ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সড়কে টোকেন বাণিজ্য

প্রকাশিত: ০৪:১৬, ২০ জানুয়ারি ২০১৯

সড়কে টোকেন বাণিজ্য

নিজস্ব সংবাদদাতা বাঁশখালী, ১৯ জানুয়ারি ॥ দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা-বাঁশখালী-পেকুয়া পিএবি সড়কে যানবাহন চলাচলে আবারও অটোরিক্সা চালকদের মাসিক টোকেন ব্যবস্থা চালু করেছে চাতুরী চৌমুহনীর ট্রাফিক পুলিশ। বাঁশখালীর ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি কলিম উল্লাহ লাখ টাকার বিনিময়ে ট্রাফিক পুলিশের কাছ থেকে টোকেন সংগ্রহ করে বিভিন্ন পানের দোকান ও ট্যাক্সি চালকদের কাছে ৫২০ টাকায় বিক্রি করছে। গত ১৪ নবেম্বর গাড়ির কাগজপত্র তল্লাশির নামে টোকেনকে কেন্দ্র করে চাতুরী চৌমুহনীতে ট্রাফিক পুলিশ বক্স ভাংচুর ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর আবার টোকেন পদ্ধতি চালু হওয়ায় বাঁশখালী-পেকুয়া ট্যাক্সি চালক ও মালিকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এই ব্যাপারে শনিবার বাঁশখালী থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাঁশখালী পিএবি সড়কে থানার কোন পুলিশের পক্ষ থেকে ট্যাক্সিতে টোকেন দেয়া হয় না। বিষয়টি আমাদের জানাও নেই। স্থানীয় ট্যাক্সি চালক ও মালিকদের কাছ থেকে জানা যায়, পটিয়া-আনোয়ারা-বাঁশখালী পিএবি সড়ক ব্যবহার করে বাঁশখালী, পেকুয়া, চকরিয়া ও সাতকানিয়া অংশের প্রায় ১১ হাজার ট্যাক্সি, পিকআপ, ট্রাক ও মিনিট্রাক চলাচল করে থাকে। এই সমস্ত যানবাহনে ট্রাফিক পুলিশ ডকুমেন্ট তল্লাশি করে থাকে। ড্রাইভিং লাইসেন্স, ইন্স্যুরেন্স, গাড়ির ফিটনেস ও গাড়ির ডকুমেন্ট না থাকলে মামলা দায়ের করে টো করা হয়। এই মামলা থেকে রেহাই পেতে প্রতিমাসে চালকদের টোকেন নিতে বাধ্য করা হয়। ট্রাফিক পুলিশ গাউছের কাছ থেকে নেয়া মাসিক টোকেন বিক্রির এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বাঁশখালীর ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি কলিম উল্লাহ। তার সহযোগী হিসেবে কাজ করেন ডিজেল বিক্রেতা আরিফ উল্লাহ। বাঁশখালী সড়কে চলাচলরত ট্যাক্সি চালকরা জানান, পশ্চিম পটিয়ায় ট্যাক্সিতে গ্যাস নিতে গেলেই ট্রাফিক পুলিশের কবলে পড়তে হয়। আর তখনই বাধে বিপত্তি। মাসিক দুটি টোকেন না থাকলে ট্রাফিক পুলিশের কাছে হয়রানির শিকার হতে হয়। ট্রাফিক পুলিশের এজেন্ট প্রাপ্ত কলিম মিস্ত্রি ও আরিফ উল্লাহ পশ্চিম পটিয়া মইজ্জারটেক ও চৌমুহনীর টোকেনগুলো সংগ্রহ করে থাকেন। বাঁশখালী অটোরিক্সা ও ট্যাক্সি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ আবদু ছবুর বলেন, বাঁশখালী উপজেলায় ৪/৫ হাজার ট্যাক্সি রয়েছে। এছাড়াও এ সড়ক ব্যবহার করে আরও ৩/৪ হাজার ট্যাক্সি চলাচল করে থাকে। প্রতি ট্যাক্সির চালক ও মালিককে প্রতিমাসে টোকেন সংগ্রহ করতে হয়। টোকেন নিয়ে এত বড় ঘটনা ঘটেছে তবুও নির্বাচন চলাকালে টোকেন পদ্ধতি চালু করে দিয়েছে ট্রাফিক পুলিশ। তাছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে গাড়ির কাগজপত্র সম্পূর্ণ প্রদানপূর্বক এ বিষয়ে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
×