ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মাথাপিছু ঋণ এখন ১৭ হাজার টাকা

প্রকাশিত: ০৭:০৯, ১৮ জানুয়ারি ২০১৯

 মাথাপিছু ঋণ এখন ১৭ হাজার টাকা

বিডিনিউজ ॥ বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু বিদেশী ঋণের পরিমাণ এখন ১৭ হাজার টাকা। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ বৃহস্পতিবার এই তথ্য দিয়ে বলেছে, ঋণের এই পরিমাণ নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। বৃহস্পতিবার ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সাংবাদিকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় এক প্রতিবেদনে রাষ্ট্রীয় ঋণের চিত্র তুলে ধরেন ইআরডির যুগ্ম সচিব মোহা. রুহুল আমিন। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত অর্থবছরের শেষ নাগাদ দেশে বিদেশী ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৩৫২ কোটি ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় ২ লাখ ৮১ হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের এই দেশে মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ ২০৪ মার্কিন ডলার। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশী মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ১৭ হাজার ১৩৬ টাকা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থাগুলোর কাছ থেকে বাংলাদেশের নেয়া এই ঋণের ভারিত গড় সুদ হার ১ দশমিক ২৩ শতাংশ। গড়ে ৮ বছরের রেয়াতকালসহ ঋণ পরিশোধের গড় মেয়াদ প্রায় ৩১ বছর। প্রতিবেদনে বলা হয়, অর্থনৈতিক সক্ষমতার বিচারে বাংলাদেশের বর্তমানে যে বিদেশী ঋণের স্থিতি রয়েছে বা মাথাপিছু বিদেশী ঋণ রয়েছে, তা কোনভাবেই উদ্বিগ্ন হওয়ার পর্যায়ে যায়নি। বাংলাদেশের মোট দেশজ আয়ের (জিডিপি) তুলনায় এ বিদেশী ঋণ ২০১৮ সালের হিসাব অনুযায়ী ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০১৭ সালে ছিল ১২ দশমিক ৮ শতাংশ। রুহুল আমিন বলেন, জিডিপির ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বিদেশী ঋণকে উদ্বেগজনক বলা হয় না। এর বেশি হলে তখন উদ্বেগজনক বলে ধরা হয়। বর্তমানে আমাদের বিদেশী ঋণের যে স্থিতি রয়েছে, তা ২০৫৭ সালেই পরিশোধ হয়ে যাবে। এ সময়ের মধ্যে নতুন ঋণ না নিলে বর্তমান স্থিতির জন্য দাতাদের কাছে ২০২৭ এক অর্থবছরে সর্বোচ্চ ১৬০ কোটি ডলারের মতো পরিশোধ করতে হবে। এরপর থেকে ক্রমান্বয়ে কমে আসবে। অর্থাৎ এই বিদেশী ঋণ ফেরত দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সব মিলিয়ে ১১১ কোটি ডলারের বিদেশী ঋণ ফেরত দেয়া হয়েছিল। রুহুল আমিন বলেন, আমাদের জিডিপির ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলেও বর্তমানে আমরা যে হারে বিদেশী ঋণ নিচ্ছি, তা ফেরত দিতে কোন সমস্যা হবে না। আমাদের যে ঋণ ফেরত দিতে হয়, তা আমাদের রফতানি এবং রেমিটেন্সের মাত্র ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং প্রতিবছর আমাদের যে রাজস্ব আহরণ হচ্ছে তার মাত্র ৬ দশমিক ৯ শতাংশ। সুতরাং এই বিদেশী ঋণ আমাদের অর্থনীতির জন্য কোন ধরনের ঝুঁকি তৈরি করতে পারবে না। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত ৫ বছরেই বিদেশী ঋণ দ্বিগুণ হয়েছে। বর্তমানে ঋণের পাইপলাইনে ৪ হাজার ৪৩০ কোটি ডলার জমা আছে।
×