ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বিশেষ কৌঁসুলির দফতরের বিবৃতি ॥ তদন্ত করবেন ডেমোক্র্যাটরা

কোহেনকে দিয়ে ট্রাম্পের মিথ্যা বলানোর খবর সঠিক নয়

প্রকাশিত: ০৪:১২, ২০ জানুয়ারি ২০১৯

কোহেনকে দিয়ে ট্রাম্পের মিথ্যা বলানোর খবর সঠিক নয়

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাবেক আইনজীবী মাইকেল কোহেনকে শপথ নিয়ে কংগ্রেসের কমিটির শুনানিতে মিথ্যা বলতে বাধ্য করেছিলেন, বিশেষ কৌঁসুলি রবার্ট মুয়েলারের বরাতে বাজফিড শুক্রবার এরকম একটি খবর প্রকাশ করেন। তবে মুয়েলারের দফতর পরে বলেছে খবরটি ‘যথাযথ নয়’। বিশেষ কৌঁসুলির দফতর থেকে এ রকম বিবৃতি ইস্যু করা একটি নজিরবিহীন ঘটনা। এএফপি। বাজফিড নিউজে বলা হয়েছিল ট্রাম্প তার ব্যক্তিগত সাবেক আইনজীবী মাইকেল কোহেনকে দিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে মিথ্যা বলান। ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় একটি রুশ বহুতল প্রকল্প নিয়ে কোহেনকে মিথ্যা বলতে বাধ্য করেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তারা এ খবরের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বাজফিডের খবরে অবশ্য নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি যে ট্রাম্প কোহেনকে কি বলতে বলেছিলেন। মুয়েলারের মুখপাত্র পিটার বলেছেন, কংগ্রেসের কমিটির শুনানিতে মাইকেল কোহেনের বক্তব্যের বিষয় বিশেষ কৌঁসুলির দফতর নিয়ে বাজফিডের বিবৃতিগুলো ‘যথাযথ নয়’। এদিকে বাজফিড নিউজের এ খবর প্রকাশের পর বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন ডেমোক্র্যাট সদস্যরা। বাজফিড নিউজে বলা হয়, ট্রাম্প মস্কোয় ট্রাম্প টাওয়ার নির্মাণ পরিকল্পনার ব্যাপারে কোহেনকে কংগ্রেসে মিথ্যা বলতে বলেছিলেন। ট্রাম্পের আইনজীবী রুডি জুলিয়ানি হোয়াইট হাউস প্রতিনিধিদের কাছে পাঠানো বিবৃতিতে বাজফিডের ওই খবরকে ‘পুরোপরি ভুয়া’ বলে মন্তব্য করেন। হোয়াইট হাউসের ডেপুটি মুখপাত্র হোগান গিডলি বাজফিডের এ খবর ‘হাস্যকর’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্র্যাট সদস্যরা শুক্রবার বলেন, বাজফিডের অভিযোগ তারা খতিয়ে দেখবেন। ট্রাম্প আইন ভঙ্গ করেছেন কিনা তা যাচাই করে দেখা হবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চায় মার্কিন সিনেটের গোয়েন্দা কমিটিও। প্রতিনিধি পরিষদের বিচারবিভাগীয় চেয়ারম্যান জেরি নাডলার শুক্রবার সকালে টুইটে বলেন, অধীনস্ত কর্মচারীকে মিথ্যা বলতে বাধ্য করা গুরুতর অপরাধ। হাউস কমিটির কাজ হচ্ছে বিষয়টি তলিয়ে দেখা। আমরা সে কাজটিই করব। বাজফিড জানায়, মুয়েলারের সঙ্গে কাজ করা দুই তদন্তকারীকে কোহেনই বলেছিলেন যে, ট্রাম্প তাকে মস্কো প্রকল্প নিয়ে মিথ্যা বলতে বলেছিলেন। ই-মেইল, সাক্ষীদের সাক্ষাতকার, টেক্সট মেসেজ ও অন্যান্য নথিপত্র থেকে কোহেনকে দেয়া ট্রাম্পের নির্দেশ সম্পর্কে জানা যায়। বাজফিডের এডিটর ইন চিফ বেন স্মিথ অবশ্য তাদের প্রকাশিত রিপোর্টকে সঠিক বলে দাবি করেছেন। তিনি ঘটে যাওয়া বিষয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রকাশের জন্য বিশেষ কৌঁসুলির প্রতি আহ্বান জানান।
×