ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

বদরুল হায়দার

প্রেম ও মানবতার কবি কামাল চৌধুরী

প্রকাশিত: ০৭:৩৬, ১৮ জানুয়ারি ২০১৯

প্রেম ও মানবতার কবি কামাল চৌধুরী

কামাল চৌধুরী বাংলাদেশের কবিতায় উজ্জ্বল কবিসত্তা। ’৭০-এর কাব্য পরিম-লে তাঁর আগমন স্বতন্ত্র ও নিজস্ব বৈশিষ্ট্যম-িত। দ্বিধাদ্বন্দ্বে, রাগ, ক্ষোভ, দুঃখ, আনন্দ, প্রেম, বিরহ, দ্রোহ ও মানবতা সবটুকুই কবিতায় ধারণ করেন আত্মবিশ্বাসী হয়ে। যেখানে সত্য সুন্দর আনন্দের মেলবন্ধনে এক নতুন সত্যের জন্ম হয়। সেখানে কবি ও কবিতা বাস করে। কামাল চৌধুরী আত্মপ্রত্যয়ের কবি। সার্বক্ষণিক কবি প্রতিভাকে লালন করেও দেশের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করছেন সার্থকভাবে, নিষ্ঠা ও দেশপ্রেম দিয়ে। কবিতায় তিনি চলমান সময় সমাজ রাষ্ট্র ব্যবস্থা, জাতিসত্তা ও আন্তর্জাতিকতা রয়েছে তার কাব্য সম্ভারে। ক্রান্তিকালেও সার্বক্ষণিক কবিসত্তায় তিনি তার কলমকে সচল রেখেছেন আত্মমগ্নভাবে। এসেছি আবার ফিরে... রাতজাগা নির্বাসন শেষে এসেছি জননীবঙ্গে স্বাধীনতা উড়িয়ে? উড়িয়ে... জীবনযাপনে নিষ্ঠা, সততা ও বিচক্ষণতাকে যেভাবে সচেতনভাবে কাজে লাগিয়েছেন তেমনিভাবে তার কবিতায় পরিশুদ্ধতা রয়েছে। গভীর মনোযোগী জ্ঞান সত্তার কাছে তিনি চিরকালেই নত থাকতে চান। সত্য সুন্দরের পক্ষে অবিচল অনড় সত্তায় তিনি ভ্রমণ করেন চেতনায়। মানুষের মুক্তি ইচ্ছা আকাক্সক্ষা স্বপ্নচারিতাকে কামাল চৌধুরী মানুষের হয়ে উচ্চারণ করেন কবিতায়। মানুষই তার কাব্যের আরাধনা। প্রেম প্রণয় যুদ্ধ সংঘাত, জয় ও উচ্ছ্বাসের মর্মকথার সন্ধান করেন। জাগতিক জীবনের বেঁচে থাকার সংগ্রাম উত্থান উন্নয়ন নানামাত্রিক ভাবনার প্রতিফলন ঘটান সানন্দে। ‘নতুন কবিতার জন্য’ কবিতায়- আমার ভেতরে উঁচু হয়ে আছে সে গাছ নতুন কবিতার জন্য ডালপালা ছড়াচ্ছে সে ৭০ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ বিজয়, স্বাধীনতা সবটুকুই ধারণ করেন মমতায়। হৃদয়াস্পর্শী ক্ষরণ রয়েছে তার কবিতায়। স্মৃতি নির্ভর, ইতিহাস সচেতনতা, অভিজ্ঞতা ও আন্তর্জাতিকতা তার কবিতাকে দিয়েছে পাঠকপ্রিয়তা। আমি নত হবো, আমি নতজানু হবো তোমার জন্মের নামে সেইদিন পতাকা উড়াবো মিছিলের সমান বয়সী কাব্যগ্রন্থ দিয়ে কামাল চৌধুরীর কাব্য পরিম-লে যাত্রা শুরু করলেও তিনি সার্বক্ষণিক কবি। জন্মঋণ স্বীকার করে এগিয়ে যান সামনের দিকে। সচল সমুদ্রের মতো প্রবহমানতা ও সাহসিকতা রয়েছে তার কবিতায়। আবেগ ও বিবেকের দোলাচলে তিনি খুঁজে পান পরম সত্যকে। পরিমিতি বোধ রয়েছে কবিতার অভ্যন্তরে। ক্ষরণপীড়ন, মানুষের জীবনযাপনের বিচিত্র স্বভাব তিনি অনুসন্ধান করেন দূরদৃষ্টি দিয়ে। কামাল চৌধুরীর কবিতায় আবেগ বিবেককে তিনি একসাথে কাজে লাগান কবিতায়। ফলে