ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চীনের চাপের কাছে নত হবে না তাইওয়ান

প্রকাশিত: ০৬:১০, ১৮ জানুয়ারি ২০১৯

চীনের চাপের কাছে নত হবে না তাইওয়ান

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র এলেক্স হুয়াং বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেছেন, চীনের প্রভাবের কাছে তারা মাথানত করবে না। স্বশাসিত দ্বীপটি বেজিংয়ের হুমকি থেকে নিজের রক্ষা করার ক্ষমতা প্রদর্শনের লক্ষ্যে সামরিক মহড়া পরিচালিত করার প্রাক্কালে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে তাইপে গণতন্ত্রকে রক্ষায় ও বেজিংয়ের প্রভাবমুক্ত করতে আন্তর্জাতিক সমর্থনের আহ্বান জানিয়েছিল। চীন দ্বীপটিকে নিজের বলে দাবি করে আসছে। আল-জাজিরা। হুয়াং বলেন, চীনের সঙ্গে সম্পর্কিত নিয়ন্ত্রণমূলক কর্মকা-ের জন্য আমাদের আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই বিষয়টির সরাসরি সম্মুখীন হতে হবে। মনে করিয়ে দিতে হবে যে প্রভাবক কাজগুলো কমাতে হবে, এই কাজগুলো ও প্রচেষ্টাগুলোতে ঐক্যবদ্ধভাবে কমাতে হবে। চীন তাইওয়ানকে নিজেদের একটি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত প্রদেশ বলে মনে করে। তার ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য নতুন শক্তি ব্যবহার করার হুমকি প্রতিনিয়ত দিয়ে যাচ্ছে দেশটি। তারা বিশ্বব্যাপী কোম্পানিগুলোকে চাপ দিচ্ছে দ্বীপটিকে আলাদা কোন দেশ হিসেবে পরিচিত না করে বরং চীনের একটি দ্বীপ বলে পরিচিত করতে। চীনা জাতীয়তাবাদীরা ১৯৪৯ সালে গৃহযুদ্ধের শেষের দিকে তাইওয়ানে পালিয়ে যায়। মূলভূমি চীনের নিয়ন্ত্রণ সে সময় কমিউনিস্টরা দখল করে নেয়। দ্বীপটি ওই অঞ্চলে একটি বিকশিত গণতন্ত্ররূপে পরিচিতি পেয়েছে। এটি তার নিজের পরিচয়কে ক্রমবর্ধমানভাবে দৃঢ় হিসেবে পরিণত করেছে। চীনা সিভিল এ্যাভিয়েশন এ্যাডমিনিস্ট্রেশন তাইপেকে চীনের একটি অংশ হিসেবে পরিবর্তন করার জন্য বিদেশী বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে। কিছু বিমান কর্তৃপক্ষ দ্বীপটিকে স্বাধীন দেশ হিসেবে অভিহিত করে তাদের ওয়েবসাইটে অন্তর্ভুক্ত করেছে। যার মধ্যে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ ও সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স অন্যতম। দ্য গ্লোবাল টাইমস ও চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ট্যাবলয়েড পিপলস ডেইলি বুধবার প্রতিবেদন করেছে যে, ৬৬টি কোম্পানি তাদের তালিকায় তাইওয়ানকে চীন থেকে স্বাধীন একটি দেশ হিসেবে উদ্ধৃত করেছে। যার মধ্যে ফেসবুক ও নাইকি কোম্পানিও রয়েছে। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী নেত্রী সাই ইং-ওয়েন বিজয়ী হওয়ার পর চীন অব্যাহতভাবে চাপ প্রয়োগ করে যাচ্ছে। ক’দিন আগে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, তাইওয়ান চীনের একটি অংশ। মূলভূমির সঙ্গে দ্বীপটির পুনরেকত্রীকরণে বেজিং প্রয়োজনে সামরিক শক্তি প্রয়োগ করতে দ্বিধা করবে না।
×