ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

৩০ ডিসেম্বরের রায় সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে, শান্তি ও উন্নয়নের পক্ষে

সবাই মিলে গড়ব দেশ ॥ সোহরাওয়ার্দীর মহাসমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ২০ জানুয়ারি ২০১৯

সবাই মিলে গড়ব দেশ ॥ সোহরাওয়ার্দীর মহাসমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ বাংলাদেশের স্বাধিকার ও স্বাধীনতা আন্দোলনের অনেক ঘটনার সাক্ষী ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উত্তাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষসহ দলমত নির্বিশেষে পুরো দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করেছেন। তিনি বলেন, আসুন, সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলি। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে দেশের মানুষ আমাদের প্রতি যে আস্থা-বিশ্বাস রেখেছে, প্রয়োজনে নিজের জীবন দিয়ে হলেও জনগণের সেই আস্থা-বিশ্বাসের মর্যাদা আমরা রক্ষা করব। বুকের রক্ত দিয়ে হলেও জনগণের ভোটের মর্যাদা রক্ষা করব। টানা তৃতীয়বারসহ চতুর্থবারের মতো ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে আবারও দেশ সেবার সুযোগ দেয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে দেশের জনগণ সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। বিজয় পাওয়া যত কঠিন, সেটি রক্ষা করে জনগণের সেবা করা আরও কঠিন। সেই কঠিন কাজটিই আমাদের করতে হবে। দেশের জনগণ রায় দিয়েছে শান্তি ও উন্নয়নের স্বপক্ষে। অন্ধকার থেকে আলোর পথে যাত্রার জন্য রায় দিয়েছে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের পক্ষে জনগণ রায় দিয়েছে। একাদশ জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর শনিবার বিকেলে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিজয়োৎসব উপলক্ষে আয়োজিত বিশাল সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বলেনÑ জনগণ ভোট দিয়েছে, তাদের সেই ভোটের সম্মান যাতে থাকে সেটি অবশ্যই আমরা মাথায় রেখে সার্বিকভাবে সুষম উন্নয়ন করে যাব। নির্বাচিত প্রতিনিধি যারা তাদের এটা মনে রাখতে হবে। দেশের মানুষের আকাক্সক্ষা পূরণ করা আমাদের কর্তব্য। বিজয় পাওয়া যত কঠিন, সেটি রক্ষা করে জনগণের জন্য কাজ করা আরও কঠিন। সেই কঠিন কাজের দায়িত্ব পেয়েছি, তা পালন করতে হবে। জনগণের ভোটের সম্মান যেন থাকে সেটা আমাদের নির্বাচিতদের মনে রাখতে হবে। আমরা সুষম উন্নয়ন করে যাব, জনগণের স্বার্থে কাজ করে যাব। আমাদের ওয়াদা, বাংলাদেশকে আমরা ক্ষুধামুক্ত ও দারিদ্র্যমুক্ত করব। জনগণকে দেয়া আমাদের প্রতিটি প্রতিশ্রুতি পূরণ করব। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তরুণদের জন্য সুন্দর বাংলাদেশ, ডিজিটাল বাংলাদেশ, আধুনিক বাংলাদেশ এবং মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে দেশ গড়তে জনগণ রায় দিয়েছে। মানুষ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে দেশ গড়ে তোলার রায় দিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা যে অঙ্গীকার করেছি সেই অঙ্গীকার অক্ষরে অক্ষরে পালন করব। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার পক্ষে রায় দিয়েছে দেশের মানুষ। দেশের মানুষ আমাদের ভোট দিয়ে যে আস্থা-বিশ্বাস রেখেছে, যে কোন মূল্যের বিনিময়ে প্রয়োজনে নিজের জীবনের বিনিময়ে হলেও সেই মর্যাদা আমরা রক্ষা করব। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। যে কোন ত্যাগের বিনিময়ে হলেও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সেই সোনার বাংলা আমরা গড়ে তুলবই। এর আগে বেলা আড়াইটার দিকে এ বিজয়ের সমাবেশ শুরু হয়। শুরুতেই পবিত্র কোরান তেলাওয়াত, গীতা, বাইবেল ও ত্রিপিটক পাঠ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের বিজয়োৎবের বিশাল জনসভায় বক্তব্য রাখেন দলটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিম-লীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, তাঁতি লীগের খগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ ও ছাত্রলীগের সভাপতি রেজোয়ানুল হক চৌধুরী শোভন। সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে অভিনন্দনপত্র পাঠ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা অভিনন্দনপত্রটি শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করেন। পুরো সমাবেশ পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন। এ সময় মূলমঞ্চে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা ছাড়াও নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যবৃন্দ এবং উপদেষ্টা পরিষদের অধিকাংশ নেতাই উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে বিপুলসংখ্যক নারী নেতাকর্মীর উপস্থিতি ছিল উল্লেখ করার মতো। বেলা আড়াইটায় বিজয় উৎসবের সময় নির্ধারণ থাকলেও সকাল ১০টা থেকেই উৎসবস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মানুষের ঢল নামতে শুরু করে। সকাল থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে জনস্রোত নামে। বেলা ১২টার মধ্যেই জনসভাস্থলসহ চারদিক লোকেলোকারণ্য হয়ে পড়ে। রাজধানীর প্রতিটি অলিগলি থেকে বাদ্য-বাজনার তালে তালে নেচে-গেয়ে বিজয়োৎসবে মাতোয়ারা হাজার হাজার নেতাকর্মী, সমর্থক আসতে থাকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। নির্বাচনী প্রতীক নৌকা, জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে এবং কণ্ঠে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের সঙ্গে ঢাকঢোলের বাদ্যে মুখর হয়ে আসা লাখো মানুষকে দুপুরে গানে গানে মাতিয়ে রাখেন দেশের জনপ্রিয় শিল্পীরা । বেলা আড়াইটায় বিজয় সমাবেশ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরুর আগেই পুরো উদ্যান ছাপিয়ে জনস্রোত শাহবাগ থেকে টিএসসি, দোয়েল চত্বর, মৎস্য ভবন, হাইকোর্ট মাজার, কাঁটাবন, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালসহ আশপাশে এলাকাও তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাপিয়ে চতুর্দিক প্রায় এক বর্গকিলোমিটার জনসমুদ্রে রূপ নেয়। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে নৌকার পক্ষে যেমন গণজোয়ার উঠেছিল তেমনি গণজোয়ারের সৃষ্টি হয়েছিল আওয়ামী লীগের বিজয়োৎসবের সমাবেশে। জনস্রোতের কারণে সকাল ১১টা থেকেই শাহবাগের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, কাঁটাবন মার্কেট মোড়, মৎস্য ভবন মোড় থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানমুখী সব রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে বাধ্য হয় আইনশৃৃঙ্খলাকারী বাহিনী। বেলা ৩টা ৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন নির্বাচনী প্রতীক নৌকার আদলে এবং পেছনের ব্যানারে সাজানো দলের এবারের ইশতেহারের মলাটের রঙে সুদৃশ্য ও নান্দনিক সুবিশাল মঞ্চে উপস্থিত হন তখন ‘জয় বাংলা’ ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে স্বাধিকার ও স্বাধীনতা আন্দোলনের অনেক ঘটনার সাক্ষী ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে আসার সঙ্গে সঙ্গে ইসমাইল হোসেন সম্রাটের নেতৃত্বে মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ২০ সহস্রাধিক নেতাকর্মী সুশৃঙ্খলভাবে জাতীয় পতাকার সবুজ গেঞ্জি, মাথায় ক্যাপ, হাতে জাতীয় ও সংগঠনের পতাকা নাড়িয়ে বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে স্বাগত জানায়। আরেকপাশে যুবলীগ উত্তর, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাল রঙের গেঞ্জি-টুপি পরে হাতে পতাকা নাড়িয়ে পুরো সমাবেশকেই নান্দনিক করে তোলে। বৈঠাসহ ছোট-বড় ৪০টির বেশি নৌকা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ছবি সংবলিত ফেস্টুনে বর্ণাঢ্য সাজে সাজানো হয়েছিল সমাবেশের মাঠ। কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঞ্চে আসার পর শুরু হয় সমাবেশের মূল আনুষ্ঠিকতা। জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ও টানা দুবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের গানের তালে তালে মঞ্চে আসেন প্রধানমন্ত্রী। মমতাজ বেগম ‘শুকরিয়ারে শুকরিয়া, কোটি কোটি