ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সিলেটকে আবারও হারাল ঢাকা

প্রকাশিত: ০৪:৩৯, ১৯ জানুয়ারি ২০১৯

 সিলেটকে আবারও হারাল  ঢাকা

মিথুন আশরাফ ॥ লীগ পর্বে দলগুলো পরস্পরের বিপক্ষে দুটি করে ম্যাচ খেলবে। ঢাকা ডায়নামাইটসের কাছে দুটি ম্যাচেই হারল সিলেট সিক্সার্স। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ঢাকার ‘হোম ভেন্যু’তেও সিলেটকে উড়িয়ে দিয়েছে ঢাকা। শুক্রবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিলেটের ‘হোম ভেন্যু’তেও সিলেটকে পাত্তা দেয়নি ঢাকা। সাকিব আল হাসান এদিন স্বমহিমায় ফিরেছেন। অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখিয়েছেন। বিপিএলের ষষ্ঠ আসরে প্রথমবার হাফসেঞ্চুরির (৬১*) দেখা পেয়েছেন। সঙ্গে ২ উইকেটও নিয়েছেন। তার অসাধারণ অলরাউন্ড নৈপুণ্যেই সিলেটকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে ঢাকা। এই জয় পেয়ে পয়েন্ট তালিকায় নিজেদের অবস্থান আরও মজবুত করল ঢাকা। ৬ ম্যাচে ৫ জয়ের ১০ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষেই আছে সাকিবের দল। ‘প্লে-অফ’ খেলার পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেছে। টানা চার ম্যাচ জেতার পর এক ম্যাচে হেরেছিল ঢাকা। আবার জয়েও ফিরেছে। সিলেট টস জিতে আগে ব্যাটিং করে। ডেভিড ওয়ার্নার একটি করে ম্যাচ খেলছেন। তার যাওয়ার সময়ও ঘনিয়ে আসছে। আজ আরেকটি ম্যাচ খেলেই ওয়ার্নার বিদায় নেবেন। বিপিএল খেলা তার শেষ হয়ে যাবে। নিজ দেশ অস্ট্রেলিয়ায় কনুইয়ের চিকিৎসা করাতে বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যাবেন রবিবারই। কিন্তু এর আগে যে নৈপুণ্য দেখাচ্ছেন, তাতে সিলেট ভালভাবেই ওয়ার্নারের অনুপস্থিতি বুঝবে। ওয়ার্নারের অভাব পূরণ করা যে কত কষ্টের, তা যেন একের পর এক ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করেই বুঝিয়ে দিচ্ছেন। গত বুধবার রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে অপরাজিত ৬১ রানের ইনিংস খেলার পর ঢাকার বিপক্ষেও ৪৩ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৬৩ রানের ইনিংস খেলেছেন। দেখতে দেখতে এবার বিপিএলে দ্বিতীয় সেরা রান সংগ্রাহকও হয়ে গেছেন। থাকলে হয় সেরা রান সংগ্রাহকও হয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু চলে যাওয়ার আগে নিজের সক্ষমতা ভালভাবেই বুঝিয়ে দিচ্ছেন। তার হাফসেঞ্চুরিতে ৮ উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে ১৫৮ রান করেছে সিলেট। ওয়ার্নারকে আউট করেন সাকিব। তা না হলে ওয়ার্নারের ইনিংস আরও বড় হতো। সাকিব শেষ পর্যন্ত ২ উইকেট শিকার করেন। তবে বিপিএলে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে বল হাতে আলো ছড়ান ঢাকার দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার এ্যান্ড্রু বার্চ। স্কোরবোর্ডে ভালই রান জমা করে সিলেট। কিন্তু এদিন যে সাকিব ঝলক দেখাবেন, তা কে জানত। ৩৭ রানেই ঢাকার ৩ উইকেট পড়ে যায়। এরপর সাকিব হাল ধরেন। এমনই হাল ধরেন, শেষপর্যন্ত উইকেটে টিকে থাকেন। শেষদিকে আন্দ্রে রাসেলকে (২১ বলে অপরাজিত ৪০ রান) নিয়ে ৫১ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়েন। ৩ ওভার আগেই ম্যাচ জিতে যায় ঢাকা। ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭ ওভারে ১৬৩ রান করে জিতে ঢাকা। ৪১ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত ৬১ রান করেন সাকিব। অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখিয়ে ম্যাচসেরাও হন সাকিব। তার নৈপুণ্যে ঢাকার পর সিলেটেও সিলেটকে হারায় ঢাকা।
×