন্য অজ্ঞাত এক ব্যক্তি শুরু করেছিলেন মহানুভবতার দেয়াল কার্যক্রম।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: