ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

পাখির কিচিরমিচিরে মুখরিত বেনাপোলের কদম বিল

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ১৯ জানুয়ারি ২০১৯

 পাখির কিচিরমিচিরে মুখরিত বেনাপোলের কদম বিল

বেনাপোল শার্শার পদ্মবিলে আসছে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। পাখির কলকাকলীতে মুখরিত সীমান্তবর্তী এ এলাকা। কদম বিলে সুরক্ষা থাকায় আসছে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি বাড়ছে দর্শনার্থী। পাখির অভায়রণ্যে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছেন পাখিপ্রেমী দর্শনার্থীরা। উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক দৃশ্য। পাখির কিচির মিচিরে মুখরিত এলাকা মুগ্ধ হচ্ছে আগতরা। শার্শা উপজেলার দুর্গাপুরের ৬৫ বিঘার জমিতে বিশাল জলাশয়ে হরেক রকম পাখির আবাসস্থল গড়ে উঠেছে। এ বিলের ৫০ গজ দূরেই ওপারে ভারতের কাঁটা তারের বেড়া। কেওড়া বেষ্টিত জ্বলাশয় ও সবুজ বেষ্টনীতে ঘেরা বেড়ি। নিরাপদ ও এলাকাবাসীর কড়া নজরদারি থাকায় এখানে পাখির অভয়ারণ্য গড়ে উঠেছে। প্রতি বছর শীত আগমনের সঙ্গে সঙ্গে ঝাঁকে ঝাঁকে আসতে শুরু করে সরাইল, পানকৌড়ি, ডংকুর, বগ, বালিহাঁসসহ দেশী-বিদেশী অতিথি পাখি। দৃষ্টিনন্দন ও মনোরম দৃশ্য দেখতে গ্রাম ও শহর থেকে অতিথি পাখির অভয়াশ্রমে প্রতিদিন আসছে বিভিন্ন বয়সী মানুষ। সন্ধ্যায় ফিরছে নীড়ে সকালে যাচ্ছে বিভিন্ন স্থানে ওড়ে। পাখির এই কিচির মিচির ও উড়ে যাওয়া দৃশ্য দেখে বিমোহিত তারা। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ও বৃক্ষ সংরক্ষণে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন দর্শনার্থী ও পাখিপ্রেমী মানুষসহ স্থানীয়রা। যশোর শার্শা উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জয়দেব কুমার সিংহ বলেন, শীত আগমনের সঙ্গে সঙ্গে সীমান্তবর্তী উপজেলা শার্শাতে লক্ষাধিক অতিথি পাখির সমাগম ঘটেছে। এসব পাখি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসছে। পাখি দেখলে মনে হয় এখানে পাখির অভয়াশ্রম গড়ে উঠেছে। পাখি অত্যন্ত সুরক্ষিত অবস্থায় আছে। তিনি বলেন, সন্ধ্যায় হাজার হাজার পাখি আসে আর সকালে খাদ্যের সন্ধানে ফিরে যায়। উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতরে পাখির অভয়াশ্রম গড়ে তোলার কাজ চলছে বলেও জানান তিনি। -আবুল হোসেন, বেনাপোল থেকে
×