তার কবিতা হয়ে ওঠে মানবিক। প্রেম মানবতা রয়েছে উজ্জ্বল কবিতার পঙ্ক্তিতে। তিনি বিবেকের মতো অনর্গল সত্য সুন্দর কল্যাণের স্বপক্ষে কবিতাকে দাঁড় করাতে চেষ্টা করেছেন- শুরু থেকে। মেয়েটি বাঁধতে জানে কবিতায়- দ্রাক্ষারসে ভরি পেট-ভালোবাসা পুরোটা খেয়েছি মাতাল বন্ধুরা শুধু পেগ খাও, ভাল নাকি ভালবাসা কেমন সুস্বাদু? ভালোবাসা বিশ্বাস-অবিশ্বাস গ্রহণ-বর্জন দ্রোহ ও আত্মমগ্নতা অবারিতভাবে চাষ করেন কাব্যের কর্ষণে। প্রকৃতি ও বাস্তবতার সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে তিনি কবিতায় আধুনিকতাকে স্থান দেন সর্বাজ্ঞে। মমতা সমতা একাত্মতার জয় গান রয়েছে তার কাব্যের অন্তরে। সর্বপ্রিয় ভূমি কবিতায়- জাগিয়ে রাখো উষ্ণ শিরায় তুমি ত্রিভুবনের সর্বপ্রিয় ভূমি। কামাল চৌধুরীর কবিতার মূল বিষয় হচ্ছে প্রেম ও মানবতা। দেশপ্রেম, প্রকৃতিপ্রেম, নারীপ্রেম, মানবিক প্রেম সাম্য ঐক্যের প্রেমকে নিজস্বতা দিয়ে কবিতায় বলতে চান। অভিজাত ও বঞ্চিত উভয় মানুষের অন্তর্গত যাপিত জীবনের প্রতিচ্ছবির সন্ধান করেছেন। সাথে সাথে সত্যদ্রষ্টার মতো বিবেককে নাড়া দিতে চেয়েছেন। কবিতাকে জীবনের সঙ্গী করতে গিয়ে তিনি কবিতায় নিজেকে একাগ্র রেখেছেন মানবিক কবি হিসেবে। ‘আমি আজ ফিরে পেতে এসেছি প্রবেশাধিকার’ কবিতায়- আমি দেখে শস্য বুনি, আমি তাতে ঘুমন্ত পাহাড় ভেতরে জাগিয়ে দিয়ে প্রকৃতির বর্ণ-বাসা তুলি একক কাব্যগ্রন্থের বাইরে কামাল চৌধুরীর কবিতাসংগ্রহ, মিছিলের সমান বয়সী, টানাপোড়েনের দিন, এই পথে এই কোলাহল, এসেছি নিজের ভোরে, এই মেঘ বিদ্যুতে ভরা, ধূলি ও সাগর দৃশ্য, রোদ বৃষ্টি অন্তমিল, যে মাটি পৃথিবীপুত্র, পান্থশালার ঘোড়া কাব্যগ্রন্থগুলো প্রত্যেকটিরই একটি আলাদা সত্তা রয়েছে। দীর্ঘ কাব্য জীবনের অভিজ্ঞতার স্ফুরণ দেখা যায় উপমা উৎপ্রেক্ষায়। তার কবিতায় আত্মোপলব্ধি ও সৃজনশীলতা রয়েছে স্বাভাবিকভাবে। ইন্দ্রিয়গ্রাহ্যতা ও অনুভব তাকে দিয়েছে কবিত্ব শক্তি। চতুর্দিকে স্মৃতি ওড়ে- ইতিকথা, বিস্মরণ বুজে শতাব্দী প্রাচীন বাড়ি কাঁদে আজ আজ অশ্রুভরা চোখে চিত্রকলাকে হৃদয়গ্রাহী করে সর্বজনীনতায় অনুধ্যানে তিনি নিজেকে আবিষ্কারের চেষ্টা করেন। ধ্যান-জ্ঞান বিবেকের অনুধ্যানকে কবিতার সাধারণভাবে সহজপাঠ্য করে প্রকাশ করেন। ফলে সহজে দেশ মাটি মানুষ রাজনীতি উঠে আসে অনুষঙ্গ হয়ে। টানাপোড়েনের দিন- কাব্যগ্রন্থে কামাল চৌধুরী বিপ্লব ও মুক্তির প্রতি আশাবাদী হতে দেখা যায়। বেঁচে থাকার লড়াইয়ে মানুষের বিজয়ের পক্ষে সময়ের মুখোমুখি হয়েছেন। যারা জন্ম নিলো আমরা তাদের নাম রাখলাম বিপ্লব যারা জন্ম নিলো আমরা তাদের নাম রাখলাম মুক্তি কামাল চৌধুরীর কবিতায় দার্শনিক সত্যের উৎসারণ রয়েছে। তত্ত্বানুসন্ধানী অনুভূতি প্রকাশ আকুলতা