ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কোটালিপাড়ায় শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলা ॥ ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শুরু

প্রকাশিত: ০৬:৪৬, ১৮ জানুয়ারি ২০১৯

কোটালিপাড়ায় শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলা ॥ ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শুরু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় মৃত্যুদ-প্রাপ্ত ১০ জঙ্গির ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের আপীলের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও মোঃ রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে মামলাটির কার্যক্রম শুরু হয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সারওয়ার কাজল। আসামিদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ বি এম আলতাফ হোসেন। ২০০০ সালের ২০ জুলাই কোটালিপাড়ায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশ স্থলের পাশে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখা হয়। শেখ লুৎফর রহমান মহাবিদ্যালয়ের উত্তর পাশের একটি চায়ের দোকানের পেছনে এ বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এ ঘটনায় তৎকালীন কোটালিপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নূর হোসেন একটি মামলা দায়ের করেন। পরে ২০০১ সালের ৮ এপ্রিল ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। পরবর্তীকালে ২০০৯ সালের ২৯ জুন আরও নয়জনকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয়া হয়। এরপর ২০১০ সালে মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য ঢাকা-২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। গতবছরের ২০ আগস্ট গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মমতাজ বেগম ১০ জঙ্গীর সর্বোচ্চ শাস্তি দেন। আদালত গুলি করে প্রত্যেকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দেন। এছাড়া চার আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- দেন। মামলায় নিম্ন আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন-ওয়াশিম আখতার ওরফে তারেক হোসেন, মোঃ রাশেদ ড্রাইভার ওরফে আবুল কালাম, মোঃ ইউসুফ ওরফে আবু মুসা হারুন, শেখ ফরিদ ওরফে মাওলানা শওকত ওসমান, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বক্কর, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই ও মাওলানা আবদুর রউফ ওরফে আবু ওমর। আসামি মেহেদি হাসান ওরফে আবদুল ওয়াদুদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। আসামি আনিসুল ওরফে আনিস, মোঃ মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান এবং সরোয়ার হোসেন মিয়াকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদ- ও ১০ হাজার টাকা অনাদায়ে আরও এক বছরের দণ্ড দেয়া হয়।
×