শুকরিয়া/ বঙ্গবন্ধুর নৌকা মার্কায় ভোট দিয়া’ গানটি দিয়ে শুরু করেন। পরপর তার তিনটি গানের সঙ্গে সুর মেলান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ জনসমুদ্রে যোগ দেয়া লাখ লাখ নেতাকর্মীও। এর পরই মঞ্চে আসেন একাদশ জাতীয় নির্বাচনী প্রচারে যে গানটি সারাদেশের মানুষকে উদ্বেলিত করে তুলেছিল, তৌহিত হোসেনের কণ্ঠে এবং সালোয়ার আলমের লেখা যে গানটি মাত্র এক ঘণ্টায় দেশের প্রায় ২০ লাখ মানুষ শুনেছেন সেই জনপ্রিয় ‘জয় বাংলা, জিতবে আবার নৌকা’ গানের শিল্পীরা। নির্বাচনের আগে এবং বিজয়ের পরে চার শিল্পী যখন গানটি শুরু করেন, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীসহ তখন জনসমুদ্র থেকেও ‘জয় বাংলা, জিতবে আবার নৌকা’, জয় বাংলা, জিতল আবার নৌকা’ গানের সঙ্গে কণ্ঠ মেলালে পুরো উদ্যান প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। হাজার হাজার নেতাকর্মী, সমর্থক গানের তালে তালে নেচে-গেয়ে পুরো সমাবেশকে মাতিয়ে তোলেন। এছাড়া বেলা সাড়ে ১২টা থেকেই মূল মঞ্চ থেকে দেশের জনপ্রিয় শিল্পীরা একাধারে সাড়া জাগানিয়া নানা গান পরিবেশন করে সমাবেশে আসা নেতাকর্মীকে মাতিয়ে রাখেন। সমাবেশে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী রফিকুল আলম, ফকির আলমগীর, জানে আলম, পথিক নবী, আঁখি আলমগীর, সালমারা গান গেয়ে শোনান। ব্যান্ড দল জলের গানও তাদের পরিবেশনা নিয়ে আসে এই উৎসবে। গানে গানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ গত এক দশকে আওয়ামী লীগের উন্নয়ন কর্মকা-ের কথা তুলে ধরেন শিল্পীরা। জয়-পরাজয় একটা স্বাভাবিক ব্যাপার ॥ প্রধানমন্ত্রী বিজয় সমাবেশ থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া সব রাজনৈতিক দলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সব দল নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচনকে অর্থবহ করেছে। ভোটে আসা দলগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, নির্বাচনে জয়-পরাজয় একটা স্বাভাবিক ব্যাপার। আমি বলতে চাই আওয়ামী লীগ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছে এটা সত্য। দেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে ও মহাজোটকে বিজয়ী করেছে। তিনি বলেন, এই বিজয় কেবল আওয়ামী লীগের নয়, এ বিজয় স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির, এ বিজয় সকল জনগণের। বিজয় উৎসবে আসার জন্য তিনি উপস্থিত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে নির্বাচন কমিশনসহ পুলিশ-বিজিবি, আনসারসহ সকল সংস্থা ও গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইনশ্খৃলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি ভোটার ও তৃণমূলের নেতাকর্মীদেরও ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, তৃণমূলের নেতাকর্মীরা এবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। নিশ্চয়ই একটা কথা উপলব্ধি করেছে, ঐক্যবদ্ধ শক্তি সব সময় বিজয় অর্জন করে, এ নির্বাচনে তা প্রমাণ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এ সময় সকল রাজনৈতিক দলকে অংশগ্রহণ করে নির্বাচনকে অর্থবহ করায় ধন্যবাদ জানান। তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, জয়-পরাজয় স্বাভাবিক ব্যাপার। যখন দায়িত্ব পেয়েছি জনগণের সেবা করার, দলমত নির্বিশেষে সবার জন্য আমাদের সরকার সুষমভাবে কাজ করে যাবে। প্রত্যেকে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করবে। রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করা হবে। আর দেশের প্রতিটি নাগরিক আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। সকলের তরে, সকলের জন্য আমরা কাজ করব। তিনি বলেন, বিপুল বিজয়ের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেছে। তাই বর্তমান সরকার সবার জন্য কাজ করবে। সেখানে কোন দলমত দেখা হবে না। যারা ভোট দিয়েছেন বা যারা ভোট দেননি তাদের উদ্দেশে বলতে চাই- আওয়ামী লীগ সবার জন্য কাজ করবে। উন্নয়নের জন্য কাজ করবে, রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলার মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ দীর্ঘদিন পর স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। মা-বোন, নারীদের, তরুণ প্রজন্মকে যারা প্রথম ভোট দিয়েছে, কামার, কুমার, জেলে, কৃষক, শ্রমিক, মজুর সর্বস্তরের মানুষকে আমি ধন্যবাদ জানাই। আপনারা নৌকা মার্কার পক্ষে রায় দিয়ে আমাদের সুযোগ দিয়েছেন আপনাদের সেবার করার। জনগণের এ রায় অন্ধকার থেকে আলোর পথের যাত্রার রায়। আমরা জনগণের কাছে যে অঙ্গীকার করেছি তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হবে। যে কোন ত্যাগের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে। দেশকে সম্পূর্ণ দারিদ্র্যমুক্ত করতে সবার সহযোগিতা কামনা করে টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসা শেখ হাসিনা বলেন, একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে আমাদের এটাই মূল লক্ষ্য যে, আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। একটি উন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলব। যেখানে দেশের সকল মানুষের সহযোগিতা চাই। ছাত্র-শিক্ষকসহ সকল শ্রেণী-পেশার মানুষকে আহ্বান জানাই, আসুন সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমাদের বর্তমানকে উৎসর্গ করি ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য। যাতে তারা একটি উন্নত ও সুন্দর সমাজ পায়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন যেমন বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে এবং যেন বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলতে পারে, সেভাবেই আমরা আমাদের দেশকে গড়ে তুলতে চাই। সে জন্য যা যা করার দরকার করব। প্রতিটি গ্রামের মানুষ শহরের সকল নাগরিক সুবিধা পাবে। তৃণমূলে মানুষের জীবন উন্নত করব। শিক্ষার আলো প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে। প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় হবে, প্রতিটি উপজেলায় কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হবে। ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে। পঁচাত্তরে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ছয় বছর নিজের নির্বাসিত জীবনযাপন এবং দেশে ফিরে মানুষের গণতান্ত্রিক ও ভোট-ভাতের অধিকার আদায়ে দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের কথা তুলে ধরতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত হয়ে বাংলাদেশ তা উদযাপন করবে ঘোষণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ হবে উন্নত-সমৃদ্ধ সেটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে হলে দেশ থেকে যেমন দুর্নীতি দূর করতে হবে, সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। একই সঙ্গে মাদকমুক্ত, সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদমুক্ত দেশ করতে হবে, যেখানে মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। এদেশের মাটিতে সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ, মাদকের কোন স্থান হবে না। দেশবাসীকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যে অঙ্গীকার করেছি তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করব। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। আমি আমার জীবন উৎসর্গ করেছি এদেশের মানুষের জন্য। স্বজন হারানোর বেদনা নিয়েও এ দেশকে গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেছি। আমার জীবনে ব্যক্তিগত কোন চাওয়া-পাওয়ার নেই। কী পেলাম বা না পেলাম সেটি বড় কথা নয়, দেশের মানুষকে কতটুকু দিতে পারলাম সেটাই আমার কাছে সব চেয়ে বড় কথা। তাই বাংলাদেশের একটি মানুষও ক্ষুধার্ত থাকবে না, গৃহহীন থাকবে না। সবাই চিকিৎসা পাবে, তরুণরা কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে। বাংলাদেশ হবে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ। এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা, লক্ষ্য। দেশের জনগণ ও তরুণ প্রজন্ম আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করব। আরও আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। কবি সুকান্তের কবিতার পঙক্তি উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্য শেষ করেন। বলেন ‘তবু যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ, প্রাণপণে পৃথিবীর সরাবো জঞ্জাল, এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি- নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।’ সমাবেশে অন্য নেতারা যা বলেন ॥ একাদশ সংসদ নির্বাচনের নিরঙ্কুশ বিজয়ের উৎসবে রঙ্গিন হয়ে ওঠা ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিশাল জনসমুদ্রে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আওয়ামী লীগের এই মহাবিজয় ও বিএনপি-জামায়াতের পরাজয়ের কারণগুলো তুলে ধরেন। আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা অভিযোগ করেছেন, স্বাধীনতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের সমথর্করা ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছে। কিন্তু তাদের সেই ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। গত ১০ বছরে দেশের বিভিন্ন খাতে খাতে অভাবনীয় উন্নয়ন কর্মকা- অব্যাহত রাখতেই দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে বার বার ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করছে। এবারের বিজয় শেখ হাসিনার উন্নয়ন যাত্রার প্রতি মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থনের বহির্প্রকাশ ঘটেছে। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, ৩০ ডিসেম্বর দেশের প্রত্যেক জেলায় বাংলার মানুষ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিজয়ী হয়েছে। একাত্তরের ডিসেম্বরে আরেকটি বিজয় অর্জন হয়েছিল স্বাধীন বাংলা সৃষ্টির মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি সম্পন্ন করতে যাচ্ছেন তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা। দেশের মানুষ শান্তি, উন্নয়ন ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের পক্ষে তা ব্যালটের মাধ্যমে নৌকা বিজয়ী করে তা আবারও প্রমাণ করেছে। আরেক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে মহাবিজয় দেখে মনে হচ্ছে, আবারও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে ফিরে এসেছেন। এবারের নির্বাচনে বাংলার মানুষ উন্নয়নের পক্ষে ভোট দিয়েছে। এ দিনটির জন্য মানুষ অপেক্ষা করেছিল দীর্ঘদিন। তারা চেয়েছিল এবার সংসদ হবে জামায়াত মুক্ত, একাত্তরের খুনী ও স্বাধীনতাবিরোধী মুক্ত। যারা একাত্তরের খুনী ও যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে আঁতাত করেছিল, স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতের সঙ্গে ঐক্য করেছিল; বাংলার মানুষ নির্বাচনে তাদের ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। সভাপতিম-লীর সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের অদম্য আকাক্সক্ষা পূরণের দায়িত্ব এবারের ভোটের মাধ্যমে জনগণ শেখ হাসিনাকে দিয়েছে। বাংলার মানুষকে আলোর দিন দেয়ার জন্য এ বিজয় উপহার দেয়া হয়েছে। জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে মানবতার বিজয় বলে ঘোষিত করা যেতে পারে এ বিজয়কে। আর স্বাধীনতাবিরোধী, জঙ্গীবাদী, সন্ত্রাসী ও দুর্নীতিবাজদের ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যানেও নির্বাচন হয়েছে ৩০ ডিসেম্বর। সভাপতিম-লীর সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, যারা নির্বাচনে হেরে গেছে, যারা লড়াইয়ের মাঠে হেরে গেছে- তারা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। বাংলার জনগণ মনে করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ভালবাসায় তারা সিক্ত হয়েছেন। তাই নির্বাচনে দেশের জনগণ উন্নয়ন, সমৃদ্ধি, প্রগতি ও শান্তির পক্ষের শক্তি নৌকাকে ভোট দিয়েছেন, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধান নির্মাতা শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করেছেন। আর যারা নির্বাচনকে বানচাল ও প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র করেছিল, সেই স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে ব্যালটের মাধ্যমে আবারও প্রত্যাখ্যান করেছে। নজরকাড়া শোডাউন যুবলীগের ॥ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ সরকারের টানা হ্যাট্টিক বিজয়ে আয়োজিত ‘বিজয় সমাবেশ’ কে দৃষ্টিনন্দন করে তুলেছিল ক্ষমতাসীন দলটির সহযোগী সংগঠন আওয়ামী লীগ যুবলীগ। যুবলীগের দক্ষিণের হাজার হাজার নেতাকর্মী সমাবেশে নৌকার ঢেউ তুলে ব্যাপক শোডাউন করেছে। লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা, সংগঠনের পতাকা, সবুজ গেঞ্জি, ক্যাপ ও লাল ফিতা ভিন্ন মাত্রা যোগ করে সমাবেশে। যুবলীগ মহানগর উত্তরেরও বর্ণাঢ্য সাজে উপস্থিতিও ছিল উল্লেখ করার মতো। বেলা আড়াইটায় আনুষ্ঠানিকভাবে জনসভা শুরু হওয়ার বেশ কয়েক ঘণ্টা আগে থেকেই মঞ্চের একদম সামনে ব্যানার, ফেস্টুনের সঙ্গে কয়েক হাজার লাল-সবুজের টি-শার্ট ও মাথায় সবুজ ক্যাপ, হাতে নৌকা নিয়ে যুবলীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ কেন্দ্রীয় নেতারা যখন সভামঞ্চে বক্তৃতা করছিলেন তখন যুবলীগের দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্র্রাটের নেতৃত্বে হাজার হাজার নেতাকর্মী অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে পতাকা নেড়ে বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে অভিনন্দন জানিয়েছেন সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী। যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদের নির্দেশে সারিবদ্ধ হয়ে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা জাতীয় পতাকা, দলীয় পতাকা ও লাল ফিতা দোলানো এবং উড়িয়ে ভিন্নমাত্রা যোগ দেন। ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের উপস্থিতিও ছিল উল্লেখ করার মতো। যুবলীগের এত বড় শোডাউন অতীতে কখনোই দেখা যায়নি বলে আওয়ামী লীগ নেতারা মন্তব্য করেন। জানা গেছে, গতকালের সমবেশকে বিশেষভাবে স্মরণীয় করে রাখতে সৌন্দর্য বৃদ্ধি এবং ব্যাপক লোক সমাগম ঘটাতে যুবলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ কয়েক দফা বৈঠক করেন যুবলীগের ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণের নেতাদের সঙ্গে। দলীয় চেয়ারম্যানের নির্দেশে যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট প্রায় ৮০ হাজার ক্যাপ এবং ৩৫ হাজার গেঞ্জি বিতরণ করেন। সভার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যুবলীগের দক্ষিণের নেতারা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের নেতৃত্বে পতাকা নেড়ে, কখনও করতালি, হাতের কসরত (কদমফুল বানানো) এবং দিয়ে জনসভাকে মাতিয়ে রাখেন। ৪ লাখ টাকার বই বিক্রি ॥ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা উপলক্ষে দুটি বুক স্টল বসিয়েছিল যুবলীগ। সংগঠনের গবেষণা সেল ‘যুব জাগরণ’ এর নিজস্ব প্রকাশনার বইয়ের পসরা সাজানো হয় বাংলা একাডেমি ও টিএসসি এলাকায়। বুক স্টলে কয়েক হাজার বই বিক্রি করা হয়। যার মূল্য প্রায় ৪ লাখ টাকা। এরমধ্যে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা, ‘দ্য কোয়েস্ট ফর ভিশন-২০২১-শেখ হাসিনা’, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিশ্বশান্তির দর্শন, গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম, ‘পিপল এমপাওয়ারমেন্ট : এ পিস মডেল বাই শেখ হাসিনা’, ‘গ্লোবাল পিস : রোল অব শেখ হাসিনা’, ‘বায়োগ্রাফি অব শেখ হাসিনা : চ্যালেঞ্জেস অব পিস’ সহ আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের বিভিন্ন প্রকাশনা স্থান পায় এই স্টলে। এছাড়া যুবলীগের বিভিন্ন পুস্তিকা, প্রচারপত্র, বুকলেট, ছবির এ্যালবাম, বিভিন্ন লেখকের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা বই স্টলে বিক্রি করা হয়। এ প্রসঙ্গে যুবলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, প্রচলিত ধারার রাজনীতির বিপরীতে যুব সমাজের মধ্যে মেধা, মনন এবং সংস্কৃতির আলো ছড়িয়ে দিতে বিজয় মেলায় আমরা বুক স্টল চালু করেছি। আলোকিত সমাজ আর আলোকিত যুব সমাজ গড়তে যুবলীগ এ ধরনের কর্মকা- সবসময় অব্যাহত রাখবে।
×