ভাবালুতা রয়েছে বিভিন্ন কাব্যগ্রন্থে। তিনি কবিতায় পরিমিত শব্দ ব্যবহার করেন সহজ সরল বোধের গভীরে। মীথ, পুরাণ, ঐতিহ্য, ইতিহাস ও বিশ্বাতিত বোধের অনুভব রয়েছে তার সচেতনতায়। সময়ের আধুনিক কবি হিসেবে যুগ যন্ত্রণাকে তিনি গ্রহণ ও বহন করেছেন কবিতায় স্মৃতিকাতরতায়। ‘নিরুত্তর শব্দকাব্য’ কবিতায়- মায়া ডাকে মাঝরাতে মাতাল বাতাস তাকে এখনো জাগায় পুরনো নেশায় জাগে ঘুমচোখে- তবু নিরুত্তর শব্দ বাক্যরাজি কামাল চৌধুরীর কবিতায় বাস্তবতা যেভাবে সুস্পষ্ট তেমনিভাবে পরাবাস্তবতার অবাস্তবতা দেখা যায়। লৌকিক, অতি লৌকিক ও পরলৌকিক ভাব চেতনা রয়েছে কোন কোন কবিতায়। আন্তঃরহস্যময়তা তিনি কবিতায় বিশ্বাসী নয়। তিনি মানুষের ভাষা ও আবেগকে উপমা উৎক্ষেপণ, বাঁক প্রতীময় আত্মস্থ করেন। বাস্তবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে নিত্যানন্দে তিনি ভেসে বেড়ান অমোঘ বন্ধনে। এসেছি নিজের ভোরে কাব্যগ্রন্থের বৈপরীত্য কবিতায়- নিজের হলুদ ছায়া ফেরি করে বিকেলের মেয়ে কার শোক? আমরা তো কাহানী বানাই কবিতায় মানুষের স্বরূপ সন্ধান করতে গিয়ে কামাল চৌধুরী নানা চিত্রকল্পের জন্ম দেন। চেতন অবচেতনের কারসাজির মুগ্ধতায় দ্রোহ ও বেদনাকে প্রেরণায় রূপ দেন। নিয়ত অভিলাষী এক পরম সত্তা নিয়ে তিনি ৭০ দশক থেকে এ যাবত কবিতায় নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। জীবনবাদী কবির ব্যাপকতা রয়েছে শিল্পীতভাবে। রোদ বৃষ্টি অন্ত্যমিল কাব্যগ্রন্থের ‘শ্রাবণের প্রেম ভাষা’ কবিতায়- এক জন্মে ভেসে যায়- নবজন্মে অমৃতে গরলে তোমার দখল নেব শব্দগুচ্ছ শ্রাবণের জলে কামাল চৌধুরীর কবিতায় ছন্দের মিল অন্ত্যমিল ও ধ্বনিময়তা রয়েছে। ফলে পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে অনেক কবিতা। তিনি ‘কবিতাকে খোঁজেন নিজের ভেতর। জীবনের আত্মস্বর ও প্রতিস্বরে অন্তর্ভেদী ছবি শিল্পসৌন্দর্যবোধের নান্দনিক লক্ষণগুলোকে আবিষ্কার করেন। আস্বাদন করেন নান্দনিক রস, রূপ, বর্ণ, গন্ধ, স্পর্শ ইন্দ্রীয় গ্রাহ্য করে ক্রিয়াশীল রাখেন কবিতায়। ‘এই পথ এই কোলাহল’ কাব্যগ্রন্থে আয় সূর্য কবিতায় উচ্চারণ করেন- আয় সূর্য তোকে আমি পরাব পোশাক শতচ্ছিন্ন এই জামা তালি তাপ্পি জীর্ণ দুঃখ বুক ছুঁয়ে দেব প্রভাত আসুক ভাষা বিশ্বাস কাব্যের গঠনশৈলীর প্রতি তিনি সচরাচর ছিলেন সজাগ ও জাগ্রত। বহুভাষিক শব্দ ব্যবহার ও প্রকৃত ধ্যান-ধারণার সমন্বয় করতে গিয়ে অন্তহীন নিঃসঙ্গতাকে হৃদয়ে আশ্রয় দিয়েছেন। মুক্ত ও মৌলিক চিত্রকাব্যকে তিনি কবিতায় স্থান দেন বুদ্ধিদীপ্ততা দিয়ে। ফলে তার কবিতায় কল্পনার সাথে বাস্তবের সম্মিলন ঘটে স্বভাবগতভাবে। নিসর্গ কুমারী কবিতায়- সমুদ্র কাতর হোক, আমার পদ্য বাড়ুক উদার চরণ শুনে নৃত্য হোক জলের কিনারে এ নিসর্গ আমি চাই- আমিই প্রাপক কামাল চৌধুরী তার সমকালীনদের মধ্যে একটু আলাদা। জীবনযাপন ও কবিতায় তিনি স্বতন্ত্র স্বভাবটুকু ধরে রাখার চেষ্টা করেছেন। মিষ্টিক প্রেমের কবি হিসেবে প্রেমকে পরম সত্তায় প্রাণ দিতে চেয়েছেন। প্রেমের জাগতিক দ্বিধা-দ্বন্দ্ব-রাগ অনুরাগকে তিনি কবিতায় সফলভাবে প্রতিস্থাপন করেন। পান্থশালার ঘোড়া কাব্যগ্রন্থের চিত্রকল্প কবিতায়- ভুলো না আমায়, দুপুরের সুঁই-মতো দূর প্রান্তরে ভ্রমরের ছবি আঁকে একা কিশোরীর ভুল বানানের চিঠি পাখি হয়ে যায় হারানো পথের বাঁকে কামাল চৌধুরীর নয়টি কাব্যগ্রন্থের কবিতা সংগ্রহটিতে কবি জীবনের সার্থকতা রয়েছে। কাব্যগ্রন্থগুলো প্রত্যেকটি একটি স্বতন্ত্র সত্তা। সময়ের কাব্য পরিক্রমণায় তার দীর্ঘ ভ্রমণে কাব্যগ্রন্থের নামকরণেও চমক সৃষ্টি করেছেন। গতানুগতিকতার বাইরে- তার কাব্যগ্রন্থ এসেছি নিজের ভোরে, ধূলি ও সাগর দৃশ্য, এই মেঘ বিদ্যুতে ভরা কাব্যগ্রন্থগুলো পাঠকের ভাল লাগার বহু বর্ণিলতার আলোকচ্ছটা রয়েছে। দুর্বোধ্যতাকে তিনি কবিতায় প্রশ্রয় দেয়নি। সহজবোধ্য জীবনকল্পের বর্ণনা রয়েছে তার কাব্যে। এই পথ এই কোলাহল কাব্যগ্রন্থের মানুষ কবিতায়- মানুষের মৌলিকত্ব একটাই- সে মানুষ কামাল চৌধুরীর সাথে আমার পরিচয় আশির দশকে। গত ত্রিশ বছরের বেশি সময় ধরে নানা অনুষ্ঠান আয়োজনে তাকে কাছে পেয়েছি। ভাল মানুষের সব গুণাবলী রয়েছে তার মধ্যে। তেমনি কবিতায়ও তিনি পরিশীলিত। কবিতাংশ কবিতায়- এ কাঠামো পাথরের, এ কাঠামো শোণিত প্রবাহ আগুন জ্বালিয়ে রাখি জন্ম থেকে জন্মান্তরগামী। কামাল চৌধুরী কবিতার জন্য নানা সম্মাননা ও পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। কর্মজীবনে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের সুযোগ হয়েছে। ফলে তার কবিতায় আন্তর্জাতিকতা রয়েছে। বাংলা? ভাষাভাষীর শব্দের বাইরে বিদেশী ভাষা সাহিত্যের সম্পৃক্ততাও মিথস্ক্রিয়ার ফলে তার কবিতা হয়ে উঠেছে মানুষের কবিতা হয়ে। কামাল চৌধুরী কবিতা লেখার বাইরে বেশকিছু কিশোর কবিতা লিখেছেন। ‘আপন মনের পাঠশালাতে’ নামের তার একটি কিশোর কবিতার গ্রন্থ রয়েছে। যৌথভাবে ড. আলী রিয়াজের সঙ্গে সম্পাদনা করেছেন- সত্তর দশকের কবিদের কবিতা। কবিতায় আপন আলোর মুগ্ধতায় তিনি নিজেকে উপস্থাপন করতে চান। সদাজাগ্রত অবলোকন ও দেখার চোখ রয়েছে নিজস্ব বলয়ে। অতিকথন অস্পষ্টতা বিভ্রান্তিকে কবিতায় এড়িয়ে যান। সুস্পষ্ট ও সারল্যেভরা শব্দাবলির প্রতি তিনি অনড়। বীজের ভাষা কবিতায়- মানবজীবন, এই মাটিতে আজ সেই ভাষাটা খুঁজতে আমার আসা এ বিরল কবির জন্ম কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বিজয় করা গ্রামে। বিজয় করার প্রত্যয় নিয়ে কাব্য পরিম-লের দীর্ঘ ভ্রমণে তিনি বিজয়ী হবেন- এটাই প্রত্যাশা